কিম্বা সর্ব্বথা আমাদের নিমিত্ত ইহা কহেন? বস্তুতঃ আমাদেরই নিমিত্ত ইহা লিখিত হইয়াছে, কারণ যে চাষ করে, প্রত্যাশাতেই চাষ করা তাহার উচিত; এবং যে শস্য মাড়ে, ভাগ পাইবার প্রত্যাশাতেই শস্য মাড়া তাহার উচিত।
যদি তোমাদের উপরে কর্ত্তৃত্ব করিবার অন্য লোকদের অধিকার থাকে, তবে আমাদের কি আরও অধিকার নাই? তথাচ আমরা এই কর্ত্তৃত্ব ব্যবহার করি নাই, বরং সকলই সহ্য করিতেছি, যেন খ্রীষ্টের সুসমাচারের কোন বাধা না জন্মাই।
কিন্তু আমি ইহার কিছুই ব্যবহার করি নাই, আর আমার সম্বন্ধে যে এরূপ করা হইবে, সে জন্য আমি এ সকল লিখিতেছি না; কেননা কেহ যে আমার শ্লাঘা নিষ্ফল করিবে, তাহা অপেক্ষা বরং আমার মরণ ভাল।
কারণ, আমি যদিও সুসমাচার প্রচার করি, তবু আমার শ্লাঘা করিবার কিছুই নাই; কেননা অবশ্য বহনীয় ভার আমার উপরে অর্পিত; ধিক্ আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি।
তবে আমার পুরস্কার কি? তাহা এই যে, সুসমাচার প্রচার করিতে করিতে আমি সেই সুসমাচারকে ব্যয়-রহিত করি, যেন সুসমাচার সম্বন্ধে যে কর্ত্তৃত্ব আমার আছে, তাহার পূর্ণ ব্যবহার না করি।
আমি যিহূদীদিগকে লাভ করিবার জন্য যিহূদীদের কাছে যিহূদীর ন্যায় হইলাম; আপনি ব্যবস্থার অধীন না হইলেও আমি ব্যবস্থার অধীন লোকদিগকে লাভ করিবার জন্য ব্যবস্থাধীনদিগের কাছে ব্যবস্থাধীনের ন্যায় হইলাম।
আমি ঈশ্বরের ব্যবস্থাবিহীন নই, বরং খ্রীষ্টের ব্যবস্থার অনুগত রহিয়াছি, তথাপি ব্যবস্থাবিহীন লোকদিগকে লাভ করিবার জন্য ব্যবস্থাবিহীনদের কাছে ব্যবস্থাবিহীনের ন্যায় হইলাম।