কিন্তু তবু আমরা পরিপক্কদের কাছে জ্ঞানের কথা বলি, সেই জ্ঞান পার্থিব জ্ঞানের মতো নয়, তা এই যুগের শাসকদের জ্ঞানের মতো নয়, সেই শাসকরা তো শক্তিহীন হয়ে পড়েছে৷
কিন্তু আমরা নিগূঢ়তত্ত্বে ঈশ্বরের জ্ঞানের কথা বলি৷ সেই জ্ঞান গুপ্ত ছিল এবং ঈশ্বর আমাদের মহিমান্বিত করবেন বলে এবিষয় সৃষ্টির পূর্বেই স্থির করে রেখেছিলেন৷
কিন্তু শাস্ত্রে য়েমন লেখা আছে: ‘ঈশ্বরকে যাঁরা ভালবাসে, তাদের জন্য তিনি যা প্রস্তুত করেছেন, কোন মানুষ তা কখনও চোখে দেখে নি, কানে শোনে নি, এমন কি কল্পনাও করে নি৷’যিশাইয় 64:4
বিষয়টি এই রকম: কোন মানুষ অপরে কি চিন্তা করছে তা জানে না৷ কেবল সেই ব্যক্তির আত্মা, য়ে তার অন্তরে থাকে সেই জানে৷ তেমনি ঈশ্বর কি চিন্তা করেন তা কেউ জানে না, কেবল ঈশ্বরের আত্মা জানেন৷
আমরা জগতের আত্মাকে গ্রহণ করি নি কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকে য়ে আত্মা এসেছেন তাঁকেই আমরা পেয়েছি, য়েন ঈশ্বর অনুগ্রহ করে আমাদের যা যা দান করেছেন তা জানতে পারি৷
সেই সব বিষয়ে বলতে গিয়ে আমরা মানবিক জ্ঞানের শিক্ষানুরূপ কথায় নয়, কিন্তু পবিত্র আত্মার শিক্ষানুসারে বলেছি, আত্মিক বিষয় বোঝাতে আত্মিক কথাই ব্যবহার করছি৷
যার মধ্যে ঈশ্বরের আত্মা নেই সে আত্মা থেকে য়ে বিষয়গুলি আসে তা গ্রহণ করতে পারে না, কারণ তার কাছে সে সব মূর্খতা৷ য়ে ব্যক্তির মধ্যে পবিত্র আত্মা নেই সে আত্মিক কথা বুঝতে পারে না, কারণ সেই বিষয়গুলি কেবল, আত্মিকভাবেই বিচার করা যায়৷