English Bible Languages

Indian Language Bible Word Collections

Bible Versions

English

Tamil

Hebrew

Greek

Malayalam

Hindi

Telugu

Kannada

Gujarati

Punjabi

Urdu

Bengali

Oriya

Marathi

Assamese

Books

Luke Chapters

Luke 21 Verses

1 যীশু তাকিয়ে দেখলেন, ধনী লোকেরা মন্দিরের দানের বাক্সে তাদের দান রাখছে৷
2 এরই মাঝে একজন অতি গরীব বিধবা তাতে খুব ছোট্ট ছোট্ট তামার মুদ্রা রাখল৷
3 তখন যীশু বললেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই গরীব বিধবা অন্য আর সকলের থেকে অনেক বেশী দান করল৷
4 আমি একথা বলছি কারণ অন্য আর সব লোক তাদের সম্পত্তির বাড়তি অংশ ঐ বাক্সে ফেলে গেল, কিন্তু এই বিধবার অভাব থাকা সত্ত্বেও জীবন ধারণের জন্য তার যা সম্বল ছিল, তাই দিয়ে গেল৷’
5 শিষ্যদের মধ্যে কেউ কেউ সেই মন্দিরের বিষয়ে এই মন্তব্য করলেন য়ে, ‘সুন্দর সুন্দর পাথর দিয়ে ও ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দানের জিনিস দিয়ে এই মন্দিরকে কেমন সাজানো হয়েছে!’
6 যীশু তাঁদের বললেন, ‘এই য়ে সব জিনিস তোমরা দেখছ, সময় আসবে যখন এর একটা পাথর আর একটার ওপর থাকবে না, সব ভেঙ্গে ফেলা হবে৷’
7 শিষ্যরা তখন যীশুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘গুরু এসব কখন ঘটবে? আর কি চিহ্ন দেখে বোঝা যাবে এসব ঘটবার সময় এসে গেছে?’
8 যীশু বললেন, ‘সাবধান! কেউ য়েন তোমাদের না ভুলায়, কারণ অনেকেই আমার নাম ধারণ করে আসবে আর বলবে, ‘আমিই তিনি’ আর তারা বলবে, ‘সময় ঘনিয়ে এসেছে৷’ তাদের অনুসারী হযো না!
9 তোমরা যখন যুদ্ধ ও বিদ্রোহের কথা শুনতে পাবে, তাতে ভয় পেও না, কারণ প্রথমে নিশ্চয়ই এসব হবে; কিন্তু তখনও শেষ সময় আসতে বাকি!’
10 এরপর তিনি তাদের বললেন, ‘এক জাতি আর এক জাতির বিরুদ্ধে, এক রাজ্য আর এক রাজ্যের বিরুদ্ধে উঠবে৷
11 ‘মহা ভূমিকম্প হবে, বিভিন্ন জায়গায় দুর্ভিক্ষ ও মহামারী দেখা দেবে; আর আকাশের বুকে ভযাবহ ঘটনা ও মহত্ চিহ্ন দেখতে পাবে৷
12 ‘কিন্তু এসব ঘটনা ঘটার আগে, তারা তোমাদের গ্রেপ্তার করবে, তোমাদের প্রতি নির্য়াতন করবে৷ তারা বিচারের জন্য তোমাদের সমাজ-গৃহে সঁপে দেবে ও তোমাদের কারাগারে ভরবে৷ আমারই কারণে তারা তোমাদের রাজাদের ও রাজ্যপালদের সামনে টেনে নিয়ে যাবে৷
13 তাতে আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য তোমরা সুয়োগ পাবে৷
14 তোমরা মনের দিক থেকে তৈরী থেকো; আত্মপক্ষ সমর্থন করতে তখন কি বলবে, কি জবাবদিহি করবে তার জন্য চিন্তা কোর না৷
15 কারণ সেই সময় আমি তোমাদের বুদ্ধি দেব, তোমাদের মুখে এমন কথা জোগাব য়ে তোমাদের বিপক্ষরা তা অস্বীকার করতে পারবে না আবার তার প্রতিরোধও করতে পারবে না৷
16 কিন্তু তোমাদের আপন বাবা-মা ভাইও আত্মীয় বন্ধুরাই তোমাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে তোমাদের ধরিয়ে দেবে; এমন কি তোমাদের কাউকে কাউকে মেরেও ফেলবে৷
17 আমারই কারণে তোমরা সকলের কাছে ঘৃণার পাত্র হবে৷
18 কিন্তু তোমাদের মাথায় একটা চুলও নষ্ট হবে না৷
19 তোমরা যদি বিশ্বাসে স্থির থাক, তবেই তোমাদের প্রাণ রক্ষা পাবে৷
20 ‘তোমরা যখন দেখবে য়ে সৈন্যসামন্তরা জেরুশালেমকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে, তখন বুঝবে য়ে তার ধ্বংসের সময় ঘনিয়ে এসেছে৷
21 তখন যাঁরা যিহূদিযায় থাকবে তারা য়েন পালিয়ে যায়৷ যাঁরা জেরুশালেমে থাকবে তারা য়েন অবশ্যই নগর ছেড়ে পালায়; আর যাঁরা গ্রামে থাকবে তারা য়েন নগরে না আসে৷
22 কারণ এই দিনগুলো হচ্ছে শান্তির দিন, যা শাস্ত্রের বাণী অনুসারে পূর্ণ হবে৷
23 ঐ দিনগুলোতে যাদের প্রসবকাল ঘনিয়ে এসেছে ও যাদের কোলে দুধের বাচ্চা আছে, সেই সব স্ত্রীলোকদের ভয়ঙ্কর দুর্দশা হবে৷ আমি একথা বলছি কারণ দেশে মহাসংকট আসছে ও এই লোকদের ওপর ঈশ্বরের ক্রোধ নেমে আসছে৷
24 তরবারির আঘাতে তারা মারা পড়বে, আর তাদের বন্দী করে সকল জাতির কাছে নিয়ে যাওযা হবে৷ যতদিন না অইহুদীদের নিরুপিত সময় পূর্ণ হচ্ছে, জেরুশালেম অইহুদীদের দ্বারা অবজ্ঞা ভরে পদদলিত হবে৷
25 ‘তখন চাঁদে, সূর্য়ে ও তারাগুলিতে অনেক বিস্ময়কর জিনিস দেখা যাবে৷ পৃথিবীতে সমস্ত জাতি হতাশায় ভুগবে৷ তারা সমুদ্র গর্জন ও প্রচণ্ডঢেউ দেখে বিহ্বল হয়ে পড়বে৷
26 পৃথিবীতে য়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা আসছে তার কথা ভেবে ভয়েতে লোকে অজ্ঞান হয়ে যাবে, কারণ আকাশের সব শক্তিগুলি ওলোট-পালট হয়ে যাবে৷
27 এর পরই তারা মহাপরাক্রমে ও মহিমামণ্ডিত হয়ে মানবপুত্রকে মেঘে করে আসতে দেখবে৷
28 এসব ঘটনা ঘটতে দেখলে মাথা তুলে উঠে দাঁড়িও, কারণ জেনো য়ে তখন তোমাদের মুক্তি আসছে!’
29 এরপর যীশু তাদের একটি দৃষ্টান্ত দিলেন, ‘ডুমুর গাছ ও অন্যান্য গাছের দিকে দেখ৷
30 য়ে মুহূর্তে তাদের নতুন পাতা বের হয়, তা দেখে তোমরা বুঝতে পার য়ে গ্রীষ্মকাল এসে পড়ল বলে৷
31 ঠিক সেই রকম এই সব ঘটতে দেখলে তোমরা বুঝবে য়ে ঈশ্বরের রাজ্য এসে পড়েছে৷
32 ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যতক্ষণ না এসব ঘটছে, এই বংশ লোপ পাবে না৷
33 আকাশ ও পৃথিবীর লোপ পাবে, কিন্তু আমার বাক্য কখনও লোপ পাবে না৷
34 ‘তোমরা সতর্ক থেকো৷ উচ্ছৃঙ্খল আমোদ-প্রমোদে, মত্ততায়, জাগতিক ভাবনা চিন্তায় তোমাদের মন য়েন আচ্ছন্ন না হয়ে পড়ে, আর সেই দিন হঠাত্ ফাঁদের মতো তোমাদের ওপর এসে না পড়ে৷
35 বাস্তবিক, পৃথিবীর সব লোকের জন্যই সেই দিন আসবে৷
36 তাই সব সময় সজাগ থেকো, আর প্রার্থনা করো য়েন যাই ঘটুক না কেন তা কাটিয়ে উঠবার ও মানবপুত্রের সামনে দাঁড়াবার শক্তি তোমাদের থাকে৷’
37 তিনি মন্দিরের মধ্যে প্রতিদিন শিক্ষা দিতেন কিন্তু সন্ধ্যা হলে রাতে থাকার জন্য জৈতুন পর্বতে চলে য়েতেন৷
38 প্রতিদিন খুব ভোরে উঠে লোকেরা তাঁর কথা শোনার জন্য মন্দিরে য়েত৷
×

Alert

×