1
|
যাকোবও সেই স্থান হতে উঠে চলল| পথে সে ঈশ্বরের দূতগণের দেখা পেল| |
2
|
তাদের দেখে যাকোব বলল, “এ ঈশ্বরের শিবির!” সেই জন্যে সে সেই স্থানের নাম মহনযিম রাখল| |
3
|
যাকোবের ভাই এষৌ থাকত সেযীরে| এই জায়গাটা ছিল পাহাড়ী দেশ ইদোমে| যাকোব এষৌর কাছে বার্তাবাহকদের এই বলে পাঠাল, |
4
|
“এই সব কথা আমার মনিব এষৌকে গিয়ে বলো| আপনার দাস যাকোব বলে: আমি এতগুলি বছর লাবনের কাছে কাটিযেছি| |
5
|
আমার অনেক গরু, গাধা, মেষপাল, লোকজন ও দাসী রয়েছে| মহাশয় আমি এই বার্তা পাঠিয়ে অনুরোধ করছি, আপনি আমাদের গ্রহণ করুন|” |
6
|
বার্তাবাহকরা যাকোবের কাছে ফিরে এসে বলল, “আমরা আপনার ভাই এষৌযের কাছে গিয়েছিলাম| তিনি আপনার সাথে দেখা করতে আসছেন| তাঁর সাথে 400 জন লোক রয়েছে|” |
7
|
এই বার্তায যাকোব ভীত হল| সে তার লোকজনদের দুই দলে ভাগ করল| সে তার মেষপাল, পশুপাল ও উটের পালকে দুই ভাগে ভাগ করল| |
8
|
যাকোব বলল, “যদি এষৌ এসে এক দলকে ধ্বংস করে তবে অপর দল নিশ্চয় পালিয়ে রক্ষা পাবে|” |
9
|
যাকোব বলল, “হে আমার পিতা অব্রাহামের ঈশ্বর, আমার পিতা ইসহাকের ঈশ্বর! প্রভু তুমিই আমাকে আমার দেশে আমার পরিবারের কাছে ফিরে য়েতে বলেছিলে| তুমি বলেছিলে আমার মঙ্গল করবে| |
10
|
তুমি আমার প্রতি কত করুণা করেছ| আমার কত মঙ্গল করেছ| প্রথমবার যখন আমি য়র্দ্দন পার হচ্ছিলাম তখন কেবল পথ চলার লাঠি ছাড়া আমার কাছে কিছুই ছিল না| কিন্তু এখন আমার সব কিছু প্রচুর বলে দুটো দল হয়েছে| |
11
|
দয়া করে আমায় আমার ভাইয়ের হাত থেকে, এষৌর হাত থেকে রক্ষা কর| আমার ভয় হয় য়ে সে আমাদের, এমনকি সন্তানদের সঙ্গে মাযেদেরও হত্যা করবে| |
12
|
প্রভু তুমি আমায় বলেছিলে, ‘আমি তোমার মঙ্গল করব| আমি তোমার বংশধরদের সংখ্যায় সমুদ্রের বালির মত করব যা গুনে শেষ করা যায় না|” |
13
|
সেই স্থানে যাকোব রাত কাটাল| এষৌকে উপহার হিসাবে দেবার জন্য জিনিস গোছাল| |
14
|
যাকোব 200 টি ছাগী, 20 টি ছাগ, 200 টি মেষী ও 20 টি মেষ নিল| |
15
|
আরও নিল 30 টি উট এবং তাদের বাচ্চা, 40 টি গরু, 10 টি ষাঁড়, 20 টি গর্দ্দভী ও 10 টি গর্দ্দভ| |
16
|
যাকোব প্রতিটি পশুপাল তার দাসদের হাতে দিল| তারপর যাকোব তার দাসদের বলল, “প্রতিটি পশুর পাল পৃথক কর| আমার আগে আগে যাও আর প্রতিটি পালের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব রেখো| |
17
|
যাকোব তার দাসদের আজ্ঞা দিল| প্রথম দলের পশু য়ে দাসের হাতে তাকে সে বলল, “যখন আমার ভাই এষৌ এসে তোমাকে জিজ্ঞেস করবে, ‘এ সব পশু কার? তুমি কোথায় যাচ্ছ? তুমি কার দাস?’ |
18
|
তখন তুমি বলবে, ‘এইসব পশু আপনার দাস যাকোবের| যাকোবই এইসব উপহার হিসাবে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন. আর যাকোব নিজেও পেছন পেছন আসছেন|” |
19
|
যাকোব দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং অন্য সব দাসদের ঐ একই কাজ করতে বলল| সে বলল, “এষৌর সঙ্গে দেখা হলে তোমরাও সবাই ঐ একই কাজ করবে| |
20
|
তোমরা বলবে, “এই উপহার আপনার জন্যে আর আপনার দাস যাকোব আমাদের পেছনেই আসছেন|” যাকোব বলল, “যদি আমি এই লোকদের উপহার সমেত আমার আগে পাঠাই তবে হয়তো এষৌ আমায় ক্ষমা করে গ্রহণ করবেন|” |
21
|
তাই যাকোব এষৌকে উপহারগুলি পাঠাল| কিন্তু সেই রাতে যাকোব তাঁবুতে রইল| |
22
|
পরে সেই রাতে উঠে যাকোব সেখান থেকে চলে গেল| সে তার সাথে তার দুই স্ত্রী, দুই দাসী ও তার এগারোটি সন্তানকে নিয়ে য়ব্বোক নদী পার হল| |
23
|
যাকোবের পরিবার নদী পার হয়ে গেলে সে তার সমস্ত জিনিসপত্রও পার হবার জন্য পাঠাল| |
24
|
অবশেষে যাকোব নদী পার হবার জন্য রইল| কিন্তু সে একা পার হবার আগে একজন পুরুষ এসে তার সঙ্গে মল্লয়ুদ্ধ করল| সূর্য় ওঠার আগে পর্য্ন্ত সেই পুরুষটি তার সঙ্গে য়ুদ্ধ করলেন| |
25
|
পুরুষটি যখন দেখলেন তিনি যাকোবকে পরাজিত করতে পারছেন না তখন যাকোবের পাযে আঘাত করলেন; তাতে যাকোরে পাযের হাড় সরে গেল| |
26
|
তারপর সেই পুরুষটি যাকোবকে বললেন, “আমায় য়েতে দাও, সূর্য় উঠছে|”কিন্তু যাকোব বলল, “আপনি আমাকে আশীর্বাদ না করলে আমি আপনাকে য়েতে দেব না|” |
27
|
সেই পুরুষটি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার নাম কি?”যাকোব উত্তর দিল, “আমার নাম যাকোব|” |
28
|
তখন সেই পুরুষটি বললেন, “তোমার নাম যাকোবের পরিবর্তে ইস্রায়েল হবে| আমি তোমার এই নাম রাখলাম কারণ তুমি ঈশ্বরের সঙ্গে ও মানুষের সঙ্গে য়ুদ্ধ করেছ কিন্তু পরাজিত হও নি|” |
29
|
তখন যাকোব তাকে জিজ্ঞেস করল, “দয়া করে বলুন আপনার নাম কি?”কিন্তু সেই পুরুষটি বললেন, “কি জন্য আমার নাম জিজ্ঞেস করছ?” সেই সময়ই পুরুষটি যাকোবকে আশীর্বাদ করলেন| |
30
|
তাই যাকোব সেই জায়গার নাম পনূয়েল রাখল| যাকোব বলল, “এই স্থানেই আমি ঈশ্বরকে মুখোমুখি দেখলাম কিন্তু তাও প্রাণে বাঁচলাম|” |
31
|
সে পনূয়েল পার হলে সূর্য় উঠল| যাকোব পায়ের জন্য খোঁড়াতে খোঁড়াতে চলল| |
32
|
সেইজন্য আজও ইস্রায়েলীয়রা উরুসন্ধির পেশী ভোজন করে না, কারণ যাকোবের সেই পেশীই আহত হয়েছিল| |
Genesis 32:12 English Language Bible Words basic statistical display
COMING SOON ...