কোন পুরুষের কোন স্ত্রীলোকের সঙ্গে য়ৌন সম্পর্ক না থাকাই ভাল৷ কিন্তু য়ৌন পাপের বিপদ আছে, তাই প্রত্যেক পুরুষের নিজ স্ত্রী থাকাই উচিত, আবার প্রত্যেক স্ত্রীলোকের নিজ স্বামী থাকা উচিত৷
স্বামী, স্ত্রী তোমরা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হতে আপত্তি করো না, কেবল প্রার্থনা করার জন্য উভয়ে পরামর্শ করে অল্প সময়ের জন্য আলাদা থাকতে পার, পরে আবার একসঙ্গে মিলিত হযো য়েন তোমাদের অসংযমতার জন্য শয়তান তোমাদের প্রলোভনে ফেলতে না পারে৷
এখন আমি অন্য সমস্ত লোকদের বলি, আমি বলছি, প্রভু নয়৷ যদি কোন খ্রীষ্টানুসারী ভাইয়ের অবিশ্বাসী স্ত্রী থাকে আর সেই স্ত্রী তার সঙ্গে থাকতে রাজী থাকে, তবে সেই স্বামী য়েন তাকে পরিত্যাগ না করে৷
কারণ বিশ্বাসী স্ত্রীর মধ্য দিয়ে সেই অবিশ্বাসী স্বামী আর বিশ্বাসী স্বামীর মধ্য দিয়ে সেই অবিশ্বাসী স্ত্রী পবিত্রতা লাভ করে৷ তা না হলে তোমাদের ছেলে মেয়েরা অশুচি হত, কিন্তু এখন তারা পবিত্র৷
যাই হোক যদি অবিশ্বাসী বিশ্বাসীকে ছেড়ে য়েতে চায় তবে তাকে তা করতে দাও৷ তখন ভাই বা বোন বাধ্যবাধকতার জন্য আটকে থাকবে না৷ ঈশ্বর আমাদের শান্তিময় জীবনযাপনের জন্যই আহ্বান করেছেন৷
কাউকে কি সুন্নত হওয়া অবস্থায় আহ্বান করা হয়েছে? সে য়েন সুন্নতকে বাতিল না করে৷ কাউকে কি অসুন্নত অবস্থায় আহ্বান করা হয়েছে? তার সুন্নত হওয়ার প্রযোজন নেই৷
এখন কুমারী মেয়েদের প্রসঙ্গে আসি৷ তাদের সম্বন্ধে প্রভুর কাছ থেকে আমি কোন আদেশ পাই নি৷ তবে এ বিষয়ে আমার নিজস্ব মত প্রকাশ করছি৷ ঈশ্বরের কাছে আমি দয়া পেয়েছি, এই জন্য তোমরা আমার ওপর নির্ভর করতে পার৷
কিন্তু তুমি যদি বিয়ে কর তাতে তোমার কোন পাপ হয় না; আর কোন কুমারী যদি বিয়ে করে তাহলে সে পাপ করে না৷ কিন্তু এমন লোকদের জীবনে সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে৷ এই কষ্ট এড়াতে আমি তোমাদের সাহায্য করতে চাই৷
ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের য়ে কথা বলতে চাইছি, সময় খুব বেশী নেই তাই যাদের স্ত্রী আছে প্রভুর সেবার জন্য এখন থেকে তারা এমনভাবে চলুক য়েন তাদের স্ত্রী নেই;
আর যাঁরা দুঃখ করছে, তারা এমনভাবে চলুক য়েন দুঃখ করছে না, যাঁরা আনন্দিত তারা এমনভাবে চলুক য়েন আনন্দ করছে না৷ যাঁরা কেনাকাটা করছে, তারা এমনভাবে করুক য়েন যা কিনেছে তা তাদের নিজেদের নয়৷
আমি চাই য়েন তোমরা দুর্ভাবনা থেকে মুক্ত হও৷ একজন অবিবাহিত লোক প্রভুর কাজের বিষয়ে বেশী করে চিন্তা করতে পারে, কিভাবে সে প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে সেটাই তার চিন্তা হয়৷
সে প্রভুকে সন্তুষ্ট করতে চায় আবার সেই সঙ্গে তার স্ত্রীকে খুশী করতে চায়, এইভাবে দুই দিকেই তার চিন্তা হয়৷ একজন অবিবাহিতা বা কুমারী মেয়ে প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, য়েন সে দেহে ও আত্মায় পবিত্র হয়৷ কিন্তু বিবাহিতাস্ত্রীলোক তার সংসারের প্রতি বেশী চিন্তা করে, আর তার চিন্তা থাকে কিভাবে সে তার স্বামীকে সন্তুষ্ট করবে৷
আমি তোমাদের ভালোর জন্যই একথা বলছি, তোমাদের ওপর কোন বিধি-নিষেধ চাপিয়ে দেবার জন্য নয়, বরং তোমরা যাতে ঠিক পথে চল আর যাতে তোমরা নানা বিষয়ে জড়িয়ে না পড়ো এবং সম্পূর্ণ সমর্পণ দ্বারা প্রভুর উদ্দেশ্যে নিজেদের উত্সর্গ কর সেইজন্যই বলছি৷
কেউ যদি মনে করে য়ে সে তার কুমারী বাগদত্তার প্রতি সঙ্গত আচরণ করছে না, তার বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, সে যদি মনে করে য়ে বিষয়টা শিগ্গির হওয়াই ভাল তবে সে যা চায় তাই করুক৷ এতে সে পাপ করছে না, তার বিয়ে হোক৷
কিন্তু য়ে তার নিজের মনে দৃঢ়, যার কোন চাপ নেই, য়ে তার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আর তার মনে ঠিক করে য়ে সে তার বাগদত্তাকে বিয়ে না করেই নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম, তবে সে ভালই করবে৷
স্বামী যতদিন বেঁচে থাকে স্ত্রী ততদিনই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামী মারা গেলে সে মুক্ত, সে তখন যাকে ইচ্ছা আবার বিয়ে করতে পারে, অবশ্য সেই লোক য়েন প্রভুর হয়৷