English Bible Languages

Indian Language Bible Word Collections

Bible Versions

English

Tamil

Hebrew

Greek

Malayalam

Hindi

Telugu

Kannada

Gujarati

Punjabi

Urdu

Bengali

Oriya

Marathi

Assamese

Books

John Chapters

John 7 Verses

1 এরপর যীশু গালীলের চারদিকে ভ্রমণ করছিলেন৷ তিনি যিহূদিযায় ভ্রমণ করতে চাইলেন না, কারণ ইহুদীরা তাঁকে খুন করবার সুয়োগ খুঁজছিল৷
2 এই সময় ইহুদীদের কুটিরবাস পর্ব এগিয়ে আসছিল৷
3 তখন তাঁর ভাইরা তাঁকে বলল, ‘তুমি এই জায়গা ছেড়ে যিহূদিযাতে ঐ উত্‌সবে যাও; যাতে তুমি য়ে সব অলৌকিক কাজ করছ তা তোমার শিষ্যরাও দেখতে পায়৷
4 কারণ কেউ যদি প্রকাশ্যে নিজেকে তুলে ধরতে চায় তবে সে নিশ্চয়ই তার কাজ গোপন করবে না৷ তুমি যখন এত সব মহত্ কাজ করছ তখন নিজেকে জগতের কাছে প্রকাশ কর৷ য়েন সবাই তা দেখতে পায়৷’
5 তাঁর ভাইরাও তাঁর ওপর বিশ্বাস করত না৷
6 যীশু তাঁর ভাইদের বললেন, ‘আমার নিরূপিত সময় এখনও আসে নি; কিন্তু তোমাদের যাওযার জন্য য়ে কোন সময় সঠিক; এখনই তোমরা য়েতে পার৷
7 জগত সংসার তোমাদের ঘৃণা করতে পারে না, কিন্তু আমাকে ঘৃণা করে৷ কারণ পৃথিবীর লোকেরা, যাঁরা মন্দ কাজ করে, সেই সব লোকেদের বিরুদ্ধে আমি সাক্ষ্য দিই৷
8 তোমরা পর্বে যাও, আমি এখন এই উত্‌সবে যাচ্ছি না, কারণ আমার নিরূপিত সময় এখনও আসে নি৷’
9 এই কথা বলার পর তিনি গালীলেই রয়ে গেলেন৷
10 তাঁর ভাইরা উত্‌সবে চলে গেল, পরে তিনিও সেখানে গেলেন; কিন্তু তিনি প্রকাশ্যে সেই পর্বে না গিয়ে গোপনে সেখানে গেলেন৷
11 ইহুদী নেতারা উত্‌সবে এসে তাঁর খোঁজ করতে লাগল৷ তারা বলাবলি করতে লাগল, ‘সেই লোকটা গেল কোথায়?’
12 আর জনতার মধ্যে তাঁকে নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়াতে লাগল৷ কেউ কেউ বলল, ‘আরে তিনি খুব ভালো লোক৷’ কিন্তু আবার অন্যরা বলল, ‘না, না, ও লোকদের ঠকাচ্ছে৷’
13 কিন্তু ইহুদী নেতাদের ভয়ে তাঁর বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে চাইল না৷
14 পর্বের আধা-আধি সময়ে যীশু মন্দিরে গিয়ে লোকদের মাঝে শিক্ষা দিতে লাগলেন৷
15 ইহুদীরা এতে খুব আশ্চর্য হয়ে বলল, ‘এই লোক কোন কিছু অধ্যয়ন না করেই কিভাবে এত সব জ্ঞান লাভ করল?’
16 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, ‘আমি যা শিক্ষা দিই তা আমার নিজস্ব নয়৷ যিনি আমায় পাঠিয়েছেন এসব সেই ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওযা৷
17 যদি কেউ ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে চায় তাহলে সে জানবে আমি যা শিক্ষা দিই তা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, না আমি নিজের থেকে এসব কথা বলছি৷
18 যদি কেউ নিজের ভাবনার কথা নিজে বলে, তাহলে সে নিজেই নিজেকে সম্মানিত করতে চায়; কিন্তু য়ে তার প্রেরণ কর্তার গৌরব চায়, সেই লোক সত্যবাদী, তার মধ্যে কোন অসাধুতা নেই৷
19 মোশি কি তোমাদের কাছে বিধি-ব্যবস্থা দেন নি? কিন্তু তোমরা কেউই সেই বিধি-ব্যবস্থা পালন কর না৷ তোমরা কেন আমাকে হত্যা করতে চাইছ?’
20 জনতা উত্তর দিল, ‘তোমাকে ভূতে পেয়েছে, কে তোমাকে হত্যা করতে চাইছে?’
21 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, ‘আমি একটা অলৌকিক কাজ করেছি, আর তোমরা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেছ৷
22 মোশিও তোমাদের সুন্নতের বিধি-ব্যবস্থা দিয়েছিলেন৷ যদিও মুলতঃ সেই বিধি-ব্যবস্থা মোশির নয় কিন্তু এই বিধি-ব্যবস্থা প্রাচীন পিতৃপুরুষদের কাছ থেকে এসেছে৷ আর তোমরা এমনকি বিশ্রামবারেও শিশুদের সুন্নত করে থাকো৷
23 মোশির বিধি-ব্যবস্থা য়েন লঙঘন করা না হয়, এই যুক্তিতে বিশ্রামবারেও যদি কোন মানুষের সুন্নত করা চলে, তাহলে আমি বিশ্রামবারে একটা মানুষকে সম্পূর্ণ সুস্থ করেছি বলে তোমরা আমার ওপর এত ক্রুদ্ধ হয়েছ কেন?
24 বাহ্যিকভাবে কোন কিছু দেখেই তার বিচার করো না৷ যা সঠিক সেই হিসাবেই ন্যায় বিচার কর৷’
25 তখন জেরুশালেমের লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, ‘এই লোককেই না ইহুদী নেতারা হত্যা করতে চাইছে?
26 কিন্তু দেখ! এ তো প্রকাশ্যেই শিক্ষা দিচ্ছে; কিন্তু তারা তো এঁকে কিছুই বলছে না৷ এটা কি হতে পারে য়ে নেতারা সত্যিই জানে য়ে, ইনি সেই খ্রীষ্ট?
27 আমরা জানি ইনি কোথা থেকে এসেছেন; কিন্তু মশীহ যখন আসবেন তখন কেউ জানবে না তিনি কোথা থেকে এসেছেন৷’
28 তখন যীশু মন্দিরে শিক্ষা দিতে দিতে বেশ চেঁচিয়ে বললেন, ‘তোমরা আমায় জান, আর আমি কোথা থেকে এসেছি তাও তোমরা জান৷ তবু বলছি, আমি নিজের থেকে আসি নি, তবে যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তিনি সত্য; আর তোমরা তাঁকে জান না৷
29 কিন্তু আমি তাঁকে জানি, কারণ তিনি আমায় পাঠিয়েছেন৷ আমি তাঁরই কাছ থেকে এসেছি৷’
30 তখন তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা করতে লাগল৷ তবু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না, কারণ তখনও তাঁর সময় আসে নি৷
31 কিন্তু সেই জনতার মধ্যে থেকে অনেকেই তাঁর ওপর বিশ্বাস করল; আর বলল, ‘মশীহ এসে কি তাঁর চেয়েও বেশী অলৌকিক চিহ্ন করবেন?’
32 ফরীশীরা শুনল য়ে সাধারণ লোক যীশুর বিষয়ে চুপি চুপি এই সব আলোচনা করছে৷ তখন প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা যীশুকে ধরে আনবার জন্য মন্দিরের কয়েকজন পদাতিককে পাঠাল৷
33 তখন যীশু বললেন, ‘আমি আর অল্প কিছুকাল তোমাদের সঙ্গে আছি; তারপর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর কাছে ফিরে যাব৷
34 তোমরা আমার খোঁজ করবে, কিন্তু আমার খোঁজ পাবে না, কারণ আমি য়েখানে থাকব তোমরা সেখানে আসতে পারো না৷’
35 ইহুদী নেতারা তখন পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, ‘সে এখন কোথায় যাবে য়ে আমরা ওকে খুঁজলেও পাব না? গ্রীকদের শহরে য়ে সব ইহুদীরা বসবাস করছে, ও কি তাদের কাছে যাবে আর সেখানে গিয়ে গ্রীকদেব কাছে শিক্ষা দেবে? নিশ্চয়ই নয়৷
36 ও য়ে কথা বলল তার মানে কি য়ে, ‘তোমরা আমার খোঁজ করবে কিন্তু আমায় পাবে না৷’ আর ‘আমি য়েখানে যাব, তোমরা সেখানে আসতে পার না?’
37 পর্বের শেষ দিন, য়ে দিনটি বিশেষ দিন, সেই দিন যীশু উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বললেন, ‘কারোর যদি পিপাসা পেয়ে থাকে তবে সে আমার কাছে এসে পান করুক৷
38 শাস্ত্রে এ কথা বলে, য়ে আমার ওপর বিশ্বাস করে তার অন্তর থেকে জীবন্ত জলের নদী বইবে৷’
39 যীশু পবিত্র আত্মা সম্পর্কে এই কথা বললেন, ‘সেই পবিত্র আত্মা তখনও দেওযা হয় নি, কারণ যীশু তখনও মহিমান্বিত হন নি; কিন্তু পরে যাঁরা যীশুকে বিশ্বাস করে তারা সেই আত্মা পাবে৷’
40 সমবেত জনতা যখন এই কথা শুনল তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, ‘ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী৷’
41 অন্যরা বলল, ‘ইনি মশীহ (খ্রীষ্ট)৷’ এ সত্ত্বেও কেউ কেউ বলল, ‘খ্রীষ্ট গালীলী থেকে আসবেন না৷
42 শাস্ত্রে কি একথা লেখা নেই য়ে খ্রীষ্টকে দাযূদের বংশধর হতে হবে; আর দাযূদ য়ে বৈত্‌লেহম শহরে থাকতেন, তিনি সেখান থেকে আসবেন?’
43 তাঁর জন্য এইভাবে লোকদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল৷
44 কেউ কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইল; কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না৷
45 তখন মন্দিরের সেই পদাতিকরা, প্রধান যাজক ও ফরীশীদের কাছে ফিরে গেল৷ তাঁরা মন্দিরের সেই পদাতিককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা তাঁকে ধরে আনলে না কেন?’
46 পদাতিকরা বলল, ‘উনি য়ে সব কথা বলছিলেন কোন মানুষ কখনও সেই ধরণের কথা বলেনি!’
47 তখন ফরীশীরা বললেন, ‘তাহলে তোমরাও কি ঠকে গেলে?
48 ফরীশী বা নেতাদের মধ্যে এমন কেউ কি ছিলেন যিনি তাঁর ওপর বিশ্বাস করেছেন?
49 কিন্তু এইসব লোকেরা বিধি-ব্যবস্থার কিছুই জানে না৷ তারা অভিশপ্ত এবং ঈশ্বরের কৃপা থেকে বঞ্চিত৷’
50 তখন এই নেতাদের একজন, নীকদীম তাঁদের বললেন, এই নীকদীম ফরীশীদেরই মধ্যে একজন, ইনি আগে একবার যীশুর কাছে গিয়েছিলেন৷
51 ‘কোন ব্যক্তির কথা না শুনে আমরা আমাদের বিধি-ব্যবস্থায় তার বিচার করতে পারি না৷ সে কি করেছে তা না জেনে আমরা তার বিচার করতে পারি না৷’
52 এর উত্তরে তারা তাকে বলল, ‘তুমি নিশ্চয়ই গালীলী থেকে আসো নি৷ তাই না? শাস্ত্র পড়ে দেখো তাহলে জানবে য়ে গালীলী থেকে কোন ভাববাদীর আবির্ভাব হয় নি৷’
53 এরপর ইহুদী নেতারা সেখান থেকে য়ে যার বাড়ি চলে গেলেন৷
×

Alert

×