কিন্তু ঈশ্বর নোহর কথা ভুলে যান নি| নোহ এবং নোহের নৌকোয আশ্রয় পাওয়া সব জীবজন্তুর কথাই ঈশ্বরের মনে ছিল| পৃথিবীর উপর দিয়ে তিনি এক বাতাস বইয়ে দিলেন| এবং সমস্ত জল সরে য়েতে শুরু করল|
পৃথিবীর উপর থেকে জলরাশি ক্রমশঃ নেমে য়েতে লাগল| 150 দিন পরে জল এতটাই নেমে গেল য়ে নৌকোটা আবার মাটি স্পর্শ করলো| নৌকা গিয়ে ঠেকল অরারটের একটা পর্বতে| সেটা ছিল সপ্তম মাসের 17 তম দিন|
তারপর তিনি নৌকো থেকে একটা দাঁড়কাক উড়িয়ে দিলেন| এবং যতদিন না জল নেমে গিয়ে শুকনো ডাঙা দেখা দিল ততদিন সেই দাঁড়কাকটা নৌকো থেকে উড়ে গিয়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় উড়ে বেড়াতে লাগল|
তোমাদের সঙ্গে নৌকোর সমস্ত পশুপাখী নিয়ে বাইরে যাও| সমস্ত পাখী, সমস্ত জন্তু জানোয়ার এবং বুকে হেঁটে চলে এরকম সমস্ত প্রাণী নিয়ে বাইরে এসো| ঐসব পশুপাখী আরও অনেক পশুপাখীর জন্ম দেবে আর সে সবে আবার পৃথিবী ভরে যাবে|”
প্রভু হোমের গন্ধ আঘ্রাণ করে প্রীত হলেন| আপন মনে প্রভু বললেন, “মানুষকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে আমি আর কখনও মৃত্তিকাকে অভিশাপ দেব না| কারণ বাল্যকাল থেকে মানুষের স্বভাব মন্দ| সুতরাং এইমাত্র আমি য়েমনটি করেছিলাম আর কখনও সেভাবে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীদের ধ্বংস করব না|