1
|
রাজা আহাব রাণী ঈষেবলকে এলিয় যা যা করেছেন, য়ে ভাবে সমস্ত ভাববাদীদের তরবারি দিয়ে হত্যা করেছেন সবই বললেন| |
2
|
ঈষেবল তখন এলিয়র কাছে দূত মারফত্ খবর পাঠালেন, “আমি প্রতিজ্ঞা করছি আগামীকাল এসময়ের আগে তুমি য়ে ভাবে ঐ ভাববাদীদের হত্যা করেছ ঠিক সে ভাবেই তোমাকে হত্যা করব| আর যদি তা না পারি তাহলে য়েন দেবতারা আমায় হত্যা করেন|” |
3
|
এলিয় যখন একথা শুনলেন তখন ভয়ে তিনি তাঁর প্রাণ বাঁচাতে ভৃত্যকে সঙ্গে নিয়ে যিহূদার বেরশেবাতে পালিয়ে গেলেন| তাঁর ভৃত্যকে বেরশেবাতে রেখে |
4
|
এলিয় সারাদিন হেঁটে হেঁটে অবশেষে মরুভূমিতে গিয়ে পৌঁছলেন| সেখানে একটা কাঁটা ঝোপের তলায় বসে তিনি মৃত্যু প্রার্থনা করে বললেন, “প্রভু য়থেষ্ট হয়েছে| এবার আমাকে মরতে দাও| আমি আমার পূর্বপুরুষদের অপেক্ষা কোনো অংশেই ভালো নই|” |
5
|
এরপর এলিয় সেই ঝোপের তলায় শুয়ে ঘুমিযে পড়লেন| এসময় এক দেবদূত এসে এলিয়কে স্পর্শ করে বলল, “ওঠো এলিয় খেযে নাও!” |
6
|
এলিয় দেখতে পেলেন তাঁর পাশেই কযলার ওপরে এক খানা কেক বানানো আছে আর এক ঘড়া জল রাখা আছে| এলিয় তা খেযে জল পান করে আবার ঘুমিযে পড়লেন| |
7
|
পরে আবার প্রভুর দূত ফিরে এসে তাঁকে বলল, “ওঠো এলিয়! কিছু খাও! সামনে লম্বা সফর, যদি তুমি খেযে গায়ে জোর না বাড়াও পাড়ি দিতে পারবে না|” |
8
|
এলিয় তখন উঠে পানাহার করলেন| সেই খাবার এলিয়কে একটানা 4040 দিন 40 রাত্রি হাঁটার মতো শক্তি জোগালো| হাঁটতে হাঁটতে তিনি ঈশ্বরের পর্বত নামে পরিচিত হোরেব পর্বতে গিয়ে পৌঁছলেন| |
9
|
সেখানে একটি গুহার ভেতরে এলিয় রাত্রি বাস করলেন|সে সময় প্রভু এলিয়র সঙ্গে কথা বললেন, “এলিয় তুমি এখানে কেন?” |
10
|
এলিয় উত্তর দিলেন, “প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, আমি সব সময় সাধ্য মতো তোমার সেবা করেছি| কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা তোমার সঙ্গে চুক্তিভঙ্গ করে তোমার বেদী ধ্বংস করে ভাববাদীদের হত্যা করেছে| এখন আমিই একমাত্র জীবিত ভাববাদী আর তাই ওরা আমাকেও হত্যার চেষ্টা করছে|” |
11
|
প্রভু তখন এলিয়কে বললেন, “যাও পর্বতে গিয়ে আমার সামনে দাঁড়াও| আমি ঐ জায়গা দিয়ে যাব|” তখন ঝোড়ো হাওযা এসে পর্বতটাকে ভেঙ্গে দ্বিখণ্ডিত করল, বড় বড় পাথরের চাঁই খসে পড়ল, কিন্তু সেই ঝড়ের মধ্যে প্রভু ছিলেন না| ঝড়ের পর হল ভূমিকম্প| কিন্তু সেই ভূমিকম্পও প্রভু বয়ং নন| |
12
|
ভূমিকম্পের আগুন জ্বলে উঠল| কিন্তু আগুনের মধ্যেও প্রভু ছিলেন না| আগুন নিভিযে দেওয়া হল| একটি শান্ত, কোমল স্বর শোনা গেল| |
13
|
এলিয় যখন স্বরটা শুনতে পেলেন তখন তিনি তাঁর শাল দিয়ে তাঁর মুখ ঢেকে দিলেন| তারপর তিনি গিয়ে গুহার প্রবেশ মুখে দাঁড়ালেন| একটি স্বর তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “এলিয়, তুমি এখানে কেন?” |
14
|
এলিয় বললেন, “প্রভু, ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, আমি সব সময়ই আমার সাধ্য মতো তোমার সেবা করে এসেছি কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা তোমার সঙ্গে তাদের চুক্তিভঙ্গ করেছে| তারা তোমার পূজোর বেদী ধ্বংস করে সমস্ত ভাববাদীদের হত্যা করেছে| এখন আমিই একমাত্র জীবিত আছি| আর ওরা আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে|” |
15
|
প্রভু বললেন, “যাও দম্মেশকের পাশের মরুভূমির দিকে য়ে রাস্তা যাচ্ছে সেটা ধরে দম্মেশকে গিয়ে হসায়েলকে অরামের রাজপদে অভিষিক্ত করো| |
16
|
তারপর নিম্শির পুত্র য়েহূকে ইস্রায়েলের রাজপদে অভিষেক করো| আর আবেলমহোলার শাফটের পুত্র ইলীশায়কেও অভিষেক করো| সে ভাববাদী হিসেবে তোমার জায়গা নেবে| |
17
|
হসায়েল বহু খারাপ লোককে হত্যা করবে| হসায়েলের হাত থেকে যারা বেঁচে যাবে তাদের য়েহূ হত্যা করবে| আর য়েহূর তরবারি থেকেও যদি কেউ নিস্তার পেয়ে যায় তাকে ইলীশায় হত্যা করবে| |
18
|
এলিয় ইস্রায়েলে তুমিই একমাত্র একনিষ্ঠ ভাবে আমার সেবা করো নি| সেখানে আরো 7,000 লোক আছে যারা কখনও বাল মূর্ত্তির কাছে মাথা নত করে নি এবং এরা কখনও বাল মূর্ত্তি চুম্বন করে নি| |
19
|
এলিয় তখন শাফটের পুত্র ইলীশায়কে খুঁজতে বেরোলেন| ইলীশায় তখন 12 বিঘা জমিতে হাল দিচ্ছিলেন| এলিয় যখন এলেন তখন ইলীশায় শেষ এক বিঘা জমিতে হাল দিচ্ছিলেন| এলিয় গিয়ে ইলীশায়ের গায়ে নিজের আনুষ্ঠানিক পোশাক পরিযে দিলেন| |
20
|
ইলীশায় ষাঁড়কে ছেড়ে রেখে এলিয়র পেছনে ছুটে এসে বললেন, “আমাকে অনুমতি দিন, আমি একবার গিয়ে আমার মাকে আদর করে আসি এবং পিতার কাছ থেকে বিদায নিয়ে আসি| তারপর আমি আপনার সঙ্গে যাবো|”এলিয় উত্তর দিল, “বেশ, যাও! আমি তোমাকে বাধা দেব না|” |
21
|
ইলীশায় তখন বাড়িতে গিয়ে আত্মীয স্বজনের সঙ্গে দারুণ খাওয়া-দাওয়া করলেন| তাঁর গরুগুলোকে মেরে য়োয়ালের কাঠ বালিয়ে মাংস সেদ্ধ করে লোকদের খাওয়ালেন এবং নিজেও খেলেন| তারপর ইলীশায় এলিয়কে অনুসরণ করলেন এবং তাঁর পরিচর্য়্য়া করতে লাগলেন| |
1 Kings 19:2 English Language Bible Words basic statistical display
COMING SOON ...