নদীটি নগরের রাজপথের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে৷ নদীর তীরেই জীবনবৃক্ষ আছে৷ বছরের বারো মাসই তাতে বারো বার ফল ধরে, প্রতি মাসে নতুন নতুন ফল হয়৷ সেই জীবন বৃক্ষের পাতা জাতিবৃন্দের আরোগ্য দায়ক৷
সেখানে রাত্রি আর হবে না, প্রদীপের আলো বা সূর্যের আলোর কোন প্রযোজন হবে না, কারণ প্রভু ঈশ্বর তখন সবার ওপর তাঁর আলো ছড়িয়ে দেবেন; আর তারা যুগে যুগে চিরকাল রাজার মত রাজত্ব করবে৷
তখন স্বর্গদূত আমায় বললেন, ‘এই সমস্ত কথা সত্য ও বিশ্বাসয়োগ্য৷ প্রভু, যিনি সেই ভাববাদীদের আত্মার ঈশ্বর, তিনি তাঁর স্বর্গদূতকে পাঠিয়েছেন তাঁর দাসদের সেই সবকিছু দেখাবার জন্য, যা শীঘ্রই ঘটবে৷’
তিনি তখন আমায় বললেন, ‘আমার উপাসনা করো না! আমি তোমার ও তোমার ভাইদের অর্থাত্ ভাববাদীদের মত একজন দাস৷ আমি সেই সমস্ত লোকের মত যাঁরা এই পুস্তকের বাক্য মেনে চলে৷ একমাত্র ঈশ্বরেরই উপাসনা কর৷’
এই পুস্তকের সব ভাববাণী যাঁরা শুনবে, আমি তাদের দৃঢ়ভাবে বলছি, এই পুস্তকে যা কিছু লেখা হল, কেউ যদি তার সঙ্গে কিছু য়োগ করে তবে ঈশ্বর এই পুস্তকে য়ে সব সন্তাপের উল্লেখ আছে তা তার জীবনে য়োগ করবেন৷