English Bible Languages

Indian Language Bible Word Collections

Bible Versions

English

Tamil

Hebrew

Greek

Malayalam

Hindi

Telugu

Kannada

Gujarati

Punjabi

Urdu

Bengali

Oriya

Marathi

Assamese

Books

Revelation Chapters

Revelation 21 Verses

1 এরপর আমি এক নতুন স্বর্গ ও নতুন পৃথিবী দেখলাম, কারণ প্রথম স্বর্গ ও প্রথম পৃথিবী বিলুপ্ত হয়ে গেছে; এখন সমুদ্র আর নেই৷
2 আমি আরো দেখলাম, সেই পবিত্র নগরী, নতুন জেরুশালেম, স্বর্গ হতে ঈশ্বরের কাছ থেকে নেমে আসছে৷ কনে য়েমন তার বরের জন্য সাজে, সেও সেইভাবে প্রস্তুত হয়েছিল৷
3 পরে আমি সিংহাসন থেকে এক উদাত্ত নির্ঘোষ শুনতে পেলাম, যা ঘোষণা করছে, ‘এখন মানুষের মাঝে ঈশ্বরের আবাস, তিনি তাদের সঙ্গে বাস করবেন ও তাদের ঈশ্বর হবেন৷
4 তিনি তাদের চোখের সব জল মুছিয়ে দেবেন৷ মৃত্যু, শোক, কান্না যন্ত্রণা আর থাকবে না, কারণ পুরানো বিষয়গুলি বিলুপ্ত হল৷
5 আর যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তিনি বললেন, ‘দেখ! আমি সব কিছু নতুন করে করছি!’ পরে তিনি বললেন, ‘লেখ, কারণ এসব কথা সত্য ও বিশ্বাসয়োগ্য৷’
6 যিনি সিংহাসনে বসেছিলেন পরে তিনি আমায় বললেন, ‘সম্পন্ন হল! আমি আলফা ও ওমেগা, আমিই আদি ও অন্ত৷ য়ে তৃষ্ণার্ত তাকে আমি জীবন জলের উত্‌স থেকে বিনামূল্যে জল দান করব৷
7 য়ে বিজযী হয় সে-ই এসবের অধিকারী হবে৷ আমি তার ঈশ্বর হব, আর সে হবে আমার পুত্র৷
8 কিন্তু যাঁরা ভীরু, অবিশ্বাসী ঘৃন্যলোক, নরঘাতক, য়ৌনপাপে পাপগ্রস্ত, মায়াবী, প্রতিমাপূজারী, যাঁরা মিথ্যাবাদী, এদের সকলের স্থান হবে সেই আগুন ও জ্বলন্ত গন্ধকের ্ব্রদে; এই হল দ্বিতীয় মৃত্যু৷’
9 আর য়ে সপ্ত স্বর্গদূতদের কাছে সপ্ত সন্তাপপূর্ণ বাটি ছিল তাদের মধ্যে শেষ সন্তাপের বাটিটি যিনি ঢেলেছিলেন, তিনি এসে আমায় বললেন, ‘এস, আমি তোমাকে মেষশাবকের বধূকে দেখাব৷’
10 আমি আত্মার আবেশে ছিলাম, সেই অবস্থায় তিনি আমাকে একটা খুব বড় উঁচু পাহাড়ের ওপর নিয়ে গেলেন আর স্বর্গে ঈশ্বরের কাছ থেকে য়ে পবিত্র নগরী, জেরুশালেম নেমে আসছিল তা দেখালেন৷
11 তা ছিল ঈশ্বরের মহিমায় পূর্ণ বহুমূল্য মণির মতো, তার উজ্জ্বলতা সূর্য়কান্ত মণির মতো উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ৷
12 নগরের প্রাচীরটি খুব উঁচু এবং বড় ছিল৷ প্রাচীরের বারোটি ফটক ছিল৷ নগরের বারোটি ফটকে বারোজন স্বর্গদূত ছিল৷ সেই দ্বারগুলির ওপর ইস্রায়েলের বারো গোষ্ঠীর নাম লেখা ছিল৷
13 পূর্বদিকে তিনটি দরজা, উত্তরদিকে তিনটি দরজা, দক্ষিণ দিকে তিনটি দরজা ও পশ্চিম দিকে তিনটি দরজা৷
14 নগরের সেই প্রাচীরের বারোটি ভিত পাথর ছিল, আর সেই সব ভিত পাথরের ওপর মেষশাবকের বারোজন প্রেরিতের নাম লেখা আছে৷
15 স্বর্গদূত, যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তাঁর হাতে ঐ নগরটি, তার সব দরজা ও তার প্রাচীর মাপবার জন্য সোনার মাপকাঠি ছিল৷
16 ঐ নগরটি ছিল চারকোণা, দৈর্য়্ঘে ও প্রস্থে সমান৷ তিনি নগরটি সেই মাপকাঠি দিয়ে মাপলে দেখা গেল তা দৈর্য়্ঘে প্রস্থে ও উচ্চতায় সমান এবং সেই মাপ হল 1500 মাইল৷
17 পরে স্বর্গদূত নগরের প্রাচীর মাপলে দেখা গেল তা 144 হাত উঁচু৷ স্বর্গদূত মানুষের হাতের মাপ অনুযাযী তা মাপলেন, এই মাপই তিনি ব্যবহার করেছিলেন৷
18 প্রাচীরের গাঁথনি সূর্য়কান্তমণির এবং নগরটি ছিল শুদ্ধ সোনায় তৈরী, য়েটা ছিল কাঁচের মতো স্বচ্ছ৷
19 নগরের প্রাচীরের ভিত পাথরগুলিতে সব ধরণের মূল্যবান মণি খচিত ছিল৷ প্রথমটি সূর্য়কান্ত মণির, দ্বিতীয়টি নীলকান্ত মণির, তৃতীয়টি তাম্রমণির, চতুর্থটি পান্নামণির, পঞ্চমটি বৈদুর্য়মণির;
20 ষষ্ঠটি লাল বর্ণ মণির, সপ্তমটি স্বর্ণ মণির, অষ্টমটি ফিরোজা মণির, নবমটি পোখরাজ মণির, দশমটি হলুদ সবুজ বর্ণ মণির, একাদশতমটি রক্তাভ ফলসাবর্ণ মণির, দ্বাদশতমটি জামীরা মণির৷
21 বারোটি সিংহদ্বার হচ্ছে বারোটি মুক্তা, একটি দ্বার এক একটি মুক্তার তৈরী৷ নগরের সড়কটি কাঁচের মতো স্বচ্ছ খাঁটি সোনার তৈরী৷
22 সেই নগরে আমি কোন মন্দির দেখলাম না, কারণ প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ও মেষশাবক হচ্ছেন সেই নগরের মন্দির৷
23 নগরটি আলোকিত করার জন্য সূর্য় ও চাঁদের প্রযোজন ছিল না, কারণ ঈশ্বরের মহিমা তা আলোকময় করে, আর মেষশাবকই তার আলোস্বরূপ৷
24 এর আলোতে সমস্ত জাতি চলাফেরা করবে, আর জগতের রাজারা তাদের প্রতাপ সেখানে নিয়ে আসবে৷
25 ঐ নগরের সিংহদ্বারগুলি কোন দিন কখনও বন্ধ হবে না, কারণ সেখানে কখনও কোন রাত্রি হবে না,
26 আর জাতিবৃন্দের সমস্ত প্রতাপ ও ঐশ্বর্য সেই নগরের মধ্যে আনা হবে৷
27 অশুচি কোন কিছু শহরে প্রবেশ করতে পারবে না৷ কোন মানুষ য়ে ঘৃন্য কাজ করে অথবা য়ে অসত্ সে কখনও নগরে প্রবেশ করতে পারবে না৷ কেবল যাদের নাম মেষশাবকের জীবন পুস্তকে লেখা আছে শুধু তারাই সেখানে প্রবেশ করতে পারবে৷
×

Alert

×