কিন্তু রাত্রিতে ঈশ্বর স্বপ্নযোগে অবীমেলকের নিকটে আসিয়া কহিলেন, দেখ, ঐ যে নারীকে গ্রহণ করিয়াছ, তাহার জন্য তুমি মৃত্যুর পাত্র, কেননা সে এক ব্যক্তির স্ত্রী।
সেই ব্যক্তি কি আমাকে বলে নাই, এ আমার ভগিনী? এবং সেই স্ত্রীও কি বলে নাই, এ আমার ভ্রাতা? আমি যাহা করিয়াছি, তাহা অন্তঃকরণের সরলতায় ও হস্তের নির্দ্দোষতায় করিয়াছি।
তখন ঈশ্বর স্বপ্নযোগে তাঁহাকে কহিলেন, তুমি অন্তঃকরণের সরলতায় এ কর্ম্ম করিয়াছ, তাহা আমিও জানি, তাই আমার বিরুদ্ধে পাপ করিতে আমি তোমাকে বারণ করিলাম; এই জন্য তাহাকে স্পর্শ করিতে দিলাম না।
অতএব এখন সেই ব্যক্তির স্ত্রী তাহাকে ফিরাইয়া দেও, কেননা সে ভাববাদী; আর সে তোমার জন্য প্রার্থনা করিবে, তাহাতে তুমি বাঁচিবে; কিন্তু যদি তাহাকে ফিরাইয়া না দেও, তবে জানিও, তুমি ও তোমার সকলেই নিশ্চয় মরিবে।
পরে অবীমেলক অব্রাহামকে ডাকাইয়া কহিলেন, আপনি আমাদের সহিত এ কি ব্যবহার করিলেন? আমি আপনার কাছে কি দোষ করিয়াছি যে, আপনি আমাকে ও আমার রাজ্যকে এমন মহাপাপগ্রস্ত করিলেন? আপনি আমার প্রতি অনুচিত কর্ম্ম করিলেন।
আর যখন ঈশ্বর আমাকে পৈতৃক বাটী হইতে ভ্রমণ করাইয়াছিলেন, তখন আমি তাহাকে বলিয়াছিলাম, আমার প্রতি তোমার এই দয়া করিতে হইবে, আমরা যে যে স্থানে যাইব, সেই সেই স্থানে তুমি আমার বিষয়ে বলিও, এ আমার ভ্রাতা।