তখন সেই প্রাচীনদের মধ্যে একজন আমাকে বললেন, ‘তুমি কেঁদো না! দেখ, যিনি যিহূদা বংশের সিংহ, দাযূদের বংশধর, তিনি বিজযী হয়েছেন, তিনি সাতটি সীলমোহর ভাঙ্গার ও পুস্তকটি খোলার য়োগ্য হয়েছেন৷’
পরে আমি দেখলাম ঐ সিংহাসনের সামনে চার জন প্রাণীর সঙ্গে এবং প্রাচীনদের সঙ্গে এক মেষশাবক দাঁড়িয়ে আছেন; সেই মেষশাবককে এমন দেখাচ্ছিল য়েন তাকে বধ করা হয়েছে৷ তাঁর সাতটি শৃঙ্গ ও সাতটি চক্ষু, সেই চক্ষুগুলি হল ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা যাদের পৃথিবীর সর্বত্র পাঠানো হয়েছে৷
তিনি যখন পুস্তকটি নিলেন, তখন ঐ চারজন প্রাণী ও চব্বিশজন প্রাচীন মেষশাবকের সামনে ভূমিষ্ট হয়ে প্রণাম করলেন৷ তাঁদের প্রত্যেকের কাছে ছিল একটি করে বীণা ও সোনার বাটিতে সুগন্ধি ধূপ, সেই ধূপ হচ্ছে ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের প্রার্থনাস্বরূপ৷
তাঁরা মেষশাবকের জন্য এক নতুন গীত গাইছিলেন: ‘তুমি ঐ পুস্তকটি নেবার ও তার সীলমোহর ভাঙ্গার য়োগ্য, কারণ তুমি বলি হয়েছিলে; আর তোমার রক্ত দিয়ে সমস্ত উপজাতি, ভাষা, সম্প্রদায় ও জাতির মধ্য থেকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে লোকদের কিনেছ৷
পরে আমি স্বর্গে, পৃথিবীতে, পৃথিবীর নীচে ও সমুদ্রের মধ্যে সমস্ত প্রাণী এবং আর যা কিছু সেইসব জায়গাতে ছিল তাদের এই বাণী শুনলাম: ‘যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর ও মেষশাবকের প্রতি প্রশংসা, সম্মান, মহিমা ও পরাক্রম যুগে যুগে বর্ষিত হোক্৷’