তখন পৌল অননিয়কে বললেন, ‘হে চুনকাম করা প্রাচীর! স্বয়ং ঈশ্বর তোমায় আঘাত করবেন৷ আইনসঙ্গত ভাবে আমার বিচার করার জন্য তুমি এখানে বসেছ; আর আমাকে আঘাত করার হুকুম দিয়ে তুমি মোশির বিধি-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যাচ্ছ৷’
পৌল যখন বুঝতে পারলেন য়ে তাদের মধ্যে কিছু সভ্য সদ্দূকী ও কিছু সভ্য় ফরীশী, তখন তিনি মহাসভার উদ্দেশ্যে চিত্কার করে বলে উঠলেন, ‘ভাইরা আমি একজন ফরীশী! আর ফরীশীদেরই সন্তান৷ মৃতদের পুনরুত্থান হবে বলে আমার য়ে প্রত্যাশা আছে, তার জন্যই আমার এই বিচার হচ্ছে!’
চারদিকে বিরাট কোলাহল শুরু হয়ে গেল৷ ফরীশীদের মধ্যে থেকে কয়েকজন ব্যবস্থার শিক্ষক উঠে দাঁড়িয়ে খুব জোরালো তর্ক জুড়ে দিল, তারা বলল, ‘আমরা এঁর কোন দোষই দেখতে পাচ্ছি না! হয়তো কোন আত্মা বা স্বর্গদূত দম্মেশকের পথে সত্যসত্যই তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন!’
এইভাবে গণ্ডগোল বাড়তে বাড়তে লড়াইয়ে পরিণত হল৷ সেনাপতি ভয় পেয়ে গেলেন, য়ে তারা হয়তো পৌলকে টেনে-হিঁচড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলবে; তাই তিনি হুকুম দিলেন য়েন সৈন্যরা নেমে গিয়ে ইহুদীদের মধ্য থেকে পৌলকে স্বর্গে নিয়ে যায়৷
পরদিন রাতে প্রভু যীশু পৌলের কাছে এসে দাঁড়ালেন৷ তিনি বললেন, ‘সাহস কর! কারণ তুমি আমার বিষয়ে য়েমন জেরুশালেমে সাক্ষ্য দিয়েছ, তেমনি রোমেও আমার কথা তোমাকে বলতে হবে!’
এখন আপনারা মহাসভার সভ্য়দের সঙ্গে সেনাপতির কাছে আবেদন করুন, য়েন তিনি আপনাদের কাছে পৌলকে নামিয়ে আনেন, বলুন য়ে আপনারা তার কাছে আরো কিছু প্রশ্ন করতে চান৷ সে এখানে আসার আগেই আমরা তাকে হত্যা করার জন্য তৈরী রইলাম৷’
সেই যুবক বলল, ‘ইহুদীরা পরামর্শ করে ঠিক করেছে য়ে তারা পৌলকে আরও বিশদভাবে প্রশ্ন করার মিথ্যা অজুহাত নিয়ে আপনার কাছে এসে অনুরোধ করবে য়েন আপনি পৌলকে কাল মহাসভার সামনে হাজির করেন৷
কিন্তু আপনি তাদের কথায় বিশ্বাস করবেন না, কারণ তাদের মধ্যে চল্লিশ জনেরও বেশী লোক পৌলকে হত্যা করার জন্য লুকিয়ে অপেক্ষা করে আছে৷ তারা নিজেদের মধ্যে শপথ করেছে য়ে, পৌলকে না মারা পর্যন্ত তারা অন্ন জল মুখে তুলবে না৷ তারা কেবল আপনার সম্মতির অপেক্ষায় আছে৷’
পরে তিনি দুজন সেনাপতিকে কাছে ডেকে বললেন, ‘দুশো সৈনিককে রাত নটায় কৈসরিয়া যাবার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলো, এদের সঙ্গে দুশো বর্শাধারী ও সত্তর জন অশ্বারোহী সৈন্য দিও৷
পৌল নামের লৌকটিকে ইহুদীরা ধরে হত্যা করতে উদ্য়ত হয়েছিল; কিন্তু আমি যখন জানতে পারলাম য়ে সে রোমান নাগরিক তখন আমার সৈন্যদের নিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে আনলাম৷
সেখানে আমি বুঝতে পারলাম য়ে ইহুদীদের বিধি-ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওর উপর দোষারোপ করা হচ্ছে, কিন্তু মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বা কারাগারে দেওয়ার মত এর কোন দোষ আমি পাই নি৷
এই লোকের বিরুদ্ধে হত্যার চক্রান্ত করা হচ্ছে, একথা যখন আমাকে জানানো হল, তখন তাড়াতাড়ি একে আমি আপনার কাছে পাঠালাম৷ যাঁরা এর উপর দোষারোপ করছে তাদেরও বলেছি, তারা আপনার কাছে গিয়ে এর বিরুদ্ধে যা বলবার বলবে৷