তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরা যখন বিশ্বাসী হও, তখন কি পবিত্র আত্মা পেয়েছিলে?’ তারা তাঁকে বলল, ‘কই? পবিত্র আত্মা বলে য়ে কিছু আছে এমন কথা তো আমরা কখনও শুনি নি!’
কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন তাঁর কথা মানতে চাইল না৷ তারা প্রকাশ্যে খ্রীষ্টের পথের বিরুদ্ধে নিন্দা করতে লাগল৷ তখন পৌল তাদের ছেড়ে চলে গেলেন, যীশুর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে গেলেন৷ পরে প্রতিদিন তুরাণের ভাষণ কক্ষে পৌল তাদের নিয়ে শাস্ত্র আলোচনা করতে লাগলেন৷
এরপর যার মধ্যে দিয়াবলের অশুচি আত্মা বাস করছিল, সে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই শীভার ছেলেদের সবাইকে ধরাশাযী করল৷ এর ফলে সেই ইহুদীরা আহত ও উলঙ্গ অবস্থায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেল৷
ইহুদী ও গ্রীক যাঁরা ইফিষে থাকত, তারা সবাই এই ঘটনার কথা জানতে পারল৷ এর ফলে তাদের সকলের মধ্যে ত্রাসের সঞ্চার হল; আর প্রভুর নাম সমাদৃত হল৷ লোকেরা যীশুর নামকে আরও উচ্চ সম্মান দিতে লাগল৷
আবার অনেকে যাঁরা যাদুক্রিয়া করত, তারা তাদের বইপত্র ও সাজসরঞ্জাম এনে প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে দিল, গণনা করে দেখা গেল তার দাম ছিল পঞ্চাশ হাজার রৌপ্য় মুদ্রা৷
এও তো দেখতে ও শুনতে পাচ্ছ কেবল এই ইফিষে নয়, প্রায় সমস্ত এশিয়ায় এই পৌল বহুলোককে প্রভাবিত করেছে ও এই বলে ফিরিয়েছে য়ে, মানুষের হাতে গড়া দেবতারা নাকি দেবতাই নয়৷
এতে আমাদের এই বৃত্তির য়ে কেবল দুর্নাম হবে তাই নয়, মহাদেবী দীয়ানার মন্দিরও লোকসমক্ষে তুচ্ছ হবে৷ আবার যাকে সমস্ত এশিয়া এমন কি সারা জগত সংসার উপাসনা করে, তিনিও তাঁর বিপুল গরিমা হারাবেন৷’
এতে সমস্ত শহরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিল৷ সকলে একসঙ্গে রঙ্গভূমির দিকে ছুটল, তারা তাদের সঙ্গে টানতে টানতে নিয়ে চলল গায় ও আরিষ্টার্খ নামে দুজন মাকিদনিয়ান লোককে, যাঁরা পৌলের সঙ্গী ছিলেন৷
শেষ পর্যন্ত শহরের করণিক জনতাকে শান্ত করে বললেন, ‘হে ইফিষীয়রা, বল দেখি, ইফিষীয়দের শহর য়ে মহাদেবী দীয়ানার মন্দিরের তত্ত্বাবধান করে এবং সেই মন্দিরের পবিত্র পাথর য়ে আকাশ থেকে পড়েছিল তা কে না জানে?
তাই যদি কারো বিরুদ্ধে দীমীত্রিয় ও তার সম-ব্যবসাযীদের কোন অভিযোগ থাকে, তবে আদালত খোলা আছে, বিচারকেরাও আছেন, তারা সেখানে গিয়ে তাদেব বিরুদ্ধে মামলা করুক!