ভাল, এই ‘ধন্য’ শব্দ কি ছিন্নত্বক্ লোকেই বর্ত্তে, না অচ্ছিন্নত্বক্ লোকেও বর্ত্তে? কারণ আমরা বলি, অব্রাহামের পক্ষে তাঁহার বিশ্বাস ধার্ম্মিকতা বলিয়া গণিত হইয়াছিল।
আর তিনি ত্বকছেদচিহ্ন পাইয়াছিলেন; ইহা সেই বিশ্বাসের ধার্ম্মিকতার মুদ্রাঙ্ক ছিল, যে বিশ্বাস অচ্ছিন্নত্বক্ থাকিতে তাঁহার ছিল; উদ্দেশ্য এই, যেন অচ্ছিন্নত্বক্ অবস্থায় যাহারা বিশ্বাস করে, তিনি তাহাদের সকলের পিতা হন, যেন তাহাদের পক্ষে সেই ধার্ম্মিকতা গণিত হয়;
আর যেন ছিন্নত্বক্ লোকদেরও পিতা হন; অর্থাৎ যাহারা ছিন্নত্বক্ কেবল তাহাদের নয়, কিন্তু অচ্ছিন্নত্বক্ অবস্থায় আমাদের পিতা অব্রাহামের যে বিশ্বাস ছিল, যাহারা তাঁহার পদচিহ্ন দিয়া গমন করে, তিনি তাহাদেরও পিতা।
এই জন্য উহা বিশ্বাস দ্বারা হয়, যেন অনুগ্রহ অনুসারে হয়; অভিপ্রায় এই, যেন সেই প্রতিজ্ঞা সমস্ত বংশের পক্ষে কেবল ব্যবস্থাবলম্বী বংশের পক্ষে নয়, কিন্তু অব্রাহামের বিশ্বাসাবলম্বী বংশেরও পক্ষে অটল থাকে; তিনি আমাদের সকলের পিতা,
(যেমন লিখিত আছে, “আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করিলাম,” ) সেই ঈশ্বরের সাক্ষাতেই পিতা, যাঁহাকে তিনি বিশ্বাস করিলেন, যিনি মৃতগণকে জীবন দেন, এবং যাহা নাই, তাহা আছে বলেন;