তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, যখন কেহ তোমাকে বিবাহভোজে নিমন্ত্রণ করে, তখন প্রধান আসনে বসিও না; কি জানি, তোমা হইতে অধিক সম্মানিত আর কোন লোক তাহার দ্বারা নিমন্ত্রিত হইয়াছে,
কিন্তু তুমি যখন নিমন্ত্রিত হও তখন নিম্নতম স্থানে গিয়া বসিও; তাহাতে যে ব্যক্তি তোমাকে নিমন্ত্রণ করিয়াছে, সে যখন আসিবে, তোমাকে বলিবে, বন্ধু, উচ্চতর স্থানে গিয়া বস; তখন যাহারা তোমার সহিত বসিয়া আছে, সেই সকলের সাক্ষাতে তোমার গৌরব হইবে।
আবার যে ব্যক্তি তাঁহাকে নিমন্ত্রণ করিয়াছিল, তাহাকেও তিনি বলিলেন, তুমি যখন মধ্যাহ্ন-ভোজ কিম্বা রাত্রি-ভোজ প্রস্তুত কর, তখন তোমার বন্ধুগণকে, বা তোমার ভ্রাতাদিগকে, বা তোমার জ্ঞাতিদিগকে কিম্বা ধনী প্রতিবাসিগণকে ডাকিও না; কি জানি তাহারাও তোমাকে পালটা নিমন্ত্রণ করিবে, তার তুমি প্রতিদান পাইবে।
তখন তাহারা সকলেই একমত হইয়া ক্ষমা ভিক্ষা করিতে লাগিল। প্রথম জন তাহাকে কহিল, আমি একখানি ক্ষেত্র ক্রয় করিলাম, তাহা দেখিতে না গেলে নয়; বিনতি করি, আমাকে ছাড়িয়া দিতে হইবে।
পরে সে দাস আসিয়া তাহার প্রভুকে এই সমস্ত বৃত্তান্ত জানাইল। তখন সেই গৃহকর্ত্তা ক্রুদ্ধ হইয়া আপন দাসকে কহিলেন, শীঘ্র বাহির হইয়া নগরের পথে পথে ও গলিতে গলিতে যাও, দরিদ্র, নুলা, খঞ্জ ও অন্ধদিগকে এখানে আন।
যদি কেহ আমার নিকটে আইসে, আর আপন পিতা, মাতা, স্ত্রী সন্তানসন্ততি, ভ্রাতৃগণ, ও ভগিনীগণকে এমন কি, নিজ প্রাণকেও অপ্রিয় জ্ঞান না করে, তবে সে আমার শিষ্য হইতে পারে না।
অথবা কোন্ রাজা অন্য রাজার সহিত যুদ্ধে সমাঘাত করিতে যাইবার সময়ে অগ্রে বসিয়া বিবেচনা করিবেন না, যিনি বিংশতি সহস্র সৈন্য লইয়া আমার বিরুদ্ধে আসিতেছেন, আমি দশ সহস্র লইয়া কি তাঁহার সম্মুখবর্ত্তী হইতে পারি?