য়োনা প্রভুকে অভিয়োগ করে বললেন, “আমি জানি এই সব ঘটনাই ঘটবে! আমি আমার দেশে ছিলাম এবং আপনিই আমাকে এখানে আসতে বলেছিলেন| সেই সময়, আমি জানতাম য়ে আপনি এই মন্দ শহরের লোকদের ক্ষমা করবেন| সে জন্য আমি ঠিক করেছিলাম তর্শীশে পালিয়ে যাব| আমি জানী য়ে আপনি খুবই দয়ালু ঈশ্বর! আমি জানি য়ে আপনি করুণায পরিপূর্ণ! আমি জানি য়ে যদি এই লোকরা তাদের মন্দ কাজকর্ম বন্ধ করে, তাহলে আপনি তাদের ধ্বংস করার পরিকল্পনা পরিবর্থন করবেন|
এই সব ব্যাপারের জন্য য়োনা ক্রুদ্ধ হয়েই রইলেন| সে জন্য সে শহর থেকে চলে গেলেন| য়োনা শহরের কাছেই পূর্বদিকে একটা জায়গায় গিয়ে হাজির হলেন| সেখানে য়োনা তার নিজের জন্য একটা আশ্রয় তৈরী করলেন| তখন তিনি সেখানকার ছাউনির তলায় ছায়াতে বসলেন এবং শহরে কি ঘটবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন|
তত্ক্ষনাত্ প্রভু একটি কুমড়ো গাছ হওয়ার আদেশ দিলেন এবং সেটি য়োনার ওপর খুব তাড়াতাড়ি য়োনার মাথা ছাড়িযে বেড়ে উঠল| তাতে য়োনার পক্ষে আরামে থাকবার জন্য একটি ঠাণ্ডা জায়গা তৈরী হল| এই গাছটির জন্য য়োনা খুবই খুশি হল|
সূর্য় যখন মধ্য আকশে এলো তখন ঈশ্বর পূর্ব দিক থেকে গরম হাওযা বইয়ে দিলেন| য়োনার মাথার ঠিক ওপরে সূর্য় খুবই গরম উঠলো এবং য়োনা খুবই দুর্বল হয়ে পড়লেন| য়োনা মরবার জন্য ঈশ্বরের অনুমতি চাইলেন| তিনি বললেন, “আমার বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই বরং ভালো|”
কিন্তু ঈশ্বর য়োনাকে বললেন, “তুমি কি মনে কর য়ে শুধু মাত্র গাছটি মরে যাবার জন্যই তোমার রাগ করা ঠিক হয়েছে?”য়োনা উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, আমার রাগ করাই উচিত! আমি এতোই ক্রুদ্ধ য়ে সরতে চাই|”
এবং প্রভু বললেন, “তুমি ওই চারা গাছটার জন্য কিছুই করনি! তাকে তুমি বাড়িযে তোলনি! রাত্রিবেলায চারাগাছটা বেড়ে উঠেছিলো এবং পরের দিন সকালেই মরে গেছে| আর এখন তুমি ওই গাছটার জন্য দুঃখিত!
তুমি যদি ওই চারাগাছটার জন্য এত মনঃক্ষুন্ন হতে পারো, তাহলে অবশ্যই আমি ঐ বড় শহর নীনবীর জন্য দুঃখ বোধ করতে পারি এবং তাকে ক্ষমা করতে পারি| ওই শহরে বহু লোক এবং জীবজন্তু আছে| সংখ্যায় 1,20,000বেশী মানুষ ওই শহরে আছে, এবং তারা তাদের মন্দ কাজের সম্বন্ধে জানত না|”