English Bible Languages

Indian Language Bible Word Collections

Bible Versions

English

Tamil

Hebrew

Greek

Malayalam

Hindi

Telugu

Kannada

Gujarati

Punjabi

Urdu

Bengali

Oriya

Marathi

Assamese

Books

Ezekiel Chapters

Ezekiel 3 Verses

1 পরে তিনি আমাকে কহিলেন, হে মনুষ্য-সন্তান, তোমার কাছে যাহা উপস্থিত, তাহা ভোজন কর, এই পুস্তকখানি ভোজন কর, এবং ইস্রায়েল-কুলের নিকটে গিয়া তাহাদের সহিত কথা বল।
2 তখন আমি মুখ খুলিলাম, আর তিনি আমাকে সেই পুস্তক ভোজন করাইলেন;
3 আর তিনি আমাকে কহিলেন, হে মনুষ্য-সন্তান, আমি তোমাকে যে পুস্তক দিলাম, উহা জঠরে গ্রহণ করিয়া উদর পরিপূর্ণ কর। তখন আমি তাহা ভোজন করিলাম; আর তাহা আমার মুখে মধুর ন্যায় মিষ্ট লাগিল।
4 পরে তিনি আমাকে কহিলেন, হে মনুষ্য-সন্তান, তুমি যাও, ইস্রায়েল-কুলের নিকটে যাইয়া তাহাদিগকে আমার বাক্য সকল বল।
5 কারণ তুমি গভীর-বাক্‌ ও কঠিন ভাষাবাদী কোন জাতির কাছে প্রেরিত নও, কিন্তু ইস্রায়েল-কুলের নিকটে প্রেরিত হইতেছ।
6 যাহাদের কথা তোমার বোধের অগম্য, এমন গভীর-বাক্‌ ও কঠিন ভাষাবাদী অনেক জাতির কাছে তুমি প্রেরিত নও; আমি তাহাদের নিকটে তোমাকে পাঠাইলে তাহারা তোমার কথা অবশ্য শুনিত।
7 কিন্তু ইস্রায়েল-কুল তোমার কথা শুনিতে সম্মত হইবে না, যেহেতু তাহারা আমার কথা শুনিতে সম্মত নয়; কারণ ইস্রায়েল-কুল সকলেই দৃঢ়-কপাল ও কঠিনচিত্ত।
8 দেখ, আমি তাহাদের মুখের প্রতিকূলে তোমার মুখ, এবং তাহাদের কপালের প্রতিকূলে তোমার কপাল দৃঢ় করিলাম।
9 যে হীরক চক্‌মকি পাথর হইতেও দৃঢ়, তাহার ন্যায় আমি তোমার কপাল দৃঢ় করিলাম; যদ্যপি তাহারা বিদ্রোহীকুল, তথাপি তাহাদিগকে ভয় করিও না, ও তাহাদের মুখ দেখিয়া উদ্বিগ্ন হইও না।
10 আরও তিনি আমাকে কহিলেন, হে মনুষ্য-সন্তান আমি তোমাকে যাহা যাহা বলি, সেই সমস্ত বাক্য তুমি অন্তঃকরণে গ্রহণ কর, কর্ণ দিয়া শুন।
11 আর যাও, ঐ নির্ব্বাসিত লোকদের, তোমার স্বজাতি-সন্তানদের কাছে গিয়া তাহাদিগকে বল; তাহারা শুনুক বা না শুনুক, তথাপি তাহাদিগকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন।
12 পরে আত্মা আমাকে তুলিয়া লইলেন, এবং আমি আমার পশ্চাৎ দিকে এই বাক্য মহানির্ঘোষের শব্দের ন্যায় তাঁহার স্থান হইতে শুনিলাম, ‘ধন্য সদাপ্রভুর প্রতাপ’।
13 আর ঐ প্রাণীদের পরস্পরের পক্ষসমাঘাতের শব্দ, তাহাদের পার্শ্বে চক্রের শব্দ, এই মহানির্ঘোষের শব্দ শুনিলাম।
14 আর আত্মা আমাকে তুলিয়া লইয়া গেলে আমি মনস্তাপে দুঃখিত হইয়া গমন করিলাম; আর সদাপ্রভুর হস্ত আমার উপরে বলবৎ ছিল।
15 আমি টেল্‌-আবীবস্থ নির্ব্বাসিত লোকদের, কবার নদীতীরবাসীদিগের কাছে আসিলাম, এবং তাহারা যে স্থানে বাস করিত, সেই স্থানে সাত দিন স্তব্ধ থাকিয়া তাহাদের মধ্যে বসিয়া রহিলাম।
16 সাত দিন গত হইলে পর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার নিকটে উপস্থিত হইল,
17 হে মনুষ্য-সন্তান, আমি তোমাকে ইস্রায়েল-কুলের জন্য প্রহরী নিযুক্ত করিলাম; তুমি আমার মুখে কথা শুনিবে, এবং আমার নামে তাহাদিগকে চেতনা দিবে।
18 যখন আমি দুষ্ট লোককে বলি, তুমি মরিবেই মরিবে, তখন তুমি যদি তাহাকে চেতনা না দেও, এবং তাহার প্রাণরক্ষার্থে চেতনা দিবার জন্য সেই দুষ্ট লোককে তাহার কুপথের বিষয় কিছু না বল, তবে সেই দুষ্ট লোক নিজ অপরাধে মরিবে, কিন্তু তাহার রক্তের প্রতিশোধ আমি তোমার হস্ত হইতে লইব।
19 কিন্তু তুমি দুষ্টকে চেতনা দিলে সে যদি আপন দুষ্টতা ও কুপথ হইতে না ফিরে, তবে সে নিজ অপরাধে মরিবে, কিন্তু তুমি আপন প্রাণ রক্ষা করিলে।
20 আবার, কোন ধার্ম্মিক লোক যদি আপন ধার্ম্মিকতা হইতে ফিরিয়া অন্যায় করে, আর আমি তাহার সম্মুখে বিঘ্ন রাখি, তবে সে মরিবে; তুমি তাহাকে চেতনা না দিলে সে নিজ পাপে মরিবে, এবং তাহার কৃত ধর্ম্মকর্ম্ম সকল আর স্মরণে আসিবে না; কিন্তু আমি তোমার হস্ত হইতে তাহার রক্তের প্রতিশোধ লইব।
21 আর তুমি ধার্ম্মিক লোককে পাপ না করিতে চেতনা দিলে সে যদি পাপ না করে, তবে সচেতন হওয়াতে সে অবশ্য বাঁচিবে; আর তুমিও আপন প্রাণ রক্ষা করিলে।
22 পরে সেই স্থানে সদাপ্রভু আমার উপরে হস্তার্পণ করিলেন, আর তিনি কহিলেন, উঠ, বাহির হইয়া সমস্থলীতে যাও, আমি সেখানে তোমার সহিত কথা বলিব।
23 তাহাতে আমি উঠিয়া সমস্থলীতে গমন করিলাম, আর দেখ, সে স্থানে সদাপ্রভুর সেই প্রতাপ দণ্ডায়মান, কবার নদীতীরে যে প্রতাপ দেখিয়াছিলাম; তখন আমি উপুড় হইয়া পড়িলাম।
24 পরে আত্মা আমাতে প্রবেশ করিয়া আমাকে পায়ে ভর দেওয়াইয়া দাঁড় করাইলেন; আর তিনি আমার সঙ্গে কথা বলিয়া আমাকে কহিলেন, যাও, তুমি আপন গৃহের দ্বার রুদ্ধ করিয়া ভিতরে থাক।
25 কিন্তু হে মনুষ্য-সন্তান, দেখ, লোকেরা রজ্জু দিয়া তোমাকে বাঁধিবে, তাহাতে তুমি বাহিরে তাহাদের মধ্যে যাইতে পারিবে না।
26 আর আমিও তোমার জিহ্বা মুখের তালুতে সংলগ্ন করিব, তাহাতে তুমি বোবা হইবে, তাহাদের কাছে দোষবক্তা হইবে না, কেননা তাহারা বিদ্রোহীকুল।
27 কিন্তু যখন আমি তোমার সঙ্গে কথা বলি, তখন তোমার মুখ খুলিয়া দিব, তাহাতে তুমি তাহাদিগকে এই কথা কহিবে, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন; যে শুনে সে শুনুক, যে না শুনে সে না শুনুক; কেননা তাহারা বিদ্রোহীকুল।
×

Alert

×