যদি তাহার প্রভু তাহার বিবাহ দেয়, এবং সেই স্ত্রী তাহার জন্য পুত্র কি কন্যা প্রসব করে, তবে সেই স্ত্রীতে ও তাহার সন্তানগণে তাহার প্রভুর স্বত্ব থাকিবে, সে একাকী চলিয়া যাইবে।
তাহার প্রভু তাহাকে আপনার জন্য নিরূপণ করিলেও যদি তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়, তবে সে তাহাকে মুক্ত হইতে দিবে; তাহার সঙ্গে প্রবঞ্চনা করাতে অন্য জাতির কাছে তাহাকে বিক্রয় করিবার অধিকার তাহার হইবে না।
আর যদি কোন ব্যক্তি অন্যকে বধ করিতে চেষ্টা না পায়, কিন্তু ঈশ্বর তাহাকে তাহার হস্তে সমর্পণ করেন, তবে যে স্থানে সে পলাইতে পারে, এমন স্থান তোমার নিমিত্ত আমি নিরূপণ করিব।
কিন্তু যদি কেহ দুঃসাহস করিয়া ছলে আপন প্রতিবাসীকে বধ করণার্থ তাহার উপর চড়াউ হয়, তবে সে ব্যক্তির প্রাণদণ্ড করণার্থে তাহাকে আমার বেদির নিকট হইতেও লইয়া যাইবে।
আর পুরুষেরা বিবাদ করিয়া কোন গর্ভবতী স্ত্রীকে প্রহার করিলে যদি তাহার গর্ভপাত হয়, কিন্তু পরে আর কোন আপদ না ঘটে, তবে ঐ স্ত্রীর স্বামীর দাবী অনুসারে তাহার অর্থদণ্ড অবশ্য হইবে, ও সে বিচারকর্ত্তাদের বিচারমতে টাকা দিবে।
আর গোরু কোন পুরুষ কি স্ত্রীকে শৃঙ্গাঘাত করিলে সে যদি মরে, তবে ঐ গোরু অবশ্য প্রস্তরাঘাতে বধ্য হইবে, এবং তাহার মাংস অখাদ্য হইবে; কিন্তু গোরুর স্বামী দণ্ড পাইবে না।
পরন্তু ঐ গোরু পূর্ব্বে শৃঙ্গাঘাত করিত, ইহার প্রমাণ পাইলেও তাহার স্বামী তাহাকে সাবধানে না রাখাতে যদি সে কোন পুরুষকে কিম্বা স্ত্রীকে বধ করে, তবে সে গোরু প্রস্তরাঘাতে বধ করা যাইবে; এবং তাহার স্বামীরও প্রাণদণ্ড হইবে।
আর কেহ যদি কোন কূপ অনাবৃত করে, কিম্বা কূপ খনন করিয়া তাহা আবৃত না করে, তবে তাহার মধ্যে কোন গোরু কিম্বা গর্দ্দভ পড়িলে সেই কূপের স্বামী ক্ষতিপূরণ করিবে,
আর, এক জনের গোরু অন্য জনের গোরুকে শৃঙ্গাঘাত করিলে সেটা যদি মরে, তবে তাহারা জীবিত গোরু বিক্রয় করিয়া তাহার মূল্য দুই অংশ করিবে, এবং ঐ মৃত গোরুও দুই অংশ করিয়া লইবে।
কিন্তু যদি জানা যায়, সেই গোরু পূর্ব্বে শৃঙ্গাঘাত করিত, ও তাহার স্বামী তাহাকে সাবধানে রাখে নাই, তবে সে তাহার পরিবর্ত্তে অন্য গোরু দিবে, কিন্তু মৃত গোরু তাহারই হইবে।