1
|
তোমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ কোথা থেকে আসে তা কি তোমরা জান? তোমাদের দেহের মধ্যে য়ে সব স্বার্থপর লালসা যুদ্ধ করছে, সেই সবের মধ্য থেকেই আসে৷ |
2
|
তোমরা কিছু চাও কিন্তু তা পাও না, তখন খুন কর ও অপরকে হিংসা কর৷ কিন্তু তবুও তা পেতে পারো না, তাই তোমরা ঝগড়া কর, মারামারি কর৷ তোমরা যা চাও, তা পাও না, কারণ তোমরা ঈশ্বরের কাছে চাও না৷ |
3
|
অথবা চাইলেও পাও না কারণ তোমরা অসত্ উদ্দেশ্য নিয়ে চাও৷ তোমরা কেবল নিজেদের ভোগ বিলাসে ব্যবহারের জন্য জিনিস চাও৷ |
4
|
সুতরাং তোমরা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত নও৷ তোমাদের জানা উচিত য়ে জাগতিক বস্তুগুলিকে ভালবাসার অর্থ হল ঈশ্বরকে ঘৃণা করা৷ তাই য়ে কেউ জগতের বন্ধু হতে চায় সে ঈশ্বরের শত্রু হয়ে ওঠে৷ |
5
|
তোমরা কি মনে কর য়ে শাস্ত্রের এইসব কথা অর্থহীন? শাস্ত্র বলে, ‘ঈশ্বর য়ে আত্মাকে আমাদের অন্তরে বাস করতে দিয়েছেন, তা চায় য়েন আমরা শুধু তাঁরই হই৷’ |
6
|
কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহদান তার থেকেও বড় বিষয়৷ তাই শাস্ত্রে লেখা আছে: ‘ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু যাঁরা নম্র তিনি তাদের অনুগ্রহ প্রদান করেন৷’ |
7
|
তাই তোমরা নিজেদের ঈশ্বরের কাছে সঁপে দাও৷ দিয়াবলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও, তাহলে সে তোমাদের ছেড়ে পালিয়ে যাবে৷ |
8
|
তোমরা ঈশ্বরের নিকটবর্তী হও, তাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্তী হবেন৷ পাপীরা, তোমাদের জীবন থেকে পাপ দূর করো৷ তোমরা একই সাথে ঈশ্বরের ও জগতের সেবা করতে চেষ্টা করছ৷ তোমাদের অন্তঃকরণ পবিত্র কর৷ |
9
|
তোমরা শোক কর, দুঃখে ভেঙ্গে পড় ও কাঁদ, তোমাদের হাসি কান্নায় পরিণত হোক্, আর আনন্দ, বিষাদে পরিণত হোক্৷ |
10
|
তোমরা প্রভুর সামনে নত হও, তাহলে তিনি তোমাদের উন্নীত করবেন৷ |
11
|
ভাই ও বোনেরা, তোমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে নিন্দা করা বন্ধ কর৷ যদি কেউ তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে অথবা তার ভাইয়ের বিচার করে, সে বিধি-ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই কথা বলে এবং ব্যবস্থার বিচার করে৷ যদি তুমি বিধি-ব্যবস্থার বিচার কর, তাহলে তুমি আর তার পালনকারী হলে না বরং বিধি-ব্যবস্থার বিচারক হলে৷ |
12
|
একমাত্র ঈশ্বরই বিধি-ব্যবস্থা দিতে পারেন ও বিচার করতে পারেন৷ একমাত্র তিনিই বিচারকর্তা, কেবল তিনিই আমাদের রক্ষা করতে বা বিনষ্ট করতে পারেন৷ তাই অন্য কারুরই বিচার করা তোমার অধিকারে নেই৷ |
13
|
তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে, ‘আজ বা কাল আমরা এমন শহরে যাব, য়েখানে গিয়ে এক বছর থাকব আর ব্যবসা করে লাভ করব৷’ |
14
|
একটু ভেবে দেখ, কাল কি হবে তা তুমি জান না৷ তোমাদের প্রাণ তো কুয়াশার মতো, ক্ষণকালের জন্য তা দৃষ্টিগোচর হয়, তারপর উবে যায়৷ |
15
|
তাই তোমাদের বলা উচিত, ‘প্রভুর ইচ্ছা হলে, আমরা বেঁচে থাকব আর এটা ওটা করব৷’ |
16
|
কিন্তু এখন তোমরা নিজেদের বিষয়ে নিজেরাই অহঙ্কার ও দর্প করছ; আর এই প্রকারের সব অহঙ্কার অন্যায়৷ |
17
|
মনে রেখো, য়ে সত্ কর্ম করতে জানে অথচ তা না করে, সে পাপ করে৷ |
James 4:15 Urdu Language Bible Words basic statistical display
COMING SOON ...