তখন প্রভু নোহকে বললেন, “তুমি য়ে একজন সত্ মানুষ তা আমি লক্ষ্য করেছি| এমনকি এই য়ুগের দুষ্ট লোকদের মধ্যেও তুমি নিজেকে সত্ রেখেছ| সুতরাং তোমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে তুমি গিয়ে নৌকোতে ওঠো|
সমস্ত রকম পাখীর সাতটি করে জোড়া নেবে| এর ফলে পৃথিবীর অন্যান্য সমস্ত পশুপাখী আমি ধ্বংস করে ফেলার পরেও এইসব পশুপাখী সম্পূর্ণভাবে বংশলোপের হাত থেকে রক্ষা পাবে|
এখন থেকে ঠিক সাতদিন পরে আমি পৃথিবীতে প্রবল বর্ষণ ঘটাবো|40 দিন 40 রাত ধরে বৃষ্টি হবে| আমি পৃথিবীর সমস্ত জীবন্ত প্রাণী ধ্বংস করে দেব| যা কিছু আমি সৃষ্টি করেছি, সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে|”
নোহর 600তম বছরের দ্বিতীয় মাসের 17 তম দিনে সমস্ত ভূগর্ভস্থ প্রস্রবণ ফেটে বেরিয়ে এল, মাটি থেকে জল বইতে শুরু করল| ঐদিন মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল, বাঁধ ভেঙে গেল এবং সমস্ত পৃথিবী জলপ্লাবিত হলো| সেই একই দিনে প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টিপাত শুরু হল য়েন আকাশের সমস্ত জানালা খুলে গেল| 40 দিন 40 রাত ধরে সমানে বৃষ্টি হলো| সেই দিনটিতেই নোহ ও তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের তিন পুত্র শেম, হাম, য়েফত্ আর তাদের তিন স্ত্রী সকলেই নৌকোয প্রবেশ করল|
ঐ সব মানুষ আর পৃথিবীর যাবতীয় পশুপাখী নৌকোর মধ্যে আশ্রয় নিলো| সব রকমের গৃহপালিত জন্তু এবং পৃথিবীতে যতরকমের পশুপাখী চলে ফিরে আর উড়ে বেড়ায সবাই নৌকোর ভেতরে নিরাপদে থাকলো|
পৃথিবীর সমস্ত জীব মারা গেল| প্রতিটি পুরুষ ও স্ত্রী এবং পৃথিবীর সমস্ত জন্তু জানোয়ার মারা পড়ল| সমস্ত বন্য প্রাণী, সরীসৃপ ধ্বংস হয়ে গেল| স্থলচর যত প্রাণী শ্বাস প্রশ্বাস নেয় তারাও মারা গেল|
এইভাবে ঈশ্বর পৃথিবীকে একেবারে পরিষ্কার করে ফেললেন| পৃথিবীর সমস্ত জীবন্ত অস্তিত্ব ধ্বংস করে ফেললেন| সমস্ত মানুষ, সমস্ত জন্তু জানোয়ার, বুকে হাঁটা সমস্ত প্রাণী এবং সমস্ত পাখী এই সব কিছুই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল| নোহ আর নোহের পরিবার পরিজন এবং নৌকোতে আশ্রয় পাওয়া পশুপাখী - কেবলমাত্র এইসব প্রাণের অবশেষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকলো|