1
|
রাজা শলোমন তাঁর নিজের জন্য একটি রাজপ্রাসাদও বানিয়েছিলেন| প্রাসাদটি বানাতে 13 বছর সময় লেগেছিল| |
2
|
এছাড়াও তিনি “লিবানোনের বাগান” নামে একটি বাড়ি বানিয়েছিলেন| এই বাড়ীটির দৈর্ঘ্য ছিল 100 হাত, প্রস্থ 50 হাত ও উচ্চতা 30 হাত| বাড়ীটায এরস কাঠের চারসারি স্তম্ভ ছিল| স্তম্ভগুলির মাথায় কাঠের আচ্ছাদন ছিল| |
3
|
স্তম্ভের শীর্ষভাগে ছিল সারি সারি কড়ি বর্গা| আর তার ওপর ছাদের জন্য এরস তক্তা বসানো হয়েছিল| একেকটি স্তম্ভের ওপর 15টি কড়ি মিলিয়ে মোট 45টি কড়ি বসানো ছিল| |
4
|
প্রত্যেকটি ধারের দেওয়ালে তিন সারি করে মুখোমুখি জানালা বসানো ছিল| |
5
|
প্রত্যেক সারির শেষে দরজা ছিল| দরজাগুলোর মুখ এবং কাঠামো ছিল চার কোণা| |
6
|
এছাড়া শলোমন 50 হাত লম্বা ও 30 হাত চওড়া একটি “ঝুলন্ত বারান্দা” বানিয়েছিলেন| বারান্দার সামনে একটা ছাদ ছিল য়েটা অনেক থাম বা খিলানকে অবলম্বন করেছিল| |
7
|
লোকের বিচার করার জন্য শলোমন একটি “বিচার কক্ষও” বানিয়েছিলেন| এই ঘরের আগাগোড়া এরস কাঠে মোড়া ছিল. |
8
|
শলোমনের নিজের বাসগৃহটি এই বিচারকক্ষের ভেতরে ছিল| এই গৃহটি বিচারকক্ষের মতোই ছিল| তিনি তাঁর স্ত্রী, মিশরের রাজার মেয়ের জন্যও একই রকম একটা গৃহ বানিয়ে দিয়েছিলেন| |
9
|
প্রত্যেকটি বাড়ী মূল্যবান পাথরে তৈরী হয়েছিল| বিশেষ এক ধরণের করাতের সাহায্যে প্রথমে পাথরগুলোকে সঠিক মাপে সামনে ও পেছনে কেটে নেওয়া হত| একেবারে বাড়ির ভিত থেকে দেওয়ালের মাথা পর্য়ন্ত এইসব দামী পাথর বসানো হত| এমনকি উঠোনের চারপাশের দেওয়ালগুলোও এই সমস্ত দামী পাথরে বানানো হয়েছিল| |
10
|
বাড়ির ভিতগুলো য়ে সমস্ত বড় বড় দামী পাথরে বানানো হত সেগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল 10 হাত এবং কয়েকটি ছিল 8 হাত| |
11
|
ঐসব পাথরের ওপর ছিল অন্যান্য মূল্যবান পাথর এবং এরস গাছের তৈরী থাম| |
12
|
রাজপ্রাসাদের আঙ্গিনা থেকে শুরু করে মন্দির প্রাঙ্গণ, মন্দিরের বারান্দা, ঘরের চারপাশে তিন সারি পাথর ও এক সারি এরস কাঠের দেওয়াল ছিল| |
13
|
রাজা শলোমন খবর পাঠিয়ে সোর থেকে হীরম নামে এক ব্যক্তিকে জেরুশালেমে নিয়ে আসেন| |
14
|
হীরমের মা ছিলেন নপ্তালির এক ইস্রায়েলীয় পরিবারগোষ্ঠীর মহিলা| তাঁর মৃত পিতা ছিলেন সোরের বাসিন্দা| হীরম ছিল পিতলের জিনিসপত্রের দক্ষ কারিগর| এ কারণেই শলোমন হীরমকে ডেকে পাঠিয়ে পিতলের কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন| যা কিছু পিতলের কাজ সে সবই হীরম করেছিল| |
15
|
হীরম প্রায় 18 হাত দীর্ঘ, 12 হাত পরিধিযুক্ত এবং 3 ইঞ্চি পুরু পিতলের দুটো ফাঁপা স্তম্ভ বানিয়েছিল| |
16
|
এছাড়া হীরম মন্দিরের জন্য 5 হাত উচ্চ খাঁটি পিতলের দুটি রাজস্তম্ভ বানিয়েছিল এবং তাদের স্তম্ভগুলির মাথায় বসিযেছিল| |
17
|
এরপর হীরম এই স্তম্ভগুলি ঢাকার জন্য দুটো শিকলের জাল বানায়| |
18
|
তারপর সে ডালিমের মত দেখতে পিতলের দুসারি ফুল বানায়| এগুলি প্রতিটি স্তম্ভের জালের ওপর এমন ভাবে রাখা হয় য়ে স্তম্ভগুলির চূড়া ঢাকা পড়ে যায়| |
19
|
ফলতঃ স্তম্ভগুলির সওযা হাত থেকে 5 হাত পর্য়ন্ত লম্বা শিখরগুলি ফুলের মত দেখতে লাগল| স্তম্ভ চূড়াগুলো স্তম্ভের উপর বাটির মত দেখতে জালে বসানো হয়েছিল| ওখানে স্তম্ভ চূড়াগুলোর চার পাশে |
20
|
টা ডালিম সারিবদ্ধভাবে বসানো ছি ল| |
21
|
হীরম পিতল নির্মিত মন্দিরের বারান্দাতে দুটি স্তম্ভ স্থাপন করল| দক্ষিণ দিকের স্তম্ভটিকে বলা হত যাখীন| উত্তর দিকের স্তম্ভটিকে বলা হত বোযস| |
22
|
পুষ্পাকৃতি স্তম্ভ চূড়া দুটোকে স্তম্ভের মাথায় বসিযে স্তম্ভের কাজ শেষ করা হয়| |
23
|
অতঃপর হীরম পিতল দিয়ে গোলাকার একটা জলাধার বানালো, যার নাম দেওয়া হল “সমুদ্র|” এটির পরিধি ছিল 30 হাত, ব্যাস ছিল 10 হাত ও গভীরতা ছিল 5 হাত | |
24
|
জলাধারটি ঘিরে পিতলের একটি ফালি বসানো ছিল| এই ফালিটির তলায় জলাধারের গায়ে দুসারি পিতলের লতাপাতার নকশা কাটা ছিল| |
25
|
আর গোটা জলাধারটি বসানো ছিল 12টি পিতলের তৈরী ষাঁড়ের পিঠে 12টি ষাঁড়ের তিনটির মুখ ছিল উত্তরমুখী, তিনটির দক্ষিণমুখী, তিনটির পূর্বমুখী ও বাকী তিনটির পশ্চিমমুখী| |
26
|
জলাধারটির চারিধার 3 ইঞ্চি পুরু| জলাধারের কাণা পানপাত্রের কাণার সদৃশ অথবা ফুলের পাপড়ির মতো ছিল| জলাধারটিতে প্রায় 11,000 গ্য়ালন জল ধরত| |
27
|
এরপর হীরম 10টি পিতলের ঠেলা বানালো| প্রত্যেকটি ঠেলা ছিল 4 হাত লম্বা, 4 হাত চওড়া আর উচ্চতায় 3 হাত| |
28
|
ঠেলাগুলি কাঠামোয বসানো চৌকোণা তক্তা দিয়ে বানানো হয়েছিল, |
29
|
যার ওপর পিতলের সিংহ, ষাঁড় ও করূব দূতের প্রতিকৃতি খোদাই করা ছিল| এইসব প্রতিকৃতির ওপরে ও নীচে নানান ফুলের নকশা কাটা হয়েছিল| |
30
|
প্রতিটি ঠেলায 4টি করে পিতলের চাকা ছিল| কোণায ছিল একটি বড় পাত্র রাখার মতো পিতলের কয়েকটি পাযা, য়েগুলোর গায়ে নানা ধরণের ফুল লাগানো হয়েছিল| |
31
|
বাটিগুলির প্রায় 1 হাত ওপরে একটি নকশা খোদাই করা কাঠামো ছিল| বাটিগুলির মুখ ছিল গোল, ব্যাস 1.5 হাত| কাঠামোটি ছিল চৌকোণা, গোল নয়| |
32
|
কাঠামোর নীচের দিকে চারটি চাকা ছিল| চাকাগুলির ব্যাস 1.5 হাত| চাকার মধ্যের দণ্ডগুলি ঠেলা গাড়ীর সঙ্গে একসঙ্গেই যুক্ত ছিল| |
33
|
এই চাকাগুলো ছিল রথের চাকার মতো এবং চাকার সব কিছুই ছিল পিতলে বানানো| |
34
|
পাত্র ধরে রাখার পাযা চারটি প্রত্যেকটা ঠেলার চারকোণায বসানো ছিল| এগুলোও ঠেলার সঙ্গে একই ছাঁচে বসানো হয়| |
35
|
প্রত্যেকটা ঠেলার ওপরের দিকে পিতলের একটা করে ফালি বসানো ছিল| এই ফালিটাও ছিল একই ছাঁচে বানানো| |
36
|
ঠেলার চারপাশে এবং কাঠামোর গায়ে সিংহ, তালগাছ, করূব দূত ইত্যাদির ছবি খোদাই করা ছিল| গোটা ঠেলার যেখানেই জায়গা ছিল সেখানেই এই সব খোদাই করে দেওয়া হয়| আর ঠেলার চতুর্দিকে ফুলের নকশা খোদাই করে দেওয়া হয়েছিল| |
37
|
হীরম একই রকম দেখতে মোট 10টি ঠেলা বানিয়েছিল| এই প্রত্যেকটা ঠেলাই পিতল দিয়ে তৈরী একই ছাঁচে ফেলে বানানো হয়েছিল, য়ে কারণে এই সব কটাই এক রকম দেখতে ছিল| |
38
|
এছাড়াও হীরম প্রত্যেকটা ঠেলার জন্য একটা করে মোট 10টি বড় বাটি বানিয়েছিল| য়েগুলো প্রায় 4 হাত করে চওড়া ছিল এবং এই পাত্রগুলোয 230 গ্য়ালন পর্য়ন্ত পানীয় ধরত| |
39
|
হীরম ঠেলাগুলোর পাঁচটি রেখেছিল মন্দিরের উত্তর দিকে এবং পাঁচটি মন্দিরের দক্ষিণ দিকে| আর বড় পাত্রটিকে মন্দিরের দক্ষিণপূর্ব কোণায বসিযেছিল| |
40
|
এছাড়াও শলোমনের নির্দেশ মতো অজস্র পাত্র, ছোট হাতা, ছোট বাটি যা কিছু তাকে বানাতে বলা হয়েছিল সে বানিয়েছিল| প্রভুর মন্দিরে হীরম যা কিছু বানিয়েছিল তার তালিকা দেওয়া হল:2টি স্তম্ভ, স্তম্ভের ওপরে বসানোর জন্য বাটির মতো দেখতে2টি স্তম্ভ চূড়া, গম্বুজগুলো ঘেরার জন্য2টি জাল, জালে লাগানোর জন্য400টি ডালিম| প্রতিটি জালের জন্য 2 সারি ডালিম ছিল যাতে স্তম্ভগুলির মাথার ওপরের গম্বুজ ঢাকা পড়ে, একটা বাটি সহ 10টি ঠেলা, একটি বড় চৌবাচ্চা যার নীচে ছিল 12টি ষাঁড়, ছোট হাতা, ছোটখাটো পাত্র ও প্রভুর মন্দিরের জন্য রয়োজনীয় অন্যান্য বাসনকোসন|শলোমন যা যা চেয়েছিলেন, হীরম তার সবই বানিয়ে দিয়েছিল চক্চকে পিতল দিয়ে| |
46
|
পিতল দিয়ে এতো বেশী জিনিসপত্র বানানো হয়েছিল য়ে শলোমন কখনও এসব ওজন করার চেষ্টা করেন নি| শলোমন এসবই য়র্দ্দন নদীর সুক্কোত্ ও সর্ত্তনের মধ্যবর্তী অঞ্চলে বানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন| এই সব জিনিসই পিতল গলিযে ছাঁচে ঢেলে বসানো হয়| |
48
|
শলোমন তাঁর মন্দিরের জন্য অনেক জিনিসই সোনা দিয়ে বানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন| মন্দিরের য়েসব জিনিস শলোমন সোনা দিয়ে বানিয়েছিলেন সেগুলো হল:সোনার বেদী,একটি সোনার টেবিল (যার ওপরে সাজিযে ঈশ্বরকে রুটির নৈবেদ্য দেওয়া হত),পবিত্রতম স্থানের উত্তর ও দক্ষিণে পাঁচটি পাঁচটি করে মোট 10টি বাতিদান,পবিত্রতম স্থানের উত্তর ও দক্ষিণের জন্য 5টি করে চিমটে, সোনার বাটি,কব্জাসমূহ, ছোট বাটি, পবিত্রতম স্থান ও মূল ঘরটির দরজার জন্য সোনার কপাট| |
51
|
এমনি করে শেষ পর্য়ন্ত শলোমন প্রভুর মন্দিরের জন্য যা যা করতে চেয়েছিলেন সেই কাজ শেষ হল| এরপর তাঁর পিতা রাজা দায়ূদ মন্দিরের জন্য য়ে সব জিনিস তাঁর কোষাগারে রেখে দিয়েছিলেন, শলোমন সেই সমস্ত জিনিস মন্দিরে নিয়ে এলেন| সোনা ও রূপো তিনি প্রভুর মন্দিরের কোষাগারে তুলে রাখলেন| |
1-Kings 7:1 Punjabi Language Bible Words basic statistical display
COMING SOON ...