গিলিয়দের তিশ্বী শহরে এলিয় নামে এক ভাববাদী বাস করতেন| তিনি রাজা আহাবকে বললেন, “আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর, প্রভুর সেবক| আমি সেই প্রভুর নামে অভিশাপ দিলাম আগামী কয়েক বছর বৃষ্টিপাত তো দূরের কথা, এদেশে এক ফোঁটা শিশির পর্য়ন্ত আর পড়বে না| এক মাত্র আমি নির্দেশ দিলেই আবার বৃষ্টিপাত হবে|”
তিনি এলিয়কে জানান য়ে তিনি কাক ও শকুনিদের রোজ তাঁর জন্য সেখানে খাবার এনে দেবার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তৃষ্ণা পেলে এলিয় করীতের জলধারা থেকে জলপানও করতে পারবেন|
এলিয় তখন সারিফত নগরের দরজার কাছে গিয়ে এক বিধবা মহিলাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পেলেন| সে আগুন জ্বালানোর জন্য কাঠ জড়ো করছিল| এলিয় তাঁকে বললেন, “আমায় একটু খাবার জল এনে দিতে পারো?”
কিন্তু সেই মহিলা উত্তর দিলেন, “আমি তোমার প্রভু ঈশ্বরের সামনে দিব্য়ি খেযে বলছি, আমার ঘরে রুটি নেই| শুধু বযামে অল্প একটু মযদা আর শিশিতে অল্প খানিক তেল রাখা আছে| আমি এখানে কাঠ কুড়োতে এসেছিলাম| আমি এই কাঠ বাড়ীতে বয়ে নিয়ে যাবো এবং আগুন বালিয়ে রুটি সেঁকব এবং আমার পুত্র ও আমি আমাদের শেষ আহার করব এবং তারপর খিদের জ্বালায মরে যাবো|”
এলিয় সেই মহিলাকে বললেন, “কোনো চিন্তা কোরো না| কথা মতো বাড়ি গিয়ে রান্না চড়াও| কিন্তু তার আগে ঐ মযদা থেকে ছোট্ট একটা রুটি বানিয়ে আমার জন্য নিয়ে এসো| তারপর তুমি তোমার আর তোমার পুত্রের জন্য রান্না করো|
মহিলা এলিয়কে এসে বলল, “আপনি ঈশ্বরের লোক, আপনি কি আমায় সাহায্য করতে পারবেন? নাকি আপনি এখানে এসে কেবল আমাকে আমার পাপের কথা মনে করিযে দিয়ে আমার পুত্রকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন?”
তারপর এলিয় প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললেন, “প্রভু, আমার ঈশ্বর, এই বিধবা রমণী আমাকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছে| আপনি কি তার প্রতি এই অনাচার করবেন? আপনি কি তার পুত্রকে মারা য়েতে দেবেন?”