সোরের রাজা হীরম ছিলেন রাজা শলোমনের পিতা দায়ূদের বন্ধু| হীরম যখন খবর পেলেন দায়ূদের পরে শলোমন নতুন রাজা হয়েছেন, তিনি তাঁর দাসদের শলোমনের কাছে পাঠালেন|
“আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে, আমার পিতা রাজা দায়ূদকে তাঁর চারপাশে অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছিল যত দিন পর্য়ন্ত না প্রভু তাঁকে তাদের উপর বিজয়ী হতে দেন, য়ে কারণে প্রভু, তাঁর ঈশ্বরের সম্মানে কোনো মন্দির বানানোর সময় পাননি|
“প্রভু আমার পিতাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘তোমার পরে আমি তোমার পুত্রকেই রাজা করবো, আর সে আমার জন্য একটা মন্দির বানাবে| তাই আমার আন্তরিক ইচ্ছা প্রভুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমি এবার সেই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করব|
আর একাজে আমি আপনার সাহায্য চাই| এর জন্য আপনি দয়া করে লিবানোনে আপনার লোকজন পাঠান| তারা সেখানে এসে আমার এই কাজের জন্য এরস গাছ কাটবে| আমার নিজের ভৃত্যরাও আপনার লোকদের সঙ্গে হাত লাগাবে| একাজের জন্য আপনার ভৃত্যদের য়ে পারিশ্রমিক দেওয়া উচিত্ বলে আপনি মনে করবেন আমি তাই দেব, কিন্তু আপনার সাহায্য অবশ্যই চাই| আমাদের এখানকার ছুতোররা সীদোনের ছুতোরদের মতো দক্ষ নয়|”
হীরম শলোমনের এই অনুরোধ শুনে খুবই খুশি হলেন| তিনি আনন্দিত হয়ে বললেন, “প্রভুকে আমি আমার অশেষ ধন্যবাদ জানাই, কারণ এই মহান সাম্রাজ্য শাসনের জন্য তিনি রাজা দায়ূদকে এক জন বুদ্ধিমান পুত্র উপহার দিয়েছেন|”
আমার ভৃত্যরা সেগুলো লিবানোন থেকে সমুদ্রের ধার পর্য়ন্ত আনার পর একসঙ্গে বেঁধে তুমি যেখানে চাও সেখানেই ভেলা করে সমুদ্রের কিনারা বেযে ভাসিযে দেব| তারপর আমি ভেলাগুলো সরিয়ে নেবার পর তুমি গাছগুলো নিয়ে নিতে পার| এবং আমার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করাই হবে আমার প্রতি তোমার অনুগ্রহ|”
প্রতিশ্রুতি মতো প্রভু শলোমনকে অন্তর্দৃষ্টি ও জ্ঞান দিয়েছিলেন এবং রাজা হীরম ও শলোমনের মধ্যে শান্তি বজায় ছিল| তাঁরা দুজনে নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তি করেন|
তিনি এই সমস্ত লোকদের খবরদারি করার জন্য অদোনীরাম নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেন| শলোমন এই 30,000 লোককে 10,000 লোকের তিনটি দলে ভাগ করে দিয়েছিলেন| লিবানোনে এক মাস কাজ করবার পর প্রত্যেকটি দলের লোকরা বাড়ী য়েত এবং দু মাস বিশ্রাম নিত|