পরে আমি স্বর্গে আর একটি মহত্ ও বিস্ময়কর চিহ্ন দেখলাম৷ সপ্তম স্বর্গদূতকে সপ্ত আঘাত নিয়ে আসতে দেখলাম৷ এগুলিই শেষতম আঘাত৷ এই আঘাতগুলির দ্বারা ঈশ্বরের মহাক্রোধের অবসান হবে৷
এরপর আমি অগ্নিমিশ্রিত কাঁচের সমুদ্রের মত কিছু একটা দেখলাম৷ যাঁরা সেই পশু, তার মূর্তি ও তার নামের সংখ্যাকে জয় করেছে, তারা ঈশ্বরের দেওয়া বীনা হাতে ধরে সেই কাঁচের সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে ছিল৷
তারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত গাইছিল: ‘হে প্রভু ঈশ্বর ও সর্বশক্তিমান, মহত্ ও আশ্চর্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে জাতিবৃন্দের রাজন! ন্যায় ও সত্য তোমার পথ সকল৷
হে প্রভু, কে না তোমার নামের প্রশংসা করবে? কারণ তুমিই একমাত্র পবিত্র৷ সমস্ত জাতি তোমার সামনে এসে তোমার উপাসনা করবে, কারণ তোমার ন্যায়সঙ্গত কাজ প্রকাশিত হয়েছে৷’
সেই সাতজন স্বর্গদূত যাদের ওপর শেষ সাতটি হানবার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা সেই মন্দির থেকে বাইরে এলেন৷ তাঁরা শুচি শুভ্র মসীনার পোশাক পরিহিত, তাঁদের বুকে সোনার ফিতে বাঁধা৷
পরে সেই চার প্রাণীর মধ্য থেকে একজন ঐ সাতজন স্বর্গদূতদের হাতে একে একে তুলে দিলেন সাতটি সোনার বাটি, সেগুলি যুগপর্য়ায়ে যুগে যুগে জীবন্ত ঈশ্বরের রোষে পরিপূর্ণ৷
তাতে ঈশ্বরের মহিমা ও পরাক্রম হতে উত্পন্ন ধোঁয়ায় মন্দিরটি পরিপূর্ণ হল৷ আর সেই সপ্ত স্বর্গদূতদের সপ্ত আঘাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারল না৷