তখন মনুষ্যেরা মহা উত্তাপে তাপিত হইল, এবং যিনি এই সকল আঘাতের উপরে কর্ত্তৃত্ব করেন, সেই ঈশ্বরের নামের নিন্দা করিল; তাঁহাকে গৌরব প্রদান করিবার জন্য মন ফিরাইল না।
পরে পঞ্চম দূত সেই পশুর সিংহাসনের উপরে আপন বাটি ঢালিলেন; তাহাতে তাহার রাজ্য অন্ধকারময় হইল, এবং লোকেরা বেদনা প্রযুক্ত আপন আপন জিহ্বা চর্ব্বণ করিতে লাগিল;
পরে ষষ্ঠ দূত ইউফ্রেটীস মহানদীতে আপন বাটি ঢালিলেন; তাহাতে নদীর জল শুষ্ক হইয়া গেল, যেন সূর্য্যোদয় স্থান হইতে আগমনকারী রাজাদের জন্য পথ প্রস্তুত করা যাইতে পারে।
তাহাতে মহানগরী তিন ভাগে বিভক্ত হইল, এবং জাতিগণের নগর সকল পতিত হইল; এবং মহতী বাবিলকে ঈশ্বরের সাক্ষাতে স্মরণ করা গেল, যেন ঈশ্বরের ক্রোধের রোষমদিরাতে পূর্ণ পানপাত্র তাহাকে দেওয়া যায়।
আর আকাশ হইতে মনুষ্যদের উপরে বৃহৎ বৃহৎ শিলাবর্ষণ হইল, তাহার এক একটী এক এক তালন্ত পরিমিত; এই শিলা-বৃষ্টিরূপ আঘাত প্রযুক্ত মনুষ্যেরা ঈশ্বরের নিন্দা করিল; কারণ সেই আঘাত অতিশয় ভারী।