আর স্বর্গমধ্যে এক মহৎ চিহ্ন দেখা গেল। একটী স্ত্রীলোক ছিল, সূর্য্য তাহার পরিচ্ছদ, ও চন্দ্র তাহার পদের নীচে, এবং তাহার মস্তকের উপরে দ্বাদশ তারার এক মুকুট।
পরে সেই স্ত্রীলোকটী “এক পুত্রসন্তান প্রসব করিল; যিনি লৌহদণ্ড দ্বারা সমস্ত জাতিকে শাসন করিবেন।” আর তাহার সন্তানটী ঈশ্বরের ও তাঁহার সিংহাসনের নিকটে নীত হইলেন।
আর সেই মহানাগ নিক্ষিপ্ত হইল; এ সেই পুরাতন সর্প, যাহাকে দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ] বলা যায়, সে সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মায়; সে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হইল, এবং তাহার দূতগণও তাহার সঙ্গে নিক্ষিপ্ত হইল।
তখন আমি স্বর্গে এই উচ্চ রব শুনিলাম, ‘এখন পরিত্রাণ ও পরাক্রম ও রাজত্ব আমাদের ঈশ্বরের, এবং কর্ত্তৃত্ব তাঁহার খ্রীষ্টের অধিকার হইল; কেননা যে আমাদের ভ্রাতৃগণের উপরে দোষারোপকারী, যে দিবারাত্র আমাদের ঈশ্বরের সম্মুখে তাহাদের নামে দোষারোপ করে, সে নিপাতিত হইল।
আর মেষশাবকের রক্ত প্রযুক্ত, এবং আপন আপন সাক্ষ্যের বাক্য প্রযুক্ত, তাহারা তাহাকে জয় করিয়াছে; আর তাহারা মৃত্যু পর্য্যন্ত আপন আপন প্রাণও প্রিয় জ্ঞান করে নাই।
তখন সেই স্ত্রীলোকটীকে বৃহৎ ঈগল পক্ষীর দুই পক্ষ দত্ত হইল, যেন সে প্রান্তরে, নিজ স্থানে উড়িয়া যায়, যেখানে ঐ নাগের দৃষ্টি হইতে দূরে ‘এক কাল ও দুই কাল ও অর্দ্ধ কাল’ পর্য্যন্ত সে প্রতিপালিতা হয়।
আর সেই স্ত্রীলোকটীর প্রতি নাগ ক্রোধান্বিত হইল, আর তাহার বংশের সেই অবশিষ্ট লোকদের সহিত, যাহারা ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন ও যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিতে গেল।