Indian Language Bible Word Collections
Lamentations 3:20
Lamentations Chapters
Lamentations 3 Verses
Books
Old Testament
New Testament
Bible Versions
English
Tamil
Hebrew
Greek
Malayalam
Hindi
Telugu
Kannada
Gujarati
Punjabi
Urdu
Bengali
Oriya
Marathi
Books
Old Testament
New Testament
Lamentations Chapters
Lamentations 3 Verses
1
|
আমি সেই মানুষ যে অনেক দুঃখ কষ্ট দেখেছে| আমি তাকে দেখেছি যে আমাদের লাঠি দিয়ে মেরেছিল! |
2
|
প্রভু আমাকে আলোয নয় অন্ধকারে নিয়ে এলেন| |
3
|
প্রভু আমাকে সারা দিন ধরে তাঁর হাত দিয়ে মারধোর করেছেন| তিনি আমাকে বারবার মারলেন| |
4
|
তিনি আমার চামড়া ও মাংস ছিঁড়ে ফেললেন| তিনি হাড়গোড় ভেঙ্গে দিলেন| |
5
|
প্রভু আমার বিরুদ্ধে তিক্ততা ও সমস্যার পাহাড় তৈরী করলেন| তিনি আমার চারি দিকে তিক্ততার সমস্যাকে আনলেন| |
6
|
যারা দীর্ঘসময় থেকে মৃত তাদের মতো তিনি আমাকে অন্ধকারে বসিযে রাখলেন| |
7
|
তিনি আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখলেন| তাই আমি বেরোতে পারলাম না| ভারী চেন দিয়ে তিনি আমাকে বেঁধে রাখলেন| |
8
|
এমনকি যখন আমি সাহায্যের জন্য চিত্কার করে কাঁদলাম প্রভু আমার সেই প্রার্থনায কর্ণপাত করেন নি| |
9
|
তিনি ভাঙ্গা পাথর দিয়ে আমার বেরোনোর পথ বন্ধ করে দিয়েছেন| তিনি ঐ পথকে অাঁকাবাঁকা করে দিয়েছেন| |
10
|
প্রভু যেন আমাকে আক্রমণ করতে উদ্যত এক ভাল্লুক| তিনি যেন গুহায লুকিয়ে থাকা এক সিংহ| |
11
|
প্রভু আমাকে আমার পথের বাইরে চালনা করলেন| তিনি আমাকে খণ্ড খণ্ড করে ছিঁড়ে ধ্বংস করলেন| |
12
|
তিনি তাঁর ধনুক প্রস্তুত করে রাখলেন| আমি তাঁর তীরের লক্ষ্য বস্তু হলাম| |
13
|
আমার পাকস্থলীতে তিনি আঘাত করলেন| তিনি তাঁর তূনীর থেকে একটি তীর ব্যবহার করে আমাকে বিদ্ধ করলেন| |
14
|
লোকের কাছে আজ আমি উপহাসের পাত্র| সারাদিন ধরে আমার সম্পর্কে গান গেযে গেযে তারা আমায় উপহাস করে| |
15
|
এই বিষ (শাস্তি) প্রভুই আমায় পান করতে দিয়েছেন| তিনি এই তিক্ত পানীয় দিয়ে আমায় পূর্ণ করেছেন| |
16
|
তিনি আমায় কাঁকর খেতে বাধ্য করলেন| তিনি আমায় নোংরায় ফেলে দিলেন| |
17
|
আমি ভাবলাম আর কখনও শান্তি পাবো না| সমস্ত ভালো জিনিসের ভাবনা ভুললাম| |
18
|
নিজে নিজে বললাম, “প্রভুর সাহায্যের প্রত্যাশা আর নেই|” |
19
|
আমার যন্ত্রণা এবং আমার উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়ানো মনে রাখবেন| যে শাস্তি আপনি আমায় দিয়েছিলেন তা মনে রাখবেন| |
20
|
সব দুঃখ কষ্টের কথা আমার ভালো ভাবেই মনে আছে এবং আমি খুবই বিষন্ন| |
21
|
কিন্তু ঠিক তক্ষুনি, আমি অন্য কিছু ভাবি| যখন আমি এরকম করে ভাবি, আমি কিছু আশা দেখতে পাই| আমার ভাবনাগুলি হল এইরকম: |
22
|
প্রভুর করুণা ও ভালোবাসা অসীম| তাঁর দয়ার কোন শেষ নেই| |
23
|
প্রতিটি প্রভাতে নতুন নতুন ভাবে আপনি এটা প্রদর্শন করেন! আপনি খুব নির্ভরয়োগ্য এবং বিশ্বস্ত! |
24
|
আমি মনে মনে বললাম, “আমি যা চাই তা হল, প্রভু| তাঁর ওপর আমার আস্থা আছে|” |
25
|
যে সব লোকরা প্রভুর জন্য অপেক্ষা করে, প্রভু তাদের প্রতি সদয হন| প্রভুর কাছে যারা সাহায্য চায় তাদের প্রতি প্রভু সদয| |
26
|
নিজেকে রক্ষা করবার সব চেয়ে ভাল উপায় হল শান্ত ভাবে প্রভুর অপেক্ষায থাকা| |
27
|
কোন ব্যক্তির পক্ষে ছোট বেলা থেকেই য়োযাল বহন করা ভালো| |
28
|
প্রভু যখন তাঁর য়োযাল বা বাঁক কোন ব্যক্তির ওপর রাখেন তখন শান্ত ভাবে একাকী তার বসে থাকা উচিত| |
29
|
উদ্ধার পাবার আশায় তাকে তার মুখ আভূমি নত করতে হবে| |
30
|
ওই লোকটির গাল বাড়িয়ে চড় খাওয়া উচিত| ওই ব্যক্তির উচিত অন্যদের তাকে অপমান করতে দেওয়া| |
31
|
ওই ব্যক্তির মনে রাখা উচিত যে প্রভু কাউকেই চির কালের জন্য পরিত্যাগ করেন না| |
32
|
প্রভু যখন শাস্তি দেন তখন তিনি ক্ষমাও করেন| এই ক্ষমা তাঁর গভীরে ভালবাসা আর করুণা থেকেই আসে| |
33
|
প্রভু কাউকে শাস্তি দিতে চান না| লোকরা অশান্তিতে থাকুক এটাও তিনি চান না| |
34
|
প্রভু এইগুলি পছন্দ করেন না: তিনি দেশের সব বন্দীদের তাঁর পায়ের তলায় পিষে ফেলতে চান না| তিনি কাউকে পেষণ করতে চান না| |
35
|
এক জন অন্যের প্রতি অন্যায় করুক এটা তিনি কখনও চান না| কিন্তু কিছু মানুষ সব সময়ই পরাত্পরের সামনে এরকম কাজ করে| |
36
|
এক জন ব্যক্তি আর এক জনকে আদালতে প্রতারণা করুক এটা প্রভু একেবারে পছন্দ করেন না| |
37
|
কোন লোকেরই কিছু বলা এবং সেটা ঘটানো উচিত নয় যতক্ষণ না প্রভু তা ঘটানোর আদেশ দেন| |
38
|
পরাত্পর ভালো ও মন্দ দুইই ঘটাতে আজ্ঞা দেন| |
39
|
যখন কাউকে পাপের জন্য প্রভু শাস্তি দেন, তখন সে জীবিত অবস্থায় অভিযোগ জানাতে পারে না| |
40
|
এসো, আমরা কি করেছি তা সতর্কভাবে পরীক্ষা করি| তারপর আমরা প্রভুতে আশ্রয় নেব| |
41
|
স্বর্গের ঈশ্বরের প্রতি হৃদয় এবং আমাদের হাত উত্তোলন করা উচিত্| |
42
|
এসো তাঁর উদ্দেশ্যে বলি, “আমরা পাপ করেছি এবং আমরা অবাধ্য হয়েছিলাম| আপনি আমাদের ক্ষমা করেননি|” |
43
|
আপনি আমাদের রোধ দিয়ে মুড়ে দিয়েছেন এবং আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছেন| কোন রকম ক্ষমা না করেই হত্যা করেছেন! |
44
|
মেঘের আচরণে আপনি নিজেকে ঢেকেছেন| এর কারণ, যাতে কোন প্রার্থনাই মেঘের মধ্যে দিয়ে যেতে না পারে| |
45
|
অন্য জাতিদের কাছে আপনি আমাদের আবর্জনা ও ময়লার মতো সৃষ্টি করেছেন| |
46
|
আমাদের সমস্ত শএুরা আমাদের ঠাট্টা করেছে| |
47
|
আমরা ভয় পেয়েছি| গভীর গর্তে পড়ে আমরা দারুণ আঘাত পেয়েছি| আমাদের সব কিছু ভেঙ্গেছে| |
48
|
আমার চোখ বেয়ে জলের স্রোত নেমেছে! আমি আমার লোকদের ধ্বংসের জন্য কেঁদেছি! |
49
|
যতক্ষণ পর্য়ন্ত না প্রভু স্বর্গ থেকে নীচে দেখেন ততক্ষণ অবিশ্রান্ত ভাবে আমার চোখের জল বয়ে যাবে! |
51
|
আমার দুটি চোখ আমায় বিমর্ষ করে তোলে যখন আমি আমার শহরের ছোট ছোট মেয়েদের দুর্দশা দেখি| |
52
|
ওই মানুষগুলো অকারণে আমার শএু| আমার শএুরা আমাকে বিনা কারণে পাখির মতো শিকার করেছে| |
53
|
তারা আমায় গভীর গর্তে নিক্ষেপ করেছে| আমি জীবিত আছি জেনেও আমার দিকে পাথর ছুঁড়ছে| |
54
|
জল আমার মাথা ছাপিযে গেল| আমি মনে মনে বললাম, “আমি শেষ|” |
55
|
প্রভু, আমি গর্তের তলা থেকে আপনাকে ডেকেছি| আপনার নাম ধরে চিত্কার করে ডেকেছি| |
56
|
আমার কণ্ঠস্বর শুনুন| আপনার কান বন্ধ করে রাখবেন না| আমাকে উদ্ধার করতে অস্বীকার করবেন না| |
57
|
আমি যখন আপনার কাছে মিনতি করব তখন আমার কাছে আসবেন! আমাকে বলবেন, “ভয় পেও না|” |
58
|
প্রভু আমার আবেদনটা বিচার করুন| আমাকে আমার জীবন ফিরিয়ে দিন| |
59
|
প্রভু, আমার দুর্দশা দেখুন| আমায় ন্যায় পেতে সাহায্য করুন| |
60
|
আমার শএুরা কি ভাবে আমাকে আঘাত করেছে তা দেখুন| আমার বিরুদ্ধে ওদের সমস্ত শযতানি পরিকল্পনাগুলি সম্পর্কে আপনি অবহিত| |
61
|
প্রভু, ওরা কি ভাবে আমাকে অপমান করেছে তা শুনুন| আমার বিরুদ্ধে ওদের সমস্ত শযতানি পরিকল্পনার কথা শুনুন| |
62
|
শএুদের কথা এবং তাদের সমস্ত পরিকল্পনা সব সময়ই আমার বিরুদ্ধে| |
63
|
যখন ওরা বসে কিংবা দাঁড়ায তখনও আমায় নিয়ে ওরা কি ভাবে মজা করে তাও দেখুন, প্রভু! |
64
|
প্রভু, ওরা যা করেছে তার জন্য ওদের প্রাপ্য শাস্তি দিন! |
65
|
ওদের হৃদয়কে অনমনীয করে দিন! তারপর আপনার অভিশাপ ওদের উপর বর্ষণ করুন! |
66
|
রোধ তাদের তাড়া করুন! আপনার আকাশের নীচে তাদের ধ্বংস করুন প্রভু! |