যখন গম তোলার সময় হল শিম্শোন তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেল| স্ত্রীকে দেবার জন্যে একটা কচি পাঁঠা নিয়ে গেল| শ্বশুরকে গিয়ে বলল, “আমি স্ত্রীর ঘরে ঢুকছি|”কিন্তু মেয়ের পিতা শিম্শোনকে ঢুকতে দিল না|
এই বলে শিম্শোন বেরিয়ে গেল| সে 300 টি শেযাল ধরল| সে দুটো করে শেযাল ধরে তাদের লেজ দুটো বেঁধে জোড়া তৈরি করল| প্রত্যেক জোড়া শেযালের লেজে সে একটি করে মশাল বেঁধে দিল|
তারপর মশালগুলো জ্বেলে দিল| পলেষ্টীয়দের শস্যক্ষেত্রে সে ঐ শেযালগুলোকে ছুটিযে দিল| এই ভাবে নতুন গজানো সমস্ত গাছ আর শস্যের গাদা সে বালিয়ে দিল| দ্রাক্ষার ক্ষেত আর সমস্ত জলপাই গাছ বালিয়ে দিল|
পলেষ্টীয়রা জিজ্ঞাসা করল, “কে এসব কাজ করেছে?” কেউ একজন বলল, “শিমশোন করেছে| তিম্নার কোন একজনের জামাতা হচ্ছে এই শিম্শোন| তার এই কাজের কারণ তার শ্বশুর শিম্শোনের স্ত্রীকে অন্য এক সেরা পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে|” তাই পলেষ্টীয়রা শিম্শোনের স্ত্রী আর শ্বশুরকে পুড়িয়ে মেরে ফেলল|
যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা তাদের জিজ্ঞাসা করল, “তোমরা পলেষ্টীয়রা কেন এখানে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এসেছ?”তারা বলল, “আমরা শিম্শোনকে ধরতে এসেছি| আমরা তাকে বন্দী করতে চাই| সে আমাদের প্রতি যা অন্যায করেছে তার জন্য তাকে শাস্তি দিতে চাই|”
যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর 3,000 লোক তখন শিম্শোনের কাছে গেল| ঐটম শিলার গুহায় গিয়ে তারা তাকে বলল, “তুমি আমাদের এ কি করলে? তুমি কি জানো না যে পলেষ্টীয়রা আমাদের শাসন করছে?শিম্শোন বলল, “তারা আমার ওপর যে অন্যায কাজ করেছে শুধুমাত্র তার জন্যেই আমি তাদের শাস্তি দিয়েছি|”
ওরা বলল, “ঠিক আছে| আমরা শুধু তোমাকে বেঁধে পলেষ্টীয়দের কাছে ধরিয়ে দেব| প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা তোমায় হত্যা করব না|” এই বলে ওরা দুটো নতুন দড়ি দিয়ে শিম্শোনকে বেঁধে ফেলল| গুহা থেকে তাকে বের করে নিয়ে চলল|
শিম্শোন যখন লিহীতে এল, পলেষ্টীয়রা তাকে দেখতে এল| তারা আনন্দে চিত্কার করে উঠল| তখন প্রভুর আত্মা সবলে শিম্শোনের ওপর এল| দড়িগুলো পোড়া সূতোর মতো পলকা মনে হল এবং তার হাত থেকে খসে পড়ল| যেন সব গলে পড়েছে|
শিম্শোনের খুব পিপাসা পেয়েছিল| প্রভুর কাছে সে প্রার্থনা করল| সে বলল, “হে প্রভু আমি তোমার দাস| এই যে আমার বিরাট জয় হল, সে তো তোমারই দয়ায়| পিপাসায যেন আমি মারা না যাই| তাই এখন দয়া করো তুমি| দয়া করো যেন ওরা আমায় ধরে না ফেলে, যাদের এখনও সুন্নত্ পর্য়ন্ত হয় নি|”
লিহীর মাঠে একটা গর্ত আছে| ঈশ্বর সেই গর্ত ফাটিযে ঝর্ণা তৈরী করলেন| সেই জল পান করে শিম্শোন তাজা হয়ে উঠল| সে আবার শক্তি অনুভব করল| সে সেই ঝর্ণার নাম দিল এন-হক্কোরী| লিহী শহরে এই ঝর্ণা আজও আছে|