আহস ছিলেন য়োথমের পুত্র| য়োথম ছিলেন ঊষিযের পুত্র| রত্সীন ছিলেন অরামের রাজা|আহসের রাজত্ব কালে সিরিযার রাজা রত্সীন এবং ইস্রায়েলের রাজা, রমলিযের পুত্র পেকহ জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এসেছিলেন| কিন্তু তাঁরা এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারেন নি|
যিহূদার রাজবাড়ি দাযূদের পরিবারকে জানানো হল যে, “অরাম এবং ইফ্রযিমের (ইস্রায়েলের) সেনাদল জোটবদ্ধ হয়েছে| তারা একসঙ্গে ঘাঁটি গেড়েছে|”এই খবর শুনে রাজা আহস এবং তাঁর প্রজারা খুব ভয় পেয়ে গেলো| বনের গাছপালা যেমন বাতাসে নড়ে তেমনি তারাও ভয়ে কাঁপতে লাগল|
তখন প্রভু যিশাইয়কে বললেন, “তুমি এবং তোমার পুত্র শার-যাশূব যাবে এবং আহসের সঙ্গে কথা বলবার জন্য ধোপাদের মাঠের রাস্তার পাশে যেখানে জল উচ্চতর জলাশযের মধ্যে দিয়ে বইছে, সেখানে দেখা করবে|
“আহসকে বল, ‘সাবধানে থেকো, কিন্তু শান্ত থেকো! রত্সীন ও রমলিযের পুত্রকে ভয় পেযো না, কারণ তারা দুটি পোড়া কাঠির মত| অতীতে তারা খুব গরম ছিল| কিন্তু এখন তারা শুধুই ধোঁযা| রত্সীন, অরাম এবং রমলিযের পুক্র রুদ্ধ হয়ে রয়েছে|
যতদিন শমরিয়া ইফ্রযিমের (ইস্রায়েল) রাজধানী থাকবে এবং যতদিন রমলিযের পুত্র শমরিয়ার শাসক থাকবে ততদিন তাদের ফন্দি সফল হবে না| তুমি যদি একথা বিশ্বাস না কর তাহলে লোকরা তোমাকে বিশ্বাস করবে না|”
“প্রভু, তোমার ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি সংকেত চিহ্ন চেয়ে নাও যাতে তুমি নিজের কাছে প্রমাণ করতে পারো যে এগুলি সব সত্য| তুমি তোমার ইচ্ছেমতো যে কোন সংকেত চিহ্ন চাইতে পারো| চিহ্নটি মৃতের আলযের মতো গভীর থেকে অথবা আকাশের মত উঁচু থেকে আসতে পারে|”
যিশাইয় বললেন, “দাযূদের পুত্র, আহস মন দিয়ে শোন| লোকের ধৈর্য়্য়ের পরীক্ষা কি তোমাদের কাছে যথেষ্ট নয়? তোমরা কি আমার ঈশ্বরেরও ধৈর্য়্য়ের পরীক্ষা নিতে চাও?
কিন্তু ছেলেটি ভালো কাজ করবার মত এবং মন্দ কাজ প্রত্যাখান করবার মতো বোঝবার বযসে এসে পৌঁছবার আগেই ইফ্রযিম এবং অরাম দেশ জনমানব বর্জিত হয়ে যাবে|“তোমরা এখন ঐ দুজন রাজার ভয়ে ভীত|
কিন্তু তোমাদের আসলে প্রভুকে ভয় পাওয়া উচিত্| কারণ তিনি তোমাদের জন্য দুঃসময় আনবেন| এই দুঃসময় তোমার কাছে, তোমার লোকদের কাছে এবং তোমার পিতৃকুলেও আসবে| ঈশ্বর কি করবেন? তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তিনি অশূরের রাজাকে আমন্ত্রণ জানাবেন|
প্রভু যিহূদাকে শাস্তি দেবার জন্য অশূরকে ব্যবহার করবেন| প্রভু অশূরকে ভাড়া করবেন এবং সেটিকে একটি খুরের মতো ব্যবহার করা হবে| মনে হবে যেন প্রভু যিহূদার পা, মাথা এমনকি দাড়ি থেকেও চুল কামিয়ে নিচ্ছেন|