তোমরা বিবাদ কর, তোমাদের মাতার সহিত বিবাদ কর, কেননা সে আমার স্ত্রী নয়, এবং আমিও তাহার স্বামী নই; সে আপনার দৃষ্টি হইতে আপন বেশ্যাচার, এবং আপনার স্তনযুগলের মধ্য হইতে আপন ব্যভিচার দূর করুক।
নতুবা আমি তাহাকে বিবস্ত্রা করিব, সে জন্মদিনে যেমন ছিল, তেমনি করিয়া তাহাকে রাখিব, এবং তাহাকে প্রান্তরের সমান ও মরুভূমির তুল্য করিব, তৃষ্ণা দ্বারা বধ করিব।
সে আপন প্রেমিকদের পশ্চাতে পশ্চাতে দৌড়িয়া যাইবে, কিন্তু তাহাদের লাগাল পাইবে না; সে তাহাদের অন্বেষণ করিবে, কিন্তু সন্ধান পাইবে না। তখন সে বলিবে, আমি ফিরিয়া আমার প্রথম স্বামীর নিকটে যাইব; কেননা এখন অপেক্ষা তখন আমার পক্ষে মঙ্গল ছিল।
অতএব আমি শস্যের সময়ে আমার শস্য ও দ্রাক্ষারসের ঋতুতে আমার দ্রাক্ষারস ফিরাইয়া লইব, এবং যাহা তাহার উলঙ্গতা আচ্ছাদনার্থক ছিল, আমার সেই মেষলোম ও মসীনা তুলিয়া লইব।
আর আমি তাহার দ্রাক্ষালতা ও ডুমুরগাছ সকল বিনষ্ট করিব, যাহার বিষয়ে সে বলিয়াছে, ‘এই সকল আমার পণ, আমার প্রেমিকেরা ইহা আমাকে দিয়াছে’; কিন্তু আমি এ সকল অরণ্য করিব, আর মাঠের পশুগণ সে সকল খাইয়া ফেলিবে।
আর আমি বাল-দেবগণের সময়ের প্রতিফল তাহাকে ভোগ করাইব, যাহাদের উদ্দেশে সে ধূপ জ্বালাইত, ও কুণ্ডলাদি অলঙ্কারে আপনাকে অলঙ্কত করিয়া প্রেমিকদের পশ্চাতে গমন করিত, এবং আমাকে ভুলিয়া থাকিত, ইহা সদাপ্রভু বলেন।
আর আমি সে স্থান হইতে তাহার দ্রাক্ষাক্ষেত্র এবং আশাদ্বার বলিয়া আখোর তলভূমি তাহাকে দিব; এবং সে সেখানে উত্তর করিবে, যেমন যৌবনকালে, যেমন মিসর হইতে আগমন দিনে করিয়াছিল।
আর সেই দিন আমি লোকদের নিমিত্ত মাঠের পশু, আকাশের পক্ষী ও ভূমির সরীসৃপ সকলের সহিত নিয়ম করিব; এবং ধনুক, খড়্গ ও রণসজ্জা ভাঙ্গিয়া দেশের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন করিব, ও তাহাদিগকে নিশ্চিন্তে শয়ন করাইব।
আমি আপনার জন্য তাহাকে দেশে রোপন করিব, ও যে ‘অনুকম্পিতা নয়,’ তাহাকে অনুকম্পা করিব, এবং যে ‘আমার প্রজা নয়,’ তাহাকে বলিব, তুমি আমার প্রজা, এবং সে বলিবে, তুমি আমার ঈশ্বর।