য়োষেফ ছিলেন ইস্রায়েলের বৃদ্ধাবস্থার সন্তান| এই জন্য ইস্রায়েল তার অন্যান্য পুত্রদের চেযে য়োষেফকেই বেশী ভালবাসতেন| যাকোব তাকে একটা বিশেষ জামা উপহার দিয়েছিল| জামাটি ছিল লম্বা এবং বেশ সুন্দর|
য়োষেফের ভাইয়েরা দেখল য়ে তাদের পিতা তাদের চাইতে য়োষেফকেই বেশী ভালবাসেন| এইজন্য তারা তাকে ঘৃণা করতে লাগল| তারা য়োষেফের সাতে বন্ধুভাবে কথা বলতেও চাইল না|
দেখলাম আমরা সকলে ক্ষেতে কাজ করছি| আমরা সকলে গমের আঁটি বাঁধছিলাম, এমন সময় আমার আঁটিটা উঠে দাঁড়াল| আর আমার আঁটির চারপাশে গোল করে ঘিরে থাকা তোমাদের আঁটিগুলো একে একে আমারটিকে প্রণাম জানাল|”
তার ভাইয়েরা বলল, “তুমি কি মনে কর এর অর্থ তুমি আমাদের রাজা হয়ে আমাদের উপর রাজত্ব করবে?” তার ভাইয়েরা তাদের সম্বন্ধে দেখা এই স্বপ্নের জন্য তাকে আরও ঘৃণা করতে লাগল|
এরপর য়োষেফ আরেকটি স্বপ্ন দেখে সেই স্বপ্ন সম্বন্ধে তার ভাইয়েদের বললেন, “আমি আরেকটি স্বপ্ন দেখেছি| দেখলাম সূর্য়, চাঁদ এবং এগারোটি তারা আমাকে প্রণাম করছে|”
য়োষেফ তাঁর পিতাকেও এই স্বপ্নটি সম্বন্ধে বললেন| কিন্তু তাঁর পিতা এর সমালোচনা করে বললেন, “এ কি ধরণের স্বপ্ন? তুমি কি বিশ্বাস কর য়ে তোমার মা, তোমার ভাইয়েরা, এমনকি আমিও তোমায় প্রণাম করব?”
য়োষেফের পিতা বললেন, “যাও গিয়ে দেখ তোমার ভাইয়েরা নিরাপদে আছে কিনা| তারপর ফিরে এসে আমাদের জানিও মেষদের অবস্থা কেমন|” এইভাবে য়োষেফের পিতা তাকে হিব্রোণ উপত্যকা থেকে শিখিমে পাঠালেন|
সে বলল, “আমরা তাকে হত্যা করব না| এস, আমরা তাকে হত্যা না করে বরং বিনা আঘাতে ঐ শুকনো কূপের মধ্যে ফেলে দিই|” রূবেণের পরিকল্পনা ছিল য়োষেফকে এইভাবে উদ্ধার করে তার পিতার কাছে ফেরত পাঠানোর|
য়োষেফ যখন কূপের মধ্যে, সেই সময় তার ভাইয়েরা খেতে বসল| এইসময় তারা একদল বণিককে দেখতে পেল যারা গিলিয়দ থেকে মিশরে যাত্রা করছিল| তাদের উটগুলো বহন করছিল বহু রকম মশলা ও ধন দৌলত|
এই সময় রূবেণ সেখানে তার ভাইয়েদের সঙ্গে ছিল না| সে জানতোও না য়ে তারা য়োষেফকে বিক্রী করে দিয়েছে| রূবেণ কূপের ধারে ফিরে এসে দেখল য়োষেফ সেখানে নেই| তখন সে দুঃখ প্রকাশ করার জন্য নিজের কাপড় ছিঁড়ে ফেলল|
তাদের পিতা শালটা দেখে চিনতে পারলেন য়ে সেটা য়োষেফেরই| পিতা বললেন, “হ্যাঁ, এটা তো তারই! হয়তো কোনো বন্য জন্তু তাকে মেরে ফেলেছে| আমার পুত্র য়োষেফকে এক হিংস্র পশু খেয়ে ফেলেছে!”