আর প্রত্যাদেশক্রমে গমন করিলাম, এবং যে সুসমাচার পরজাতিগণের মধ্যে প্রচার করিয়া থাকি, তথাকার লোকদের কাছে তাহার ব্যাখ্যা করিলাম, কিন্তু যাঁহারা গণ্যমান্য, তাঁহাদের কাছে বিরলে করিলাম, পাছে [দেখা যায় যে] আমি বৃথা দৌড়িতেছি বা দৌড়িয়াছি।
গুপ্তরূপে আনীত সেই কয়েক জন ভাক্ত ভ্রাতার জন্য এইরূপ হইল; খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের যে স্বাধীনতা আছে, তাহার ছিদ্রান্বেষণ করিবার জন্য তাহারা গুপ্তরূপে প্রবেশ করিয়াছিল, যেন আমাদিগকে দাস করিয়া রাখিতে পারে।
আর যাঁহারা গণ্যমান্য বলিয়া খ্যাত—তাঁহারা কি প্রকার লোক ছিলেন, ইহাতে আমার কিছু আইসে যায় না, ঈশ্বর মনুষ্যের মুখাপেক্ষা করেন না—বস্তুতঃ সেই গণমান্য ব্যক্তিরা আমাকে কিছুই দেন না;
যখন তাঁহারা আমাকে প্রদত্ত সেই অনুগ্রহ জ্ঞাত হইলেন, তখন যাকোব, কৈফা ও যোহন—যাঁহারা স্তম্ভরূপে মান্য—আমাকে ও বার্ণবাকে সহভাগিতার দক্ষিণ হস্ত দিলেন, যেন আমরা পরজাতিগণের কাছে যাই, আর তাঁহারা ছিন্নত্বক্দের কাছে যান;
ফলতঃ যাকোবের নিকট হইতে কয়েক জনের আসিবার পূর্ব্বে তিনি পরজাতীয়দের সহিত আহার ব্যবহার করিতেন, কিন্তু উহারা আসিলে পর তিনি ছিন্নত্বক্দের ভয়ে পিছাইয়া পড়িতে ও আপনাকে পৃথক্ রাখিতে লাগিলেন।
কিন্তু আমি যখন দেখিলাম, তাঁহারা সুসমাচারের সত্য অনুসারে সরল পথে চলেন না, তখন আমি সকলের সাক্ষাতে কৈফাকে কহিলাম, তুমি নিজে যিহূদী হইয়া যদি যিহূদীদের মত নয়, কিন্তু পরজাতিগণের মত আচরণ কর, তবে কেন পরজাতিগণকে যিহূদীদের মত আচরণ করিতে বাধ্য করিতেছ?
তথাপি বুঝিয়াছি, ব্যবস্থার কার্য্য হেতু নয়, কেবল যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা মনুষ্য ধার্ম্মিক গণিত হয়, সেই জন্য আমরাও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হইয়াছি, যেন ব্যবস্থার কার্য্য হেতু নয়, কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু ধার্ম্মিক গণিত হই; কারণ ব্যবস্থার কার্য্য হেতু কোন মর্ত্ত্য ধার্ম্মিক গণিত হইবে না।
খ্রীষ্টের সহিত আমি ক্রুশারোপিত হইয়াছি, আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্রীষ্টই আমাতে জীবিত আছেন; আর এখন মাংসে থাকিতে আমার যে জীবন আছে, তাহা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই, যাপন করিতেছি; তিনিই আমাকে প্রেম করিলেন, এবং আমার নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন।