পরে হগয় ভাববাদী ও ইদ্দোর পুত্র সখরিয়, এই দুই জন ভাববাদী যিহূদা ও যিরূশালেমস্থ যিহূদীদের নিকটে ভাবোক্তি প্রচার করিতে লাগিলেন; ইস্রায়েলের ঈশ্বরের নামে তাহাদের কাছে ভাবোক্তি প্রচার করিতে লাগিলেন।
তখন শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল ও যোষাদকের পুত্র যেশূয় উঠিয়া যিরূশালেমস্থ ঈশ্বরের গৃহ নির্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করিলেন, আর ঈশ্বরের ভাববাদীরা তাঁহাদের সঙ্গে থাকিয়া তাঁহাদিগকে সাহায্য করিতেন।
সেই সময়ে নদী-পারস্থ দেশাধ্যক্ষ তত্তনয়, শথরবোষণয়, এবং তাঁহাদের সঙ্গী লোকেরা তাঁহাদের নিকটে আসিয়া কহিলেন, এই গৃহ নির্ম্মাণ ও প্রাচীর স্থাপন করিতে তোমাদিগকে কে আজ্ঞা দিয়াছে?
কিন্তু যিহূদীদের প্রাচীনবর্গের প্রতি তাঁহাদের ঈশ্বরের দৃষ্টি ছিল, আর যাবৎ দারিয়াবসের নিকটে নিবেদন উপস্থিত করা না যায়, এবং এই কর্ম্মের বিষয়ে পুনরায় পত্র না আইসে, তাবৎ উহাঁরা তাঁহাদিগকে নিবৃত্ত করিলেন না।
মহারাজের নিকটে আমাদের নিবেদন, আমরা যিহূদা প্রদেশে মহান্ ঈশ্বরের গৃহে গিয়াছিলাম, তাহা প্রকাণ্ড প্রস্তর দ্বারা নির্ম্মিত এবং তাঁহার ভিত্তিতে কাষ্ঠ বসান হইতেছে; আর এই কার্য্য সযত্নে চলিতেছে, ও তাহাদের হস্তে তাহা সুসিদ্ধ হইতেছে।
তাহারা আমাদিগকে এই উত্তর দিল, যিনি স্বর্গের ও পৃথিবীর ঈশ্বর, আমরা তাঁহারই দাস; আর এই যে গৃহ নির্ম্মাণ করিতেছি, ইহা বহু বৎসর পূর্ব্বে নির্ম্মিত হইয়াছিল, ইস্রায়েলের এক জন মহান্ রাজা তাহা নির্ম্মাণ ও সমাপ্ত করিয়াছিলেন।
পরে আমাদের পিতৃপুরুষেরা স্বর্গের ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করাতে, তিনি তাহাদিগকে বাবিল-রাজ কল্দীয় নবূখদ্নিৎসরের হস্তে সমর্পণ করেন; তিনি এই গৃহ ধ্বংস করেন, এবং লোকদিগকে বাবিলে লইয়া যান।
আর নবূখদ্নিৎসর ঈশ্বরের গৃহের যে সকল স্বর্ণময় ও রৌপ্যময় পাত্র যিরূশালেমস্থ মন্দির হইতে লইয়া গিয়া বাবিলের মন্দিরে রাখিয়াছিলেন, সেই সকল পাত্র কোরস রাজা বাবিলস্থ মন্দির হইতে বাহির করিয়া তাঁহার নিযুক্ত শেশ্বসর নামক শাসনকর্ত্তার হস্তে সমর্পণ করিলেন,
অতএব এখন যদি মহারাজের বিহিত বোধ হয়, তবে কোরস রাজা যিরূশালেমস্থ ঈশ্বরের গৃহ নির্ম্মাণ করিবার আজ্ঞা দিয়াছিলেন কি না, তাহা মহারাজের ঐ বাবিলস্থ ধনাগারে অনুসন্ধান করা হউক; পরে মহারাজ এ বিষয়ে আমাদের নিকটে আপন ইচ্ছা বলিয়া পাঠাইবেন।”