আর প্রত্যেক প্রদেশের যে কোন স্থানে রাজার বাক্য ও আজ্ঞা উপস্থিত হইল, সেই স্থানে যিহূদিগণের মধ্যে মহাশোক, উপবাস, রোদন ও বিলাপ হইল, এবং অনেকে চটে ও ভস্মে শয্যা পাতিল।
পরে ইষ্টেরের দাসীগণ ও নপুংসকেরা আসিয়া ঐ কথা তাঁহাকে জ্ঞাত করিল; তাহাতে রাণী অতিশয় মনস্তাপিতা হইয়া মর্দখয়কে চট পরিত্যাগ ও বস্ত্র পরিধান করাইবার জন্য বস্ত্র প্রেরণ করিলেন, কিন্তু তিনি তাহা গ্রহণ করিলেন না।
তাহাতে মর্দখয় আপনার প্রতি যাহা যাহা ঘটিয়াছে, এবং যিহূদীদিগকে বিনষ্ট করিবার জন্য হামন যে পরিমাণের রৌপ্য রাজ-ভাণ্ডারে দিতে প্রতিজ্ঞা করিয়াছে, তাহা তাঁহাকে জানাইলেন।
আর তাহাদের বিনাশার্থে যে আজ্ঞাপত্র শূশনে দত্ত হইয়াছে, তাহার একখানি অনুলিপি তাঁহাকে দিয়া ইষ্টেরকে তাহা দেখাইতে ও আজ্ঞা করিতে বলিলেন, এবং তিনি যেন রাজার নিকটে প্রবেশ করিয়া তাঁহার কাছে বিনতি ও স্বজাতির জন্য অনুরোধ করেন, এমন আদেশ করিতে বলিলেন।
রাজার দাসগণ ও রাজার অধীন প্রদেশ-সমূহের প্রজারা সকলেই জানে, পুরুষ কি স্ত্রী, যে কেহ আহূত না হইয়া ভিতরের প্রাঙ্গণে রাজার নিকটে যায়, তাহার জন্য একমাত্র ব্যবস্থা এই যে, তাহার প্রাণদণ্ড হইবে; কেবল যে ব্যক্তির প্রতি রাজা স্বর্ণময় রাজদণ্ড বিস্তার করেন, সেইমাত্র বাঁচে; আর, ত্রিশ দিন অবধি আমি রাজার নিকটে যাইবার জন্য আহূতা হই নাই।
ফলে যদি তুমি এ সময়ে সর্ব্বতোভাবে নীরব হইয়া থাক, তবে অন্য কোন স্থান হইতে যিহূদীদের উপকার ও নিস্তার ঘটিবে, কিন্তু তুমি আপন পিতৃকুলের সহিত বিনষ্ট হইবে; আর কে জানে যে, তুমি এই প্রকার সময়ের জন্যই রাজ্ঞীপদ পাও নাই?
তুমি যাও, শূশনে উপস্থিত সমস্ত যিহূদীকে একত্র কর, এবং সকলে আমার নিমিত্ত উপবাস কর, তিন দিবস, দিনে কি রাত্রিতে কিছু আহার করিও না, কিছু পানও করিও না, আর আমিও আমার দাসীরাও তদ্রূপ উপবাস করিব; এইরূপে আমি রাজার নিকটে যাইব, তাহা ব্যবস্থাবিরুদ্ধ হইলেও যাইব, আর যদি বিনষ্ট হইতে হয়, হইব।