এরপর আমি একটি দর্শন পেলাম; আর দেখতে পেলাম আমার সামনে স্বর্গে একটা দরজা খোলা রয়েছে৷ এর আগে য়ে কন্ঠস্বর আমার সঙ্গে কথা বলেছিল, সেই একই স্বর আর তূরীর আওয়াজ শুনতে পেলাম, তা আমাকে বলছে, ‘এখানে উঠে এস, এরপর যা কিছু অবশ্যই ঘটবে তা আমি তোমাকে দেখাব৷’
সেই সিংহাসনের চারদিকে চব্বিশটি সিংহাসন ছিল৷ সেইসব সিংহাসনে চব্বিশ জন প্রাচীন বসেছিলেন, তাঁরা সকলে শুভ্র পোশাক পরেছিলেন; আর তাঁদের মাথায় সোনার মুকুট ছিল৷
সেই সিংহাসন থেকে বিদ্য়ুতের ঝলকানি, গুরু গুরু শব্দ ও বজ্রধ্বনি নির্গত হচ্ছিল; আর সেই সিংহাসনের সামনে সাতটি মশাল জ্বলছিল৷ সাতটি আগুনের মশাল ঈশ্বরের সেই সপ্ত আত্মার প্রতীক;
আর সেই সিংহাসনের সামনে ছিল কাঁচের মতো সমুদ্র, যা স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ৷ সিংহাসনের সামনে এবং সিংহাসনের চারদিকে চারজন প্রাণী ছিল যাদের সামনে ও পেছনে সর্বাঙ্গ চোখে ভরা ছিল৷
এই চারটি প্রাণীর প্রত্যেকের ছটি করে পাখা ছিল, সেই প্রাণীগুলির সর্বাঙ্গে, ভেতরে ও বাইরে ছিল চোখ, আর তাঁরা দিন-রাত সব সময় বিরত না হয়ে এই কথা বলছিলেন: ‘পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, যিনি ছিলেন, যিনি আছেন ও যিনি আসছেন৷’
যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর সামনে ঐ চব্বিশজন প্রাচীন ভূমিষ্ট হয়ে প্রণাম করেন; আর যিনি চিরজীবি তাঁর উপাসনা করেন আর নিজের নিজের মাথার মুকুট সিংহাসনের সামনে রেখে বলেন:
‘আমাদের প্রভু ও ঈশ্বর! তুমি মহিমা, সম্মান ও পরাক্রম পাবার য়োগ্য, কারণ তুমি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছ৷ তোমার ইচ্ছাতেই সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে ও সব কিছুর অস্তিত্ব আছে৷’