এরপর আমাকে বেড়ানোর লাঠির মতো একটি মাপকাঠি দেওয়া হল৷ একজন বললেন, ‘ওঠ, ঈশ্বরের মন্দির ও যজ্ঞবেদীর পরিমাপ কর আর তার মধ্যে যাঁরা উপাসনা করছে তাদের সংখ্যা গণনা কর৷
যদি কেউ তাঁদের ক্ষতি করতে চায়, তবে ঐ সাক্ষীদের মুখ থেকে আগুন বেরিয়ে এসে তাঁদের শত্রুদের গ্রাস করবে, য়ে কেউ তাঁদের ক্ষতি করতে চাইবে তাদেরও এইভাবে মরতে হবে৷
আকাশ রুদ্ধ করে দেবার ক্ষমতা তাঁদের আছে, য়েন ভাববাণী বলার সময় বৃষ্টি না হয়; আর জল রক্তে পরিণত করবার ও পৃথিবীর বুকে সব রকমের মহামারী যতবার ইচ্ছা ততবার পাঠাবার ক্ষমতা তাঁদের আছে৷
পৃথিবীর লোকরা আনন্দিত হবে, কারণ ঐ দুজনের মৃত্যু হয়েছে৷ তারা আমোদ-প্রমোদ করবে, পরস্পরকে উপহার পাঠাবে, কারণ এই দুজন ভাববাদী পৃথিবীর লোকদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন৷
এরপর সেই সাড়ে তিন দিন শেষ হলে ঈশ্বরের কাছ থেকে জীবনের আত্মা তাঁদের মধ্যে প্রবেশ করল, আর তাঁরা উঠে দাঁড়ালেন৷ যাঁরা তাদের দেখল তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ভয়ের সঞ্চার হল৷
সেই মুহূর্তে প্রচণ্ড ভূমিকম্প হল, তার ফলে শহরের দশভাগের একভাগ ধ্বংস হয়ে গেল এবং সাত হাজার লোক মারা পড়ল৷ যাঁরা বাকি রইল তারা সকলে প্রচণ্ড ভয় পেল ও স্বর্গের ঈশ্বরের মহিমা কীর্তন করল৷
এরপর সপ্তম স্বর্গদূত তূরী বাজালেন, তখন স্বর্গে কারা য়েন উদাত্ত কন্ঠে বলে উঠল: ‘জগতের ওপর শাসন করবার ভার এখন আমাদের প্রভুর ও তাঁর খ্রীষ্টের হল, আর তিনি যুগপর্য়ায়ে যুগে যুগে রাজত্ব করবেন৷’
জগতের জাতিবৃন্দ তোমার ওপর ক্রুদ্ধ ছিল; কিন্তু এখন তোমার ক্রোধ তাদের ওপর উপস্থিত হল৷ মৃত লোকদের বিচারের সময় হয়েছে; আর তোমার ভাববাদী, যাঁরা তোমার দাস, যাঁরা তোমার লোক, ক্ষুদ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ সব লোক যাঁরা তোমাকে শ্রদ্ধা করে, তাদের পুরস্কার দেওয়ার সময় হয়েছে৷ যাঁরা পৃথিবীকে ধ্বংস করছে তাদের ধ্বংস করবার সময় হয়েছে৷’
পরে স্বর্গে ঈশ্বরের মন্দিরের দরজা উন্মুক্ত হলে মন্দিরের মধ্যে তাঁর চুক্তির সিন্দুকটি দেখা গেল, বিদ্য়ুত চমকালো, গুরু গুরু শব্দ, বজ্রপাত, ভূমিকম্প ও প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হল৷