তিনি একটি নৌকায় উঠলেন, সেই নৌকাটি ছিল শিমোনের৷ যীশু তাঁকে তীর থেকে নৌকাটিকে একটু দূরে নিয়ে য়েতে বললেন৷ তারপর তিনি নৌকায় বসে সেখান থেকে লোকদের শিক্ষা দিতে লাগলেন৷
সিবদিয়ের ছেলে যাকোব ও য়োহন যাঁরা তাঁর ভাগীদার ছিলেন তাঁরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন৷ তখন যীশু শিমোনকে বললেন, ‘ভয় পেও না, এখন থেকে তুমি মাছ নয় বরং মানুষ ধরবে৷’
একবার যীশু কোন এক নগরে ছিলেন, সেখানে একজন লোক যার সর্বাঙ্গ কুষ্ঠরোগে ভরে গিয়েছিল, সে যীশুকে দেখে তাঁর সামনে উপুড় হয়ে পড়ে মিনতি করে বলল, ‘প্রভু, আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলেই আমাকে ভালো করতে পারেন৷’
তখন যীশু তাকে আদেশ করলেন, ‘দেখ, একথা কাউকে বোলো না; কিন্তু যাও, যাজকদের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখাও, আর শুচি হবার জন্য মোশির নির্দেশ মতো বলি উত্সর্গ কর৷ তুমি য়ে আরোগ্য লাভ করেছ, সবার সামনে এইভাবে তা প্রকাশ কর৷’
একদিন তিনি যখন শিক্ষা দিচ্ছেন তখন সেখানে কয়েকজন ফরীশী ও ব্যবস্থার শিক্ষক বসেছিল৷ এরা গালীল ও যিহূদিযার প্রতিটি নগর ও জেরুশালেম থেকে এসেছিল৷ রোগীদের সুস্থ করার জন্য প্রভুর শক্তি যীশুর মধ্যে ছিল৷
এই শুনে ইহুদী ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও ফরীশীরা নিজেদের মধ্যে মনে মনে ভাবতে লাগল, ‘এই লোকটা কে য়ে ঈশ্বর নিন্দা করছে! একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করতে পারে?’
কিন্তু তোমরা য়েন জানতে পারো য়ে পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা মানবপুত্রের আছে৷’ তাই তিনি পঙ্গু লোকটিকে বললেন, ‘আমি তোমায় বলছি, ওঠো! তোমার খাটিযা তুলে নিয়ে বাড়ি যাও৷’
তিনি তাদের কাছে একটি দৃষ্টান্তদিয়ে বললেন, ‘নতুন জামা থেকে একটি টুকরো ছিঁড়ে নিয়ে কেউ কি পুরানো জামায় তালি দেয়? যদি কেউ তা করে তবে সে তার নতুন জামাটি ছিঁড়ল, আবার সেই ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো পুরানোর সঙ্গে মানাবে না৷