যীশু বললেন, ‘এই লোকটির বা এর বাবা-মার পাপের জন্য য়ে এ অন্ধ হয়ে জন্মেছে তা নয়, বরং এই ব্যক্তি অন্ধ হয়ে জন্মেছে যাতে আমি যখন তাকে সুস্থ করি, তখন লোকে ঈশ্বরের শক্তির প্রকাশ দেখতে পায়৷
এরপর যীশু সেই অন্ধ লোকটিকে বললেন, ‘শীলোহ সরোবরে গিয়ে ধুয়ে ফেল৷ (‘শীলোহ’ অনুবাদ করলে এই নামের অর্থ ‘প্রেরিত’৷)’ তখন সে গিয়ে ধুয়ে ফেলল আর দৃষ্টিশক্তি লাভ করে ফিরে এল৷
সে এর উত্তরে বলল, ‘যীশু নামের লোকটি মণ্ড তৈরী করে, আমার চোখে তা লাগিয়ে দিলেন, আর বললেন, ‘শীলোহ সরোবরে যাও ও তোমার চোখ ধুয়ে ফেল৷’ তখন আমি গেলাম ও ধুয়ে ফেললাম আর তখনই দৃষ্টিশক্তি লাভ করলাম৷”
তাই ফরীশীরা আবার তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কিভাবে তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলে?’ লোকটি উত্তর দিল, ‘তিনি মণ্ড তৈরী করে আমার চোখে লাগিয়ে দিলেন, আমি চোখ ধুয়ে ফেলবার পর দেখতে পেলাম৷’
ফরীশীদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, ‘এই লোক ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে নি, কারণ এ বিশ্রামবারের নিয়ম মানে না৷’ আবার অন্যরা বলল, ‘একজন পাপী কিভাবে এই সব অলৌকিক কাজ করতে পারে?’ তাই এই নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিল৷
কিন্তু এখন কিভাবে দেখতে পাচ্ছে আমরা জানি না, আর এও জানি না য়ে কে একে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছেন৷ একেই জিজ্ঞেস করুন! এর যথেষ্ট বয়স হয়েছে, নিজের বিষয় নিজে ভালোই বলতে পারবে৷’
ইহুদী নেতাদের ভয়ে, তার বাবা-মা এই কথা বলল৷ কারণ ইহুদী নেতারা আগেই স্থির করেছিল য়ে কেউ যদি যীশুকে মশীহ বলে স্বীকার করে, তবে সে প্রার্থনা সভা থেকে বিতাড়িত হবে৷