English Bible Languages

Indian Language Bible Word Collections

Bible Versions

English

Tamil

Hebrew

Greek

Malayalam

Hindi

Telugu

Kannada

Gujarati

Punjabi

Urdu

Bengali

Oriya

Marathi

Assamese

Books

John Chapters

John 13 Verses

1 ইহুদীদের নিস্তারপর্বের ঠিক পূর্বে যীশু বুঝতে পারলেন, য়ে এই জগত ছেড়ে পিতার কাছে তাঁর যাবার সময় হয়ে এসেছে৷ যীশু পৃথিবীতে তাঁর আপনজনদের সব সময় ভালবেসেছেন৷ এবার তিনি তাদের প্রতি তাঁর ভালবাসার চূড়ান্ত প্রমাণ দিলেন৷
2 যীশু ও তাঁর শিষ্যরা সান্ধ্য় আহার করছিলেন৷ দিযাবল ইতিমধ্যে শিমোন ঈষ্করিযোতের ছেলে যিহূদাকে প্ররোচিত করেছে যীশুকে শত্রুর হাতে তুলে দেওযার জন্য৷
3 যীশু বুঝলেন য়ে পিতা তাঁকে সব কিছুর ওপর ক্ষমতা দিয়েছেন, তিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন, আর ঈশ্বরের কাছে ফিরে যাচ্ছেন৷
4 তখন তিনি ভোজের আসর থেকে উঠে দাঁড়ালেন, তাঁর উপরের জামাটা খুলে রেখে একটি গামছা কোমরে জড়ালেন৷
5 তারপর গামলায় জল ঢেলে শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিতে লাগলেন, আর য়ে গামছাটি কোমরে জড়িয়ে ছিলেন সেটি দিয়ে তাঁদের পা মুছিয়ে দিতে লাগলেন৷
6 এইভাবে তিনি শিমোন পিতরের কাছে এলে পিতর যীশুকে বললেন, ‘প্রভু, আপনি কেন আমার পা ধুইয়ে দেবেন?’
7 এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, ‘আমি যা করছি, তুমি এখন তা বুঝতে পারছ না, কিন্তু পরে বুঝবে৷’
8 পিতর তাঁকে বললেন, ‘আপনি কখনও আমার পা ধুইয়ে দেবেন না৷’ যীশু তাঁকে বললেন, ‘আমি যদি তোমার পা না ধুইয়ে দিই, তাহলে আমার সঙ্গে তোমার কোন সম্পর্ক থাকবে না৷’
9 শিমোন পিতর তাঁকে বললেন, ‘প্রভু, আপনি কেবল আমার পা নয়, হাত ও মাথা ধুইয়ে দিন!’
10 যীশু তাঁকে বললেন, ‘য়ে স্নান করেছে তার পা ধোযা ছাড়া আর কিছু দরকার নেই, আর তো সর্বাঙ্গ পরিষ্কার হয়েছে৷ তোমরাও পরিষ্কার হয়েছ, কিন্তু সকলে নও৷’
11 যীশু জানতেন য়ে একজন তাঁকে ধরিয়ে দেবে, সেই কারণেই তিনি বললেন, ‘তোমরা সকলে পরিষ্কার নও৷’
12 তাদের পা ধোযানো শেষ করে তিনি আবার তাঁর উপরের জামাটি পরলেন ও টেবিলে তাঁর জায়গায় ফিরে এসে তাদের বললেন, ‘আমি তোমাদের প্রতি কি করলাম তা বুঝতে পারলে?
13 তোমরা আমায় ‘গুরু’ ও ‘প্রভু’ বলে থাকো; আর তোমরা তা ঠিকই বল, কারণ আমি তা-ই৷
14 তাই আমি প্রভু ও গুরু হয়ে যদি তোমাদের পা ধুইয়ে দিই, তাহলে তোমাদেরও উচিত পরস্পরের পা ধোযানো৷
15 আমি তোমাদের কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম, য়েন আমি তোমাদের প্রতি য়েমন করলাম, তোমরাও তেমনি কর৷
16 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, চাকর তার মনিবের থেকে বড় নয়, আর দূত তার প্রেরণকর্তার থেকে বড় নয়৷
17 য়েহেতু তোমরা এসব জান, এইগুলি পালন কর, তাহলে তোমরা সুখী হবে৷
18 ‘আমি তোমাদের সকলের বিষয়ে বলছি না৷ আমি জানি, কাদের আমি মনোনীত করেছি৷ কিন্তু শাস্ত্রে য়ে কথা লেখা হয়েছে তা অবশ্যই পূর্ণ হবে, ‘য়ে আমার সঙ্গে আহার করল, সেই আমার বিরুদ্ধে গেল৷’
19 এসব ঘটবার আগেই আমি তোমাদের এসব বলছি, যাতে যখন এসব ঘটবে, তোমরা বিশ্বাস করবে য়ে আমিই তিনি৷
20 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমি যাকে পাঠাবো তাকে য়ে গ্রহণ করবে, সে আমাকেই গ্রহণ করবে৷ আর য়ে আমাকে গ্রহণ করে, আমায় যিনি পাঠিয়েছেন, সে তাঁকেও গ্রহণ করে৷’
21 এই কথা বলার পর যীশু খুবই উদ্বিগ্ন হলেন, আর খোলাখুলিই বললেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমাকে ধরিয়ে দেবে৷’
22 শিষ্যরা পরস্পরের দিকে তাকাতে লাগলেন, আদৌ বুঝতে পারলেন না কার বিষয়ে তিনি বলছেন৷
23 যীশুর শিষ্যদের মধ্যে একজন ছিলেন যাকে যীশু খুবই ভালবাসতেন, তিনি যীশুর গায়ের ওপর হেলান দিয়ে ছিলেন৷
24 শিমোন পিতর এই শিষ্যকে ইশারা করলেন এবং যীশুকে জিজ্ঞেস করতে বললেন য়ে উনি কার সম্পর্কে বলছেন৷
25 তখন তিনি যীশুর বুকের উপর ঝুঁকে পড়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘প্রভু, সে কে?’
26 যীশু বললেন, ‘আমি রুটির টুকরোটি বাটিতে ডুবিয়ে যাকে দেব সে-ই সেই লোক৷’ এরপর তিনি রুটির টুকরো ডুবিয়ে শিমোন ঈষ্করিযোতের ছেলে যিহূদাকে দিলেন৷
27 যিহূদা রুটির টুকরোটি নেওযার পর শয়তান তার মধ্যে ঢুকে পড়ল৷ এরপর যীশু তাকে বললেন, ‘তুমি যা করতে যাচ্ছ তা তাড়াতাড়ি করোগে যাও৷’
28 কিন্তু যাঁরা তাঁর সঙ্গে খাবার টেবিলে খেতে বসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কেউই বুঝতে পারলেন না তিনি কেন তাকে একথা বললেন৷
29 কেউ কেউ মনে করলেন, যিহূদার কাছে টাকার থলি আছে, তাই হয়তো যীশু তাকে বললেন, পর্বের জন্য যা যা প্রযোজন তা কিনে আনতে যাও; অথবা হয়তো গরীবদের ওর থেকে কিছু দান করতে বলেছেন৷
30 যিহূদা রুটির টুকরোটি গ্রহণ করে সঙ্গে সঙ্গে বাইরে চলে গেল৷ তখন রাত হয়ে গেছে৷
31 যিহূদা সেখান থেকে চলে যাবার পর যীশু বললেন, ‘মানবপুত্র এখন মহিমান্বিত হলেন, আর ঈশ্বরও তাঁর মাধ্যমে মহিমান্বিত হলেন৷
32 ঈশ্বর যদি তাঁর মাধ্যমে মহিমান্বিত হন, তবে ঈশ্বরও মানবপুত্রকে নিজের মাধ্যমে মহিমান্বিত করবেন, তিনি খুব শিগ্গিরই তা করবেন৷’
33 ‘আমার প্রিয় সন্তানরা, আমি আর কিছু সময় তোমাদের সঙ্গে থাকব৷ তোমরা আমায় খুঁজবে, আর আমি য়েমন ইহুদী নেতাদের বলেছিলাম, আমি য়েখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে য়েতে পার না, সেই কথাই এখন তোমাদেরও বলছি৷
34 আমি তোমাদের এক নতুন আদেশ দিচ্ছি, তোমরা পরস্পরকে ভালবেসো৷ আমি য়েমন তোমাদের ভালবাসি, তোমরাও তেমনি পরস্পরকে ভালবেসো৷
35 তোমাদের পরস্পরের মধ্যে যদি ভালবাসা থাকে তবে এর দ্বারাই সকলে জানবে য়ে তোমরা আমার শিষ্য৷’
36 শিমোন পিতর যীশুকে বললেন, ‘প্রভু, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?’ যীশু বললেন, ‘য়েখানে এখন আমি যাচ্ছি, তুমি আমার পেছনে সেখানে আসতে পারবে না; কিন্তু পরে তুমি আমায় অনুসরণ করবে৷’
37 পিতর তাঁকে বললেন, ‘প্রভু, এখন কেন আমি আপনার সঙ্গে য়েতে পারি না? আমি আপনার জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেব৷’
38 যীশু তাকে বললেন, ‘তুমি কি সত্যি আমার জন্য প্রাণ দেবে? আমি তোমাকে সত্যি বলছি; কাল ভোরে মোরগ ডাকার আগেই তুমি আমাকে তিনবার অস্বীকার করবে৷
×

Alert

×