English Bible Languages

Indian Language Bible Word Collections

Bible Versions

English

Tamil

Hebrew

Greek

Malayalam

Hindi

Telugu

Kannada

Gujarati

Punjabi

Urdu

Bengali

Oriya

Marathi

Assamese

Books

Luke Chapters

Luke 5 Verses

1 একদা যখন লোকসমূহ তাঁহার উপরে চাপাচাপি করিয়া পড়িয়া ঈশ্বরের বাক্য শুনিতেছিল, তখন তিনি গিনেষরৎ হ্রদের কূলে দাঁড়াইয়াছিলেন,
2 আর তিনি দেখিলেন, হ্রদের ধারে দুইখান নৌকা রহিয়াছে, কিন্তু ধীবরেরা নৌকা হইতে নামিয়া গিয়া জাল ধুইতেছিল।
3 তাহাতে তিনি ঐ দুইয়ের মধ্যে একখানিতে, শিমোনের নৌকাতে, উঠিয়া স্থল হইতে একটু দূরে যাইতে তাঁহাকে বিনতি করিলেন; আর তিনি নৌকায় বসিয়া লোকসমূহকে উপদেশ দিতে লাগিলেন।
4 পরে কথা শেষ করিয়া তিনি শিমোনকে কহিলেন, তুমি গভীর জলে নৌকা লইয়া চল, আর তোমরা মাছ ধরিবার জন্য তোমাদের জাল ফেল।
5 শিমোন উত্তর করিলেন, হে নাথ, আমরা সমস্ত রাত্রি পরিশ্রম করিয়া কিছুমাত্র পাই নাই, কিন্তু আপনার কথায় আমি জাল ফেলিব।
6 তাঁহারা সেইরূপ করিলে মাছের বড় ঝাঁক ধরা পড়িল, ও তাঁহাদের জাল ছিঁড়িতে লাগিল; তাহাতে তাঁহাদের যে অংশীদারেরা অন্য নৌকায় ছিলেন, তাঁহাদিগকে তাঁহারা সঙ্কেত করিলেন, যেন তাঁহারা আসিয়া তাঁহাদের সাহায্য করেন।
7 তাঁহারা আসিয়া দুইখান নৌকা এমন পূর্ণ করিলেন যে, নৌকা দুখানি ডুবিতে লাগিল।
8 তাহা দেখিয়া শিমোন পিতর যীশুর জানুর উপরে পড়িয়া কহিলেন, আমার নিকট হইতে প্রস্থান করুন, কেননা, হে প্রভু, আমি পাপী।
9 কারণ জালে এত মাছ ধরা পড়িয়াছিল বলিয়া তিনি, ও যাঁহারা তাঁহার সঙ্গে ছিলেন, সকলে চমৎকৃত হইয়াছিলেন;
10 আর সিবদিয়ের পুত্র যাকোব ও যোহন, যাঁহারা শিমোনের অংশীদার ছিলেন, তাঁহারাও সেইরূপ চমৎকৃত হইয়াছিলেন। তখন যীশু শিমোনকে কহিলেন, ভয় করিও না, এখন অবধি তুমি জীবনার্থে মানুষ ধরিবে।
11 পরে তাঁহারা নৌকা কূলে আনিয়া সকলই পরিত্যাগ করিয়া তাঁহার পশ্চাদগামী হইলেন।
12 একদা তিনি কোন নগরে আছেন, এমন সময়ে দেখ, এক জন সর্ব্বাঙ্গকুষ্ঠ; সে যীশুকে দেখিয়া উবুড় হইয়া পড়িয়া বিনতিপূর্ব্বক বলিল, প্রভু, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, তবে আমাকে শুচি করিতে পারেন।
13 তখন তিনি হাত বাড়াইয়া তাহাকে স্পর্শ করিলেন, কহিলেন, আমার ইচ্ছা, তুমি শুচীকৃত হও; আর তখনই তাহার কুষ্ঠ চলিয়া গেল।
14 পরে তিনি তাহাকে আজ্ঞা দিলেন, এই কথা কাহাকেও বলিও না, কিন্তু যাজকের নিকটে গিয়া আপনাকে দেখাও, এবং লোকদের কাছে সাক্ষ্য দিবার জন্য তোমার শুচীকরণ সম্বন্ধে মোশির আজ্ঞানুসারে নৈবেদ্য উৎসর্গ কর।
15 কিন্তু তাঁহার বিষয়ে জনরব আরও অধিক ব্যাপিতে লাগিল; আর কথা শুনিবার জন্য এবং আপন আপন রোগ হইতে সুস্থ হইবার জন্য বিস্তর লোক সমাগত হইতে লাগিল।
16 কিন্তু তিনি কোন না কোন নির্জ্জন স্থানে গিয়া প্রার্থনা করিতেন।
17 আর এক দিবস তিনি উপদেশ দিতেছিলেন, এবং ফরীশীরা ও ব্যবস্থার গুরুরা নিকটে বসিয়াছিল; তাহারা গালীল ও যিহূদিয়ার সমস্ত গ্রাম এবং যিরূশালেম হইতে আসিয়াছিল; আর প্রভুর শক্তি উপস্থিত ছিল, যেন তিনি সুস্থ করেন।
18 আর দেখ, কএকটী লোক এক জনকে খাটে করিয়া আনিল, সে পক্ষাঘাতী; তাহারা তাহাকে ভিতরে আনিয়া তাঁহার সম্মুখে রাখিতে চেষ্টা করিল।
19 কিন্তু ভিড় প্রযুক্ত ভিতরে আনিবার পথ না পাওয়াতে ঘরের ছাদে উঠিল, এবং টালি সমূহের মধ্য দিয়া শয্যাশুদ্ধ তাহাকে মাঝখানে যীশুর সম্মুখে নামাইয়া দিল।
20 তাহাদের বিশ্বাস দেখিয়া তিনি কহিলেন, হে মনুষ্য, তোমার পাপ সকল ক্ষমা হইল।
21 তখন অধ্যাপকগণ ও ফরীশীরা এই তর্ক করিতে লাগিল, এ কে যে ঈশ্বরনিন্দা করিতেছে? একমাত্র ঈশ্বর ব্যতিরেকে আর কে পাপ ক্ষমা করিতে পারে?
22 যীশু তাহাদের তর্ক জানিয়া উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা মনে মনে কেন তর্ক করিতেছ?
23 কোন্‌টা সহজ, ‘তোমার পাপ ক্ষমা হইল’ বলা, না ‘তুমি উঠিয়া বেড়াও’ বলা?
24 কিন্তু পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করিতে মনুষ্যপুত্রের ক্ষমতা আছে, ইহা যেন তোমরা জানিতে পার, এই জন্য—তিনি সেই পক্ষাঘাতীকে বলিলেন, —তোমাকে বলিতেছি, উঠ, তোমার শয্যা তুলিয়া লইয়া তোমার ঘরে যাও।
25 তাহাতে সে তখনই তাহাদের সাক্ষাতে উঠিল, এবং আপন শয্যা তুলিয়া লইয়া ঈশ্বরের গৌরব করিতে করিতে আপন গৃহে চলিয়া গেল।
26 তখন সকলে অতিশয় আশ্চর্য্যান্বিত হইল, আর ঈশ্বরের গৌরব করিতে লাগিল, এবং ভয়ে পরিপূর্ণ হইয়া বলিতে লাগিল, আজ আমরা অলৌকিক ব্যাপার দেখিলাম।
27 তৎপরে তিনি বাহিরে গেলেন, আর দেখিলেন, লেবি নামে এক জন করগ্রাহী করগ্রহণ-স্থানে বসিয়া আছেন; তিনি তাঁহাকে কহিলেন, আমার পশ্চাৎ আইস।
28 তাহাতে তিনি সকলই পরিত্যাগ করিয়া উঠিয়া তাঁহার পশ্চাৎ গমন করিলেন।
29 পরে লেবি আপন বাটীতে তাঁহার নিমিত্ত বড় এক ভোজ প্রস্তুত করিলেন, এবং অনেক করগ্রাহী ও অন্য অন্য লোক তাঁহাদের সঙ্গে ভোজনে বসিয়াছিল।
30 তখন ফরীশীরা ও তাহাদের অধ্যাপকেরা তাঁহার শিষ্যদের বিরুদ্ধে বচসা করিয়া কহিতে লাগিল, তোমরা কি কারণ করগ্রাহী ও পাপীদের সঙ্গে ভোজন পান করিতেছ?
31 যীশু উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, সুস্থ লোকদের চিকিৎসকে প্রয়োজন নাই, কিন্তু পীড়িত লোকদেরই প্রয়োজন আছে।
32 আমি ধার্ম্মিকদিগকে নয়, কিন্তু পাপীদিগকেই ডাকিতে আসিয়াছি, যেন তাহারা মন ফিরায়।
33 পরে তাহারা তাঁহাকে কহিল, যোহনের শিষ্যগণ বার বার উপবাস করে ও প্রার্থনা করে, ফরীশীদের শিষ্যেরাও সেইরূপ করে; কিন্তু তোমার শিষ্যেরা ভোজন পান করিয়া থাকে।
34 যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, বর সঙ্গে থাকিতে তোমরা কি বাসর-ঘরের লোকদিগকে উপবাস করাইতে পার?
35 কিন্তু সময় আসিবে; আর যখন বর তাহাদের নিকট হইতে নীত হইবেন, তখন তাহারা উপবাস করিবে।
36 আরও তিনি তাহাদিগকে একটী দৃষ্টান্ত কহিলেন, তাহা এই, কহে নূতন কাপড় হইতে টুকরা ছিঁড়িয়া পুরাতন কাপড়ে লাগায় না; তাহা করিলে নূতনটাও ছিঁড়িতে হয়, এবং পুরাতন কাপড়েও সেই নূতনের তালী মিলিবে না।
37 আর পুরাতন কুপায় কেহ টাট্‌কা দ্রাক্ষারস রাখে না; রাখিলে টাট্‌কা দ্রাক্ষারসে কুপাগুলি ফাটিয়া যাইবে, তাহাতে দ্রাক্ষারসও পড়িয়া যাইবে, কুপাগুলিও নষ্ট হইবে।
38 কিন্তু টাট্‌কা দ্রাক্ষারস নূতন কুপাতেই রাখিতে হয়।
39 আর পুরাতন দ্রাক্ষারস পান করিয়া কেহ টাট্‌কা চায় না, কেননা সে বলে, পুরাতনই ভাল।
×

Alert

×