তাই বলছি প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী থেকে তিনজন করে লোক বেছে নাও| আমি তাদের জায়গাটা ভালো করে দেখার জন্য পাঠাব| তারা সেখানকার বর্ণনা লিখে নিয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে|
তোমরা অবশ্যই জায়গাটার বর্ণনা করে সেটাকে সাত ভাগে ভাগ করবে| মানচিত্রটা আমার কাছে আনবে| তারপর আমরা প্রভু, আমাদের ঈশ্বরকেই তা ঠিক করতে বলব কে কোন জমি পাবে|
লেবীয় যাজকরা জমির কোন অংশ পাবে না| যাজক হিসাবে তাদের কাজ হচ্ছে প্রভুর সেবা করা| এই তাদের অংশ| গাদ, রূবেণ এবং মনঃশির অর্ধেক পরিবারগোষ্ঠী ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুত জমিজায়গা পেয়ে গিয়েছে| তারা বাস করে যর্দন নদীর পূর্বদিকে| প্রভুর দাস মোশি ইতিমধ্যেই তাদের জমিজায়গা দিয়ে দিয়েছেন|”
জায়গা দেখার জন্য মনোনীত লোকরা বের হয়ে গেল যাতে তারা জমির বর্ণনা দিতে পারে| যিহোশূয় তাদের বললেন, “তোমরা সেই জায়গায় যাও, ভালো করে দেখ আর সেখানকার একটা বর্ণনা লিখে নিয়ে এসো| তারপর শীলোতে আমার সঙ্গে দেখা করো| আমি তখন ঘুঁটি চালার ব্যবস্থা করব| য়েন প্রভুই তোমাদের মধ্যে জমি ভাগ করে দেন|”
তাই লোকরা সেই দেশে গেল, জায়গাটা ঘুরে ফিরে তারা দেখল এবং যিহোশূয়র জন্য একটা বর্ণনা তারা লিখল| তারা ঐ সমস্ত শহরগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করল এবং তারপর ভূখণ্ডটিকে সাত ভাগে ভাগ করল| মানচিত্র এঁকে নিয়ে তারা শীলোতে যিহোশূয়র কাছে ফিরে গেল|
বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল যিহূদা এবং য়োষেফের জায়গার মাঝখানের জমি| বিন্যামীনের প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠীই নিজের নিজের জায়গা পেয়ে গিয়েছিল| বিন্যামীনের জন্য মনোনীত জায়গাগুলো হল:
দক্ষিণে লূস (বৈথেল) পর্য়ন্ত সীমানা গেছে| তারপর সীমা গেছে অষ্টারোত্-অদ্দরের দিকে| অষ্টারোত্-অদ্দর হচ্ছে নিম্ন বৈত্-হোরোণের দক্ষিণে পাহাড়ী জায়গায়|
বৈত্-হোরোণের দক্ষিণে পাহাড়ে এসে সীমানা দক্ষিণে বাঁক নিয়ে পাহাড়ের পশ্চিমদিকে চলে গেছে| সীমানা গিয়েছে কিরিযত্-বালে (কিরিযত্ য়িযারীম)| এই শহরটা যিহূদার লোকদের এটা পশ্চিম সীমা|
তারপর রফাযীম উপত্যকার উত্তরে বেন-হিন্নোম উপত্যকার কাছে পাহাড়ের নীচে চলে গেছে এই সীমা| সীমানাটি য়িবুষীযদের শহরের ঠিক দক্ষিণদিকে হিন্নোম উপত্যকা পর্য়ন্তও বিস্তৃত হয়েছে| তারপর সেটি গেছে ঐন্-রোগেল পর্য়ন্ত|
সেখান থেকে সীমা ঘুরে উত্তরদিকে গেছে ঐন্-শেমশে, গলীলোত (অদুম্মীম গিরিজর্থের কাছে) পর্য়ন্ত| সেখান থেকে মহাশিলার দিকে; রূবেণের পুত্র রোহনের জন্যই এর নাম রাখা হয়েছে|