তারপর আমি করূব দূতদের মাথার ওপরের পাত্রের দিকে তাকালাম| পাত্রটিকে নীলকান্ত মণির মত পরিষ্কার নীল দেখাচ্ছিল| আর সেই পাত্রের ওপরে সিংহাসনের মত কিছু একটা দেখতে পেলাম|
তখন যে ব্যক্তিটি সিংহাসনে বসেছিলেন তিনি মসিনা কাপড় পরা মানুষটিকে বললেন, “করূব দূতের নীচে যে চাকাগুলি রয়েছে তার মধ্যে ঢুকে যাও| করূব দূতদের মাঝখান থেকে মুঠো করে জ্বলন্ত কযলা তুলে নিয়ে তা জেরুশালেম শহরের উপর ছুঁড়ে দাও|”মানুষটি আমায় অতিএম করে গেলেন|
তারপর প্রভুর মহিমা মন্দিরের দরজার চৌকাঠের কাছে স্থিত করূব দূতেদের মধ্যে থেকে উঠে এল| আর ঐ মেঘ মন্দির পূর্ণ করল আর প্রভুর গৌরবের উজ্জ্ব্বল আলো সমস্ত প্রাঙ্গণ পূর্ণ করল|
করূব দূতেদের ডানা ঝাপটানোর শব্দ এমনকি একেবারে বাইরের প্রাঙ্গনেও শোনা যেতে লাগল| সেই শব্দের প্রচণ্ড আওয়াজ- যেমন ঈশ্বর সর্বশক্তিমান বজ্রের রবে কথা বলেন|
ঈশ্বর, সেই মসিনা কাপড় পরা লোকটিকে এক আজ্ঞা দিয়েছিলেন| ঈশ্বর বলেছিলেন চাকাগুলির মধ্যে করূব দূতদের মাঝখানে গিয়ে কিছু গরম কযলা নিয়ে আসতে| তাই লোকটি সেখানে গিয়ে চাকার পাশে দাঁড়ালেন|
তারা গমন করার সময় যে কোন দিকে যেতে পারত| কিন্তু গমন করার সময় করূব দূতেরা মুখ ঘোরাত না| তাদের মাথা যে দিকে মুখ করে থাকত সেই দিকেই যেত| চলার সময় পাশে ফিরত না|
প্রত্যেক করূব দূতের চারটি করে মুখ ছিল| প্রথম মুখটি করূবের মুখ| দ্বিতীয়টি মানুষের মুখ| তৃতীয়টি সিংহের মুখ, আর চতুর্থটি ঈগলের মুখ| তখন আমি বুঝলাম দর্শনে যে পশুদের আমি কবার নদীর ধারে দেখেছিলাম তা করূব দূত ছিল!তারপর সেই করূব দূতরা আকাশে উঠল|
করূব দূতরা ডানা তুলে আকাশে উড়ে গেল| আমি তাদের মন্দির ত্যাগ করে চলে যেতে দেখলাম| চাকাগুলিও তাদের সঙ্গে গেল| তারপর তারা প্রভুর মন্দিরের পূর্বদিকের দরজায এসে থামল| ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা শূন্যে তাদের উপরে ছিল|