ঠিক তখনই ফরৌণের মেয়ে নদীতে স্নান করতে এসেছিল| সে দেখতে পেল ঘাসবনে একটি ঝুড়ি ভাসছে| তার সহচরীরা তখন নদী তীরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল| তাই সে তার সহচরীদের একজনকে ঝুড়িটা তুলে আনতে বলল|
তারপর রাজকন্যা ঝুড়িটা খুলে দেখল য়ে তাতে রযেছে একটি শিশুপুত্র| শিশুটি তখন কাঁদছিল| আর তা দেখে রাজকন্যার বড় দযা হল| ভাল করে শিশুটিকে লক্ষ্য করার পর সে বুঝতে পারল য়ে শিশুটি হিব্রু|
শিশুটি বড় হয়ে উঠলে মহিলাটি তার সন্তানকে রাজকন্যাকে দিয়ে দিল| রাজকন্যা শিশুটিকে নিজের ছেলের মতোই গ্রহণ করে তার নাম দিল মোশি| শিশুটিকে সে জল থেকে পেয়েছিল বলে তার নামকরণ করা হল মোশি|
একদিন, মোশি বড় হয়ে যাবার পর সে তার নিজের লোকদের দেখবার জন্য বাইরে গেল এবং দেখল তাদের ভীষণ কঠিন কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে| সে এও দেখল য়ে একজন মিশরীয় একজন হিব্রু ছোকরাকে প্রচণ্ড মারধর করছে|
পরদিন মোশি দেখল দুজন ইস্রায়েলীয় নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে| তাদের মধ্যে একজন অন্যাযভাবে আরেকজনকে মারছে| মোশি তখন সেই অন্যাযকারী লোকটির উদ্দেশ্যে বলল, “কেন তুমি তোমার প্রতিবেশীকে মারছো?”
লোকটি উত্তরে জানাল, “তোমাকে কে আমাদের শাস্তি দিতে পাঠিয়েছে? বলো, তুমি কি আমাকে মারতে এসেছ য়েমনভাবে তুমি গতকাল ঐ মিশরীয়কে হত্যা করেছিলে?”তখন মোশি ভয় পেয়ে মনে মনে বলল, “তাহলে এখন ব্যাপারটা সবাই জেনে গেছে|”
একদিন রাজা ফরৌণ মোশির কীর্তি জানতে পারলেন; তিনি তাকে হত্যা করতে চাইলেন| কিন্তু মোশি মিদিযন দেশে পালিয়ে গেল|মিদিয়নে এসে একটি কুয়োর সামনে মোশি বসে পড়ল|
সেখানে এক যাজক ছিল| তার ছিল সাতটি মেয়ে| কুযো থেকে জল তুলে পিতার পোষা মেষপালকে জল খাওয়ানোর জন্য সেই সাতটি মেয়ে কুযোর কাছে এল| তারা মেষদের জল পানের পাত্রটি ভর্তি করার চেষ্টা করছিল|
তরুণীরা উত্তর দিল, “হ্যাঁ, ওখানে কুযো থেকে জল তোলার সময় কিছু মেষপালক আমাদের তাড়িয়ে দিল| কিন্তু একজন অচেনা মিশরীয় এলো এবং আমাদের সাহায্য করল| সে আমাদের জন্য জলও তুলে দিল এবং আমাদের মেষের পালকে জল পান করালো|”
দেখতে দেখতে অনেক বছর পেরিযে গেল| মিশরের রাজাও ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন| কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের তখনও জোর করে কাজ করানো হচ্ছিল| তারা সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি শুরু করল| এবং সেই কান্না বয়ং ঈশ্বর শুনতে পাচ্ছিলেন|