আর রাজা যখন দেখিলেন যে ইষ্টের রাণী প্রাঙ্গণে দাঁড়াইয়া আছেন, তখন রাজার দৃষ্টিতে ইষ্টের অনুগ্রহ পাইলেন, রাজা ইষ্টেরের প্রতি আপন হস্তস্থিত স্বর্ণময় রাজদণ্ড বিস্তার করিলেন; তাহাতে ইষ্টের নিকটে আসিয়া রাজদণ্ডের অগ্রভাগ স্পর্শ করিলেন।
আমি যদি মহারাজের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পাইয়া থাকি, এবং আমার নিবেদন গ্রাহ্য করিতে ও আমার অনুরোধ সিদ্ধ করিতে যদি মহারাজের ভাল বোধ হয়, তবে আমি আপনাদের জন্য যাহা প্রস্তুত করিব, মহারাজ ও হামন সেই ভোজে আগমন করুন; এবং আমি কল্য মহারাজের আজ্ঞানুসারে [উত্তর] করিব।
সেই দিন হামন আহ্লাদিত ও হৃষ্টচিত্ত হইয়া বাহিরে গেল, কিন্তু যখন রাজদ্বারে মর্দখয়ের দেখা পাইল, এবং তিনি তাহার সম্মুখে উঠিয়া দাঁড়াইলেন না ও সরিলেন না, তখন হামন মর্দখয়ের প্রতি ক্রোধে পরিপূর্ণ হইল।
আর হামন তাহাদের কাছে আপন ঐশ্বর্য্যের প্রতাপ ও সন্তান-বাহুল্যের কথা, এবং রাজা কিরূপে সকল বিষয়ে তাহাকে উচ্চ পদ দিয়াছেন ও কিরূপে তাহাকে অধ্যক্ষগণ ও রাজার দাসগণ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আসন দিয়াছেন, এই সমস্ত তাহাদের কাছে বর্ণনা করিল।
তখন তাহার স্ত্রী সেরশ ও সমস্ত বন্ধু তাহাকে কহিল, তুমি পঞ্চাশ হস্ত উচ্চ এক ফাঁশিকাষ্ঠ প্রস্তুত করাও; আর মর্দখয়কে তাহার উপরে ফাঁশি দিবার জন্য কল্য প্রাতঃকালে রাজার কাছে নিবেদন কর; পরে হৃষ্ট হইয়া রাজার সহিত ভোজে যাও। তখন হামন এই কথায় তুষ্ট হইয়া সেই ফাঁশিকাষ্ঠ প্রস্তুত করাইল।