আত্মা রাখিতে আত্মার উপরে কোন মনুষ্যের কর্ত্তৃত্ব নাই, এবং মরণদিনের উপরে কর্ত্তৃত্ব কাহারও নাই, এবং [সেই] যুদ্ধে ছুটী সম্ভবে না, আর দুষ্টতা দুষ্টকে বাঁচাইবে না।
আমি এই সকলই দেখিয়াছি, ও সূর্য্যের নীচে যে সকল কার্য্য করা যায়, তাহার প্রতি মনোনিবেশ করিয়াছি; কোন কোন সময়ে এক জন অন্যের উপরে তাহার অমঙ্গলার্থে কর্ত্তৃত্ব করে।
পৃথিবীতে এই অসারতা সাধিত হয়; এমন ধার্ম্মিক লোক আছে, যাহাদের প্রতি দুষ্টদের কর্ম্মানুযায়ী ফল ঘটে; আবার এমন দুষ্ট লোক আছে, যাহাদের প্রতি ধার্ম্মিকদের কর্ম্মানুযায়ী ফল ঘটে; আমি কহিলাম, ইহাও অসার।
তখন আমি আমোদের প্রশংসা করিলাম, কেননা ভোজন পান ও আমোদ করণ ব্যতীত সূর্য্যের নীচে মানুষের আর ভাল কিছু নাই; সূর্য্যের নীচে ঈশ্বরদত্ত তাহার জীবনকালে উহাই তাহার পরিশ্রমে তাহার সহবর্ত্তী হইবে।
ত মনুষ্যের চক্ষু নিদ্রা দেখে না—তখন ঈশ্বরের সমস্ত কার্য্যের বিষয়ে ইহা দেখিলাম, সূর্য্যের নীচে যে কার্য্য সাধন করা যায়, মনুষ্য তাহার তত্ত্ব পাইতে পারে না; কারণ যদ্যপি মনুষ্য তাহার অনুসন্ধানের জন্য পরিশ্রম করে, তথাপি তাহার তত্ত্ব পাইতে পারে না; এমন কি, জ্ঞানবান লোকেও যদি বলে, জানিতে পাইব, তবু তাহার তত্ত্ব পাইতে পারিবে না।