কোন মানুষেরই তার আত্মাকে ধরে রাখার ক্ষমতা নেই| কেউই মৃত্যুকে আটকাতে পারবে না| যুদ্ধের সময় কোন সৈন্যেরই যেখানে খুশী যাওয়ার স্বাধীনতা নেই| একই ভাবে যদি কোন ব্যক্তি অন্যায় করে তবে সেই অন্যায় তাকে মুক্তি দেয় না|
আমি প্রত্যেকটি জিনিষ পর্য়্য়বেক্ষণ করেছি আর ভেবেছি কেন সূর্য়ের নীচে এরকম হয়| আমি এও দেখেছি য়ে এক জন ব্যক্তি কি ভাবে আরেকজন ব্যক্তির ওপর আধিপত্যের জন্য ক্ষমতার পেছনে ছোটে| এটা তার পক্ষে খারাপ|
আমি দেখেছি কি ভাবে মন্দ লোকদের অন্ত্য়েষ্টি এযিা সম্পন্ন হয়| ঐসব মন্দ লোক য়থেচ্ছভাবে পবিত্র স্থানে য়েত এবং তারা শহরে প্রকৃতপক্ষে কি করেছিল তা লোকে ভুলে যায়|
মন্দ লোকরা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করে না, তাই তারা কখনও ভাল কিছু পায় না| তারা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে না| তাদের জীবন সেই ছায়ার মত হয় না যা সূর্য়াস্তের পর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়|
তাই আমি স্থির করেছিলাম য়ে জীবনকে উপভোগ করব| কেন? কারণ মানুষের পক্ষে সূর্য়ের নীচে প্রেয হল খাদ্য, পানীয় ও আনন্দের মধ্যে জীবন উপভোগ করা| যাতে তারা প্রতিদিন কাজ করে জীবনকে উপভোগ করতে পারে, যা ঈশ্বর তাদের সূর্য়ের নীচে দিয়েছেন|
আমি নিজেকে প্রজ্ঞাপূর্ণ করার দায়িত্ব নিলাম| লোকরা এই জীবনে যা করে থাকে তা আমি ভাল করে লক্ষ্য করেছিলাম| আমি দেখেছিলাম অনেক লোক ব্যস্ত| তারা দিন রাত কাজ করে এবং প্রায় ঘুমোয না বললেই চলে|
আমি আরো অনেক কিছু দেখে ছিলাম যা ঈশ্বর করেন| আমি এও দেখে ছিলাম সূর্য়ের নীচে ঈশ্বর যা করেন লোকরা তা অবশ্যই বোঝে| এক জন ব্যক্তি চেষ্টা করতে পারে কিন্তু সে সফল হবে না| এক জন জ্ঞানী ব্যক্তি বলতে পারেন য়ে তিনি ঈশ্বর যা করেন তা বোঝেন, কিন্তু আসলে তা সত্যি নয়|