Indian Language Bible Word Collections
2 Samuel 22:28
2 Samuel Chapters
2 Samuel 22 Verses
Books
Old Testament
New Testament
Bible Versions
English
Tamil
Hebrew
Greek
Malayalam
Hindi
Telugu
Kannada
Gujarati
Punjabi
Urdu
Bengali
Oriya
Marathi
Assamese
Books
Old Testament
New Testament
2 Samuel Chapters
2 Samuel 22 Verses
1
|
যে দিন সদাপ্রভু সমস্ত শত্রুর হস্ত হইতে এবং শৌলের হস্ত হইতে দায়ূদকে উদ্ধার করিলেন, সেই দিন তিনি সদাপ্রভুর উদ্দেশে এই গীতের কথা নিবেদন করিলেন। |
2
|
তিনি কহিলেন, সদাপ্রভু মম শৈল, মম দুর্গ ও মম রক্ষাকর্ত্তা, |
3
|
মম শৈলরূপ ঈশ্বর, আমি তাঁহার শরণাগত; মম ঢাল, মম ত্রাণ-শৃঙ্গ, মম উচ্চ দুর্গ, মম আশ্রয়স্থান, মম ত্রাতা, উপদ্রব হইতে আমার ত্রাণকারী। |
4
|
আমি কীর্ত্তনীয় সদাপ্রভুকে ডাকিব, এইরূপে আমার শত্রুগণ হইতে ত্রাণ পাইব। |
5
|
কেননা আমি মৃত্যুর তরঙ্গে বেষ্টিত, পাষণ্ডের বন্যাতে আশঙ্কিত ছিলাম; |
6
|
আমি পাতালের রজ্জুতে বেষ্টিত, মৃত্যুর পাশে জড়িত ছিলাম। |
7
|
সঙ্কটে আমি সদাপ্রভুকে ডাকিলাম, আমার ঈশ্বরকে আহ্বান করিলাম; তিনি নিজ মন্দির হইতে আমার রব শুনিলেন, আমার আর্ত্তনাদ তাঁহার কর্ণগোচর হইল। |
8
|
তখন পৃথিবী টলিল, কম্পিত হইল, গগনমণ্ডলের ভিত্তি সকল বিচলিত হইল, ও টলিল, কারণ তিনি জ্বলিয়া উঠিলেন। |
9
|
তাঁহার নাসারন্ধ্র হইতে ধূম উদগত হইল, তাঁহার মুখনির্গত অগ্নি গ্রাস করিল; তদ্দ্বারা অঙ্গার সকল প্রজ্বলিত হইল। |
10
|
তিনি গগনকে নোয়াইয়া নামিলেন, অন্ধকার তাঁহার পদতলে ছিল; |
11
|
তিনি করূব আরোহণে উড্ডীন হইলেন, বায়ুর পক্ষযুগলের উপরে দর্শন দিলেন। |
12
|
তিনি তাম্বুর ন্যায় আপনার চতুর্দ্দিকে অন্ধকার, জলরাশি ও ঘন মেঘমালা স্থাপন করিলেন। |
13
|
তাঁহার সম্মুখবর্ত্তী তেজ হইতে জ্বলন্ত অঙ্গার সকল প্রজ্বলিত হইল। |
14
|
সদাপ্রভু আকাশ হইতে বজ্রনাদ করিলেন, পরাৎপর আপন রব শুনাইলেন। |
15
|
তিনি বাণ ছাড়িলেন, তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিলেন, বজ্র দ্বারা তাহাদিগকে উদ্বিগ্ন করিলেন। |
16
|
তখন সদাপ্রভুর তর্জ্জনে, তাঁহার নাসিকার প্রশ্বাসবায়ুতে, সমুদ্রের প্রণালী সকল প্রকাশ পাইল, ভূমণ্ডলের মূল সকল অনাবৃত হইল। |
17
|
তিনি ঊর্দ্ধ হইতে [হস্ত] বিস্তার করিলেন, আমাকে ধরিলেন, মহাজলরাশি হইতে আমাকে টানিয়া তুলিলেন; |
18
|
আমাকে উদ্ধার করিলেন, আমার বলবান শত্রু হইতে, আমার বিদ্বেষীগণ হইতে, কারণ তাহারা আমা অপেক্ষা শক্তিমান্। |
19
|
আমার বিপদের দিনে তাহারা আমার কাছে আসিল, কিন্তু সদাপ্রভু আমার অবলম্বন হইলেন। |
20
|
তিনি আমাকে বাহিরে প্রশস্ত স্থানে আনিলেন, আমাকে উদ্ধার করিলেন, কেননা তিনি আমাতে সন্তুষ্ট ছিলেন। |
21
|
সদাপ্রভু আমার ধার্ম্মিকতা-অনুযায়ী পুরস্কার দিলেন, আমার হস্তের শুচিতানুযায়ী ফল দিলেন। |
22
|
কেননা আমি সদাপ্রভুর পথে চলিয়াছি, দুষ্টতাপূর্ব্বক আমার ঈশ্বরকে ছাড়ি নাই। |
23
|
কারণ তাঁহার সমস্ত শাসন আমার সম্মুখে ছিল, আমি তাঁহার বিধিপথ হইতে দূরে যাই নাই। |
24
|
আর আমি তাঁহার উদ্দেশে সিদ্ধ ছিলাম, নিজ অপরাধ হইতে আপনাকে রক্ষা করিতাম। |
25
|
তাই সদাপ্রভু আমাকে আমার ধার্ম্মিকতা অনুসারে, তাঁহার সাক্ষাতে আমার শুচিতানুসারে ফল দিলেন। |
26
|
তুমি দয়াবানের সহিত সদয় ব্যবহার করিবে, সিদ্ধের সহিত সিদ্ধ ব্যবহার করিবে। |
27
|
তুমি শুচির সহিত শুচি ব্যবহার করিবে, কুটিলের সহিত চতুরের ব্যবহার করিবে। |
28
|
তুমি দুঃখীদিগকে নিস্তার করিবে, কিন্তু গর্ব্বীদের উপরে তোমার দৃষ্টি আছে, তুমি তাহাদিগকে অবনত করিবে। |
29
|
হে সদাপ্রভু, তুমি আমার প্রদীপ; সদাপ্রভুই আমার অন্ধকার আলোকময় করেন। |
30
|
কেননা তোমার দ্বারা আমি সৈন্যদলের বিরুদ্ধে দৌড়ি, আমার ঈশ্বরের দ্বারা প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করি। |
31
|
তিনিই ঈশ্বর, তাঁহার পথ সিদ্ধ; সদাপ্রভুর বাক্য পরীক্ষাসিদ্ধ, তিনি নিজ শরণাগত সকলের ঢাল। |
32
|
কারণ সদাপ্রভু ব্যতীত আর ঈশ্বর কে আছে? আমাদের ঈশ্বর ব্যতীত আর শৈল কে আছে? |
33
|
ঈশ্বর আমার দৃঢ় দুর্গ; তিনি সিদ্ধকে আপন পথে চালান; |
34
|
তিনি তাহার চরণ হরিণীর চরণবৎ করেন; আমার উচ্চস্থলীতে আমাকে সংস্থাপন করেন। |
35
|
তিনি আমার হস্তকে যুদ্ধ করিতে শিক্ষা দেন, তাই আমার বাহু তাম্রময় ধনুকে চাড়া দেয়। |
36
|
তুমি আমাকে নিজ পরিত্রাণ-ঢাল দিয়াছ, তব কোমলতা আমাকে মহান করিয়াছে। |
37
|
তুমি আমার নীচে পাদসঞ্চারের স্থান প্রশস্ত করিয়াছ, আর আমার গুল্ফ বিচলিত হয় নাই। |
38
|
আমি আপন শত্রুগণের পশ্চাতে দৌড়িয়া তাহাদিগকে বিনষ্ট করিয়াছি, সংহার না করিয়া ফিরিয়া আসি নাই। |
39
|
আমি তাহাদিগকে সংহার করিয়া চূর্ণ করিয়াছি, তাই তাহারা উঠিতে পারে না, তাহারা আমার পদতলে পতিত হইয়াছে। |
40
|
কারণ তুমি যুদ্ধার্থে বল দিয়া আমার কটিবন্ধন করিয়াছ, যাহারা আমার বিরুদ্ধে উঠিয়াছিল, তাহাদিগকে তুমি আমার অধীনে নত করিয়াছ। |
41
|
তুমি আমার শত্রুগণকে আমা হইতে ফিরাইয়া দিয়াছ; আমি আপন বিদ্বেষীদিগকে সংহার করিয়াছি। |
42
|
তাহারা চাহিয়া রহিল, কিন্তু ত্রাণকর্ত্তা কেহ নাই; তাহারা সদাপ্রভুর দিকে চাহিল, কিন্তু তিনি তাহাদিগকে উত্তর দিলেন না। |
43
|
তখন আমি পৃথিবীর ধূলির ন্যায় তাহাদিগকে চূর্ণ করিলাম, পথের কর্দ্দমের ন্যায় তাহাদিগকে দলিত করিলাম, এবং ছড়াইয়া ফেলিলাম। |
44
|
তুমিও আমাকে প্রজাদের দ্রোহ হইতে উদ্ধার করিয়াছ; জাতিগণের মস্তক হইবার জন্য রাখিয়াছ, আমার অপরিচিত জাতি আমার দাস হইবে। |
45
|
বিজাতি-সন্তানেরা আমার কর্ত্তৃত্ব স্বীকার করিবে, শ্রবণমাত্র তাহারা আমার আজ্ঞাকারী হইবে। |
46
|
বিজাতি-সন্তানেরা ম্লান হইবে, সকম্পে স্ব স্ব গোপনীয় স্থান হইতে আসিবে। |
47
|
সদাপ্রভু জীবিত, মম শৈল ধন্য হউন; মম ত্রাণ-শৈল ঈশ্বর উন্নত হউন। |
48
|
সেই ঈশ্বর আমার পক্ষে প্রতিশোধ দেন, জাতিগণকে আমার অধীনে নত করেন; |
49
|
আমার শত্রুগণ হইতে আমাকে উদ্ধার করেন; যাহারা আমার বিরুদ্ধে উঠে, তুমি তাহাদের উপরেও আমাকে উন্নত করিতেছ; তুমি দুর্বৃত্ত লোক হইতে আমাকে উদ্ধার করিয়া থাক। |
50
|
এই কারণ, হে সদাপ্রভু, আমি জাতিগণের মধ্যে তোমার স্তব করিব, তব নামের উদ্দেশে স্তোত্র গান করিব। |
51
|
তিনি আপন রাজাকে মহাপরিত্রাণ দেন, আপন অভিষিক্ত ব্যক্তির প্রতি দয়া করেন, যুগে যুগে দায়ূদের ও তাহার বংশের প্রতি দয়া করেন। |