English Bible Languages

Indian Language Bible Word Collections

Bible Versions

English

Tamil

Hebrew

Greek

Malayalam

Hindi

Telugu

Kannada

Gujarati

Punjabi

Urdu

Bengali

Oriya

Marathi

Assamese

Books

2 Samuel Chapters

2 Samuel 22 Verses

1 যে দিন সদাপ্রভু সমস্ত শত্রুর হস্ত হইতে এবং শৌলের হস্ত হইতে দায়ূদকে উদ্ধার করিলেন, সেই দিন তিনি সদাপ্রভুর উদ্দেশে এই গীতের কথা নিবেদন করিলেন।
2 তিনি কহিলেন, সদাপ্রভু মম শৈল, মম দুর্গ ও মম রক্ষাকর্ত্তা,
3 মম শৈলরূপ ঈশ্বর, আমি তাঁহার শরণাগত; মম ঢাল, মম ত্রাণ-শৃঙ্গ, মম উচ্চ দুর্গ, মম আশ্রয়স্থান, মম ত্রাতা, উপদ্রব হইতে আমার ত্রাণকারী।
4 আমি কীর্ত্তনীয় সদাপ্রভুকে ডাকিব, এইরূপে আমার শত্রুগণ হইতে ত্রাণ পাইব।
5 কেননা আমি মৃত্যুর তরঙ্গে বেষ্টিত, পাষণ্ডের বন্যাতে আশঙ্কিত ছিলাম;
6 আমি পাতালের রজ্জুতে বেষ্টিত, মৃত্যুর পাশে জড়িত ছিলাম।
7 সঙ্কটে আমি সদাপ্রভুকে ডাকিলাম, আমার ঈশ্বরকে আহ্বান করিলাম; তিনি নিজ মন্দির হইতে আমার রব শুনিলেন, আমার আর্ত্তনাদ তাঁহার কর্ণগোচর হইল।
8 তখন পৃথিবী টলিল, কম্পিত হইল, গগনমণ্ডলের ভিত্তি সকল বিচলিত হইল, ও টলিল, কারণ তিনি জ্বলিয়া উঠিলেন।
9 তাঁহার নাসারন্ধ্র হইতে ধূম উদগত হইল, তাঁহার মুখনির্গত অগ্নি গ্রাস করিল; তদ্দ্বারা অঙ্গার সকল প্রজ্বলিত হইল।
10 তিনি গগনকে নোয়াইয়া নামিলেন, অন্ধকার তাঁহার পদতলে ছিল;
11 তিনি করূব আরোহণে উড্ডীন হইলেন, বায়ুর পক্ষযুগলের উপরে দর্শন দিলেন।
12 তিনি তাম্বুর ন্যায় আপনার চতুর্দ্দিকে অন্ধকার, জলরাশি ও ঘন মেঘমালা স্থাপন করিলেন।
13 তাঁহার সম্মুখবর্ত্তী তেজ হইতে জ্বলন্ত অঙ্গার সকল প্রজ্বলিত হইল।
14 সদাপ্রভু আকাশ হইতে বজ্রনাদ করিলেন, পরাৎপর আপন রব শুনাইলেন।
15 তিনি বাণ ছাড়িলেন, তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিলেন, বজ্র দ্বারা তাহাদিগকে উদ্বিগ্ন করিলেন।
16 তখন সদাপ্রভুর তর্জ্জনে, তাঁহার নাসিকার প্রশ্বাসবায়ুতে, সমুদ্রের প্রণালী সকল প্রকাশ পাইল, ভূমণ্ডলের মূল সকল অনাবৃত হইল।
17 তিনি ঊর্দ্ধ হইতে [হস্ত] বিস্তার করিলেন, আমাকে ধরিলেন, মহাজলরাশি হইতে আমাকে টানিয়া তুলিলেন;
18 আমাকে উদ্ধার করিলেন, আমার বলবান শত্রু হইতে, আমার বিদ্বেষীগণ হইতে, কারণ তাহারা আমা অপেক্ষা শক্তিমান্‌।
19 আমার বিপদের দিনে তাহারা আমার কাছে আসিল, কিন্তু সদাপ্রভু আমার অবলম্বন হইলেন।
20 তিনি আমাকে বাহিরে প্রশস্ত স্থানে আনিলেন, আমাকে উদ্ধার করিলেন, কেননা তিনি আমাতে সন্তুষ্ট ছিলেন।
21 সদাপ্রভু আমার ধার্ম্মিকতা-অনুযায়ী পুরস্কার দিলেন, আমার হস্তের শুচিতানুযায়ী ফল দিলেন।
22 কেননা আমি সদাপ্রভুর পথে চলিয়াছি, দুষ্টতাপূর্ব্বক আমার ঈশ্বরকে ছাড়ি নাই।
23 কারণ তাঁহার সমস্ত শাসন আমার সম্মুখে ছিল, আমি তাঁহার বিধিপথ হইতে দূরে যাই নাই।
24 আর আমি তাঁহার উদ্দেশে সিদ্ধ ছিলাম, নিজ অপরাধ হইতে আপনাকে রক্ষা করিতাম।
25 তাই সদাপ্রভু আমাকে আমার ধার্ম্মিকতা অনুসারে, তাঁহার সাক্ষাতে আমার শুচিতানুসারে ফল দিলেন।
26 তুমি দয়াবানের সহিত সদয় ব্যবহার করিবে, সিদ্ধের সহিত সিদ্ধ ব্যবহার করিবে।
27 তুমি শুচির সহিত শুচি ব্যবহার করিবে, কুটিলের সহিত চতুরের ব্যবহার করিবে।
28 তুমি দুঃখীদিগকে নিস্তার করিবে, কিন্তু গর্ব্বীদের উপরে তোমার দৃষ্টি আছে, তুমি তাহাদিগকে অবনত করিবে।
29 হে সদাপ্রভু, তুমি আমার প্রদীপ; সদাপ্রভুই আমার অন্ধকার আলোকময় করেন।
30 কেননা তোমার দ্বারা আমি সৈন্যদলের বিরুদ্ধে দৌড়ি, আমার ঈশ্বরের দ্বারা প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করি।
31 তিনিই ঈশ্বর, তাঁহার পথ সিদ্ধ; সদাপ্রভুর বাক্য পরীক্ষাসিদ্ধ, তিনি নিজ শরণাগত সকলের ঢাল।
32 কারণ সদাপ্রভু ব্যতীত আর ঈশ্বর কে আছে? আমাদের ঈশ্বর ব্যতীত আর শৈল কে আছে?
33 ঈশ্বর আমার দৃঢ় দুর্গ; তিনি সিদ্ধকে আপন পথে চালান;
34 তিনি তাহার চরণ হরিণীর চরণবৎ করেন; আমার উচ্চস্থলীতে আমাকে সংস্থাপন করেন।
35 তিনি আমার হস্তকে যুদ্ধ করিতে শিক্ষা দেন, তাই আমার বাহু তাম্রময় ধনুকে চাড়া দেয়।
36 তুমি আমাকে নিজ পরিত্রাণ-ঢাল দিয়াছ, তব কোমলতা আমাকে মহান করিয়াছে।
37 তুমি আমার নীচে পাদসঞ্চারের স্থান প্রশস্ত করিয়াছ, আর আমার গুল্‌ফ বিচলিত হয় নাই।
38 আমি আপন শত্রুগণের পশ্চাতে দৌড়িয়া তাহাদিগকে বিনষ্ট করিয়াছি, সংহার না করিয়া ফিরিয়া আসি নাই।
39 আমি তাহাদিগকে সংহার করিয়া চূর্ণ করিয়াছি, তাই তাহারা উঠিতে পারে না, তাহারা আমার পদতলে পতিত হইয়াছে।
40 কারণ তুমি যুদ্ধার্থে বল দিয়া আমার কটিবন্ধন করিয়াছ, যাহারা আমার বিরুদ্ধে উঠিয়াছিল, তাহাদিগকে তুমি আমার অধীনে নত করিয়াছ।
41 তুমি আমার শত্রুগণকে আমা হইতে ফিরাইয়া দিয়াছ; আমি আপন বিদ্বেষীদিগকে সংহার করিয়াছি।
42 তাহারা চাহিয়া রহিল, কিন্তু ত্রাণকর্ত্তা কেহ নাই; তাহারা সদাপ্রভুর দিকে চাহিল, কিন্তু তিনি তাহাদিগকে উত্তর দিলেন না।
43 তখন আমি পৃথিবীর ধূলির ন্যায় তাহাদিগকে চূর্ণ করিলাম, পথের কর্দ্দমের ন্যায় তাহাদিগকে দলিত করিলাম, এবং ছড়াইয়া ফেলিলাম।
44 তুমিও আমাকে প্রজাদের দ্রোহ হইতে উদ্ধার করিয়াছ; জাতিগণের মস্তক হইবার জন্য রাখিয়াছ, আমার অপরিচিত জাতি আমার দাস হইবে।
45 বিজাতি-সন্তানেরা আমার কর্ত্তৃত্ব স্বীকার করিবে, শ্রবণমাত্র তাহারা আমার আজ্ঞাকারী হইবে।
46 বিজাতি-সন্তানেরা ম্লান হইবে, সকম্পে স্ব স্ব গোপনীয় স্থান হইতে আসিবে।
47 সদাপ্রভু জীবিত, মম শৈল ধন্য হউন; মম ত্রাণ-শৈল ঈশ্বর উন্নত হউন।
48 সেই ঈশ্বর আমার পক্ষে প্রতিশোধ দেন, জাতিগণকে আমার অধীনে নত করেন;
49 আমার শত্রুগণ হইতে আমাকে উদ্ধার করেন; যাহারা আমার বিরুদ্ধে উঠে, তুমি তাহাদের উপরেও আমাকে উন্নত করিতেছ; তুমি দুর্বৃত্ত লোক হইতে আমাকে উদ্ধার করিয়া থাক।
50 এই কারণ, হে সদাপ্রভু, আমি জাতিগণের মধ্যে তোমার স্তব করিব, তব নামের উদ্দেশে স্তোত্র গান করিব।
51 তিনি আপন রাজাকে মহাপরিত্রাণ দেন, আপন অভিষিক্ত ব্যক্তির প্রতি দয়া করেন, যুগে যুগে দায়ূদের ও তাহার বংশের প্রতি দয়া করেন।
×

Alert

×