তাই বাবিল-রাজ নবূখদ্নিত্সর, তাঁর সমস্ত সেনাবাহিনী নিয়ে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এলেন| সিদিকিয়র রাজত্ব কালের নবম বছরের 10 মাসের 10 দিনে এই ঘটনা ঘটেছিল| জেরুশালেম শহরে যাতাযাত বন্ধ করতে নবূখদ্নিত্সর শহরের চারপাশে তাঁর সেনাবাহিনী মোতাযেন করে একটা দেওয়াল বানিয়ে শহরটা অবরোধ করেছিলেন|
শেষ পর্য়ন্ত নবূখদ্নিত্সরের সেনাবাহিনী শহরের প্রাচীর ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়লে, সে রাতেই বাগানের গুপ্তপথের ফাঁপা দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে রাজা সিদিকিয় ও তাঁর সেনাবাহিনীর লোকরা পালিয়ে যায়| যদিও শএুপক্ষের সেনাবাহিনী সারা শহর ঘিরে রেখেছিল, কিন্তু তবুও সিদিকিয় ও তাঁর পার্শ্বচররা মরুভূমির পথে পালিয়ে য়েতে সক্ষম হন|
বাবিলীয সেনাবাহিনী প্রভুর মন্দিরের পিতলের সমস্ত জিনিসপত্র ভেঙে টুকরো টুকরো করে| পিতলের জলাশয, সেই ঠেলাগাড়িটা কিছুই তারা ভাঙতে বাকি রাখেনি| তারপর সেই পিতলের ভাঙা টুকরোগুলো তারা বাবিলে নিয়ে যায়|
তিনি যা নিয়েছিলেন তার তালিকা নীচে দেওয়া হল: 27 ফুট দৈর্ঘ্যের 2টি পিতলের স্তম্ভ, স্তম্ভের মাথার ওপরের কারুকার্য়খচিত 41,2 ফুট উঁচু গম্বুজ, পিতলের বড় জলাধার, প্রভুর মন্দিরের জন্য শলোমনের তৈরী করা ঠেলাগাড়িটা; সব মিলিয়ে এগুলোর ওজন সঠিক কত ছিল তা বলাও কঠিন!
আর শহর থেকে তিনি1জন সেনাসচিব, রাজার 5 জন পরামর্শদাতা, সেনাপ্রধানের ব্যক্তিসচিব যিনি লোকদের মধ্যে থেকে বাছাই করে সেনা নিযোগ করতেন, এরা ছাড়াও 60 জন সাধারণ মানুষকে বন্দী করেন|
তারপর নবূষরদন এদের সবাইকে হমাতের রিব্লায বাবিল-রাজের কাছে নিয়ে গেলে, বাবিল-রাজ সেখানেই তাদের হত্যা করেন| আর যিহূদার লোকদের বন্দী করে তাঁরা সঙ্গে নিয়ে যান|
বাবিল-রাজ নবূখদ্নিত্সর কিছু লোককে যিহূদায় রেখে গিয়েছিলেন| তিনি শাফনের পৌত্র অহীকামের পুত্র গদলিযকে এই সমস্ত লোকদের শাসন করার জন্য শাসক হিসেবে যিহূদায় বসিযে যান|
এদিকে এ খবর পেয়ে নথনিয়ের পুত্র ইশ্মায়েল, কারেযের পুত্র য়োহানন, নটোফাতীয তনহূমতের পুত্র সরায আর মাখাথীযের পুত্র যাসনিয প্রমুখ সেনাবাহিনীর প্রধানরা তাদের দলবল নিয়ে মিস্পাতে গদলিযর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন|
কিন্তু নথনিয়ের পুত্র ইশ্মায়েল ছিলেন রাজপরি-বারের সদসস্য এভাবে সাতমাস কাটার পর তিনি ও তাঁর দলের দশ জন মিলে গদলিয ও সমস্ত ইহুদীদের হত্যা করলেন| মিস্পাতে গদলিযর সঙ্গে য়ে সমস্ত বাবিলীযরা বাস করছিল তারাও রক্ষা পেল না|
পরবর্তীকালে ইবিল-মরোদক বাবিলের রাজা হলেন| তিনি যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমকে তাঁর বন্দীত্বের 37 বছরের মাথায় জেল থেকে মুক্ত করলেন| মরোদকের রাজত্বের বারো মাসের 27 দিনের মাথায় এই ঘটনা ঘটেছিল|