তাঁর সমস্ত বিরোধীদের সরিয়ে দিয়ে অমত্সিয রাজ্যের ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ রাখলেন| য়ে সমস্ত আধিকারিকরা তাঁর পিতাকে হত্যা করেছিল, অমত্সিয তাদের প্রাণদণ্ড দিয়েছিলেন|
কিন্তু এই সমস্ত ঘাতকদের হত্যা করলেও তিনি তাদের সন্তানদের নিষ্কৃতি দিয়েছিলেন কারণ মোশির বিধিপুস্তকে লিখিত আছে: “সন্তানের অপরাধের জন্য পিতামাতাকে য়েমন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না, তেমনই পিতামাতার অপরাধের জন্য কোন সন্তানের মৃত্যুদণ্ড দেওয়াও ঠিক নয়| কোন ব্যক্তিকে শুধুমাত্র তার কৃত কোন অপরাধের জন্যই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে|”
অমত্সিয লবণ উপত্যকায 10,000 ইদোমীয় সেনাকে হত্যা করেন| তিনি যুদ্ধ করে সেলা দখল করে, সেলার নাম পালেট “য়ক্তেল” রাখেন| ঐ অঞ্চল এখনো পর্য়ন্ত এই নামেই পরিচিত|
ইস্রায়েলের রাজা যিহোরাম তখন যিহূদার রাজা অমত্সিযকে খবর পাঠালেন, “লিবানোনের কাঁটাঝোপ লিবানোনের বটগাছকে বলেছিল, ‘আমার ছেলের বিয়ের জন্য তোমার মেয়েকে দাও|’ কিন্তু সে সময়ে একটা বুনো জন্তু যাবার পথে লিবানোনের কাঁটাঝোপকে মাড়িয়ে চলে যায়!
ইদোমকে যুদ্ধে হারাবার পর তোমার বড় গর্ব হয়েছে দেখছি! বেশি বাড় না বেড়ে চুপচাপ বাড়িতে বসে থাকো| নিজের বিপদ ডেকে এনো না কারণ, তাহলে তুমি একা নও, তোমার সঙ্গে সঙ্গে যিহূদারও সর্বনাশ হবে|”
বৈত্-শেমশে ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ যিহূদার রাজা যোয়াশের পুত্র অমত্সিযকে বন্দী করলেন| তিনি অমত্সিযকে জেরুশালেমে নিয়ে গিয়ে জেরুশালেমের প্রাচীরের ইফ্রয়িমের দ্বার থেকে কোণের দরজা পর্য়ন্ত জেরুশালেমের 600 ফুট দেওয়াল ভেঙে
যোয়াশের পুত্র অমত্সিযের যিহূদায় রাজত্বকালের 15 তম বছরে ইস্রায়েলরাজ যিহোয়াশের পুত্র যারবিয়াম শমরিয়ায নতুন রাজা হলেন| যারবিয়াম 41 বছর রাজত্ব করেছিলেন এবং
কিন্তু প্রভু (তাও) একথা বলেন নি, য়ে তিনি পৃথিবী থেকে ইস্রায়েলের নাম মুছে দেবেন| তিনি যিহোয়াশের পুত্র যারবিয়ামকে ইস্রায়েলের লোকদের উদ্ধারের জন্য ব্যবহার করেছিলেন|
যারবিয়াম য়ে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন সে সব ‘ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস’ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে| এখানে যারবিয়াম কি ভাবে যিহূদার কাছ থেকে দম্মেশক ও হমাত্ শহর দুটি ইস্রায়েলের জন্য পুনর্দখল করেন সে কথাও লেখা আছে|